আগামী নির্বাচনে কেউ না এলে সেই দোষ বিএনপির: আইনমন্ত্রী
Share on:
নির্বাচন কমিশন যেদিন সময় দেবেন সেই দিনই বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে কেউ যদি না আসে তাহলে সেই দোষ বিএনপির বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
সোমবার (১ মে) দুপুরে ব্রাহ্মবাড়িয়ার কসবা উপজেলার পানিয়ারুপের সিরাজুল হক স্কুল অ্যান্ড কলেজে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
সামরিক সরকার নির্বাচন করতে পারবে না বলেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়োগ করা হয়েছিল উল্লেখ করে আনিসুল হক বলেন, বাংলাদেশের আদালত রায় দিয়েছেন যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার অবৈধ। আমরা সংবিধান অনুযায়ী সুষ্ঠু নির্বাচন করেছি। যদি সেই সুষ্ঠু নির্বাচনে কেউ না আসে আর যদি কেউ নির্বাচনে যাওয়ার সময় অগ্নিসন্ত্রাস করে তাহলে সে দোষ আওয়ামী লীগের নয়, বিএনপি সন্ত্রাসীদের।
খালেদা জিয়ার দুর্নীতি মামলা আওয়ামী লীগ করেনি জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারই এ মামলা দায়ের করেছে। দুইটি দুর্নীতির মামলায় তিনি সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন। আদালত প্রথমে তাকে পাঁচ বছরের সাজা দিয়েছেন। পরে হাইকোর্টে আপিল করায় সাজা আরও বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এখন আপিল করেও জামিন পাননি তিনি।
করোনার সময় অসুস্থ থাকায় খালেদা জিয়াকে দুইটি শর্তে বাড়িতে থাকতে অনুমতি দেয়া হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, তখন ওনার শরীর অনেক খারাপ হয়ে গিয়েছিল। বাংলাদেশের চিকিৎসকরা ওনাকে অনেকটাই সুস্থ করেছেন। এখন আবারও হাসপাতালে গিয়েছেন। খালেদা জিয়া সুস্থই আছেন। নিয়মিত চেকআপে তিনি হাসপাতালে গিয়েছেন।
বিএনপির আন্দোলনের জন্য খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়া হয়নি উল্লেখ করে আনিসুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর মহানুভূতি থেকেই তাকে ছাড় দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশেই খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা নিতে হবে। এ বিষয়ে বিদেশে যাবার বিবেচনার কোনো আইন নেই। তাই কোনো বিবেচনা করা হবে না।
অনুষ্ঠানে তিনি প্রাথমিক শিক্ষকদের সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে আবারও শিক্ষক সমাবেশে সেই সমস্যার জবাব দেবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।
কসবা উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি এইচএম সারওয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আমিনুল এহসান খান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রাশেদুল ভূঁইয়া কাওসার জীবন, কসবা উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেনসহ উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
এবি