ইউক্রেন-রাশিয়া নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, জার্মান নৌ-প্রধানের পদত্যাগ
Share on:
ইউক্রেন-রাশিয়া নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন জার্মান নৌবাহিনীর প্রধান ভাইস অ্যাডমিরাল কে-আচিম শোয়েনবাখ।
ইউক্রেন-রাশিয়া নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন জার্মান নৌবাহিনীর প্রধান ভাইস অ্যাডমিরাল কে-আচিম শোয়েনবাখ।
গতকাল শনিবার ( ২২ জানুয়ারি) গভীর রাতে নিজের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। এর আগে শুক্রবার ( ২১ জানুয়ারি) ভারত সফরে এসে একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করতে গিয়ে দেশ দু’টির সমালোচনা করেন তিনি।
বক্তৃতায় তিনি বলেছিলেন,
‘ইউক্রেন ক্রিমিয়ান উপদ্বীপ পুনরুদ্ধার করবে না, যা রাশিয়া ২০১৪ সালে সংযুক্ত করেছিল। চীনের বিরুদ্ধে রাশিয়াকে একই দিকে রাখা গুরুত্বপূর্ণ এবং রাশিয়ান রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন সম্মান পাওয়ার যোগ্য।’
তার এ বক্তব্যের পরপরই দেশ-বিদেশে নিন্দার ঝড় ওঠে। তার বক্তব্যের সমালোচনা করে ইউক্রেন জার্মান রাষ্ট্রদূতের উদ্দেশে বলেছে, ‘শোয়েনবাখের এই বক্তব্য বার্লিনে আতঙ্ক এবং ঘৃণার পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।’
এই সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতেই পদত্যাগে বাধ্য হন কে-আচিম শোয়েনবাখ।
পদত্যাগের পরে তিনি জানিয়েছেন, তিনি তার অবিবেচনামূলক বিবৃতি থেকে জার্মানি এবং এর সামরিক বাহিনীর ক্ষতি রোধ করতে চান বলেই সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এক বিবৃতিতে জার্মান নৌবাহিনী বলেছে যে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ক্রিস্টিন ল্যামব্রেখ্ট শোয়েনবাখের পদত্যাগ গ্রহণ করেছেন এবং অন্তর্বর্তী নৌপ্রধান হিসেবে তার ডেপুটি নিয়োগ করেছেন।
জার্মান সরকারও জোর দিয়ে বলেছে যে ইউক্রেনের প্রতি রাশিয়ার সামরিক হুমকির ইস্যু ন্যাটো মিত্রদের সাথে তাদের সম্পর্ক আরো ঐক্যবদ্ধ করেছে। সেই সাথে জার্মানি সতর্ক করে দিয়েছে যে মস্কো যদি তার প্রতিবেশীর (ইউক্রেন) বিরুদ্ধে কোনো সামরিক পদক্ষেপ নেয় তবে তাকে চড়া মূল্য দিতে হবে।
তবে জার্মানি জানিয়েছে, অন্যান্য অনেক ন্যাটো দেশের মতো বার্লিন ইউক্রেনকে প্রাণঘাতী অস্ত্র সরবরাহ করবে না। কারণ তারা উত্তেজনাকে আরো বাড়িয়ে দিতে চান না।
এইচএন