tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
আন্তর্জাতিক প্রকাশনার সময়: ১৩ এপ্রিল ২০২২, ১৯:৪২ পিএম

শেহবাজের মন্ত্রিসভায় যোগ দিতে আগ্রহী নয় জোটসঙ্গীরা


শেহবাজ ম

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভা গঠনের বিষয়ে আলোচনার পর নতুন মন্ত্রিসভায় যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জোটের অন্যতম সঙ্গী ও রাজনৈতিক দল মুত্তাহিদা কউমি মুভমেন্ট-পাকিস্তান (এমকিউএম-পি)। বুধবার পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনালের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।


মন্ত্রিসভার বাইরে থেকে শেহবাজ শরিফ নেতৃত্বাধীন সরকারকে ব্যাপকভিত্তিক সমর্থন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এমকিউএম-পি। দ্য নিউজের সঙ্গে আলাপকালে এমকিউএম-পির প্রধান ডা. খালিদ মকবুল সিদ্দিকী বলেন, মন্ত্রিসভায় যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, সরকার গঠনের বিষয়ে জোট সরকারের অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে তার দল বিস্তারিত আলোচনা করেছে। সিদ্দিকী বলেন, তার দল করাচি এবং অন্যান্য অঞ্চলের কল্যাণে জোটের নেতারা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা বাস্তবায়নেই বেশি আগ্রহী।

এমকিউএম-পির এই প্রধান বলেন, জোটের সদস্যদের প্রতিশ্রুতি তাৎপর্যপূর্ণ এবং সেগুলো পূরণ করা হবে।

দেশটির সদ্য ক্ষমতাচ্যুত পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের মন্ত্রিসভাতেও এমকিউএম-পির দু’জন মন্ত্রী ছিলেন। এমকিউএম-পির সদস্য সৈয়দ আমিনুল হক আইটি মন্ত্রী এবং সিনেটর ফারোঘ নাসিম ছিলেন আইনমন্ত্রী। ইমরান খান নেতৃত্বাধীন সরকারে তারা এমকিউএম-পির প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন।

সূত্রের বরাত দিয়ে দ্য নিউজ বলছে, এমকিউএম-পিকে ফেডারেল মন্ত্রিসভার দু’টি পদ, সিন্ধুর গভর্নর এবং সিন্ধুর মন্ত্রিসভায় অর্ধ ডজন পদ দেওয়ার পাশাপাশি প্রদেশটির তিনটি বড় শহরের পৌরসভার দায়িত্ব দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে শেহবাজ নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের অংশীদার এই দলটি এসব প্রস্তাবের বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি।

এদিকে, মন্ত্রিসভার গঠন নিয়ে জোট সঙ্গীদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন নব-নির্বাচিত পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, জোটের দ্বিতীয় বৃহত্তম শরিক পাকিস্তান পিপলস পার্টিও (পিপিপি) মন্ত্রিসভার অংশ হতে অনীহা প্রকাশ করেছে। এর বদলে তারা মন্ত্রিসভার বাইরে থেকে সরকারকে আরও ভালোভাবে সমর্থন দেবে।

তবে জোটকে শক্তিশালী করতে পিপিপির একটি অংশ মন্ত্রিসভায় যোগ দেওয়ার পক্ষে বলে ওই সূত্র জানিয়েছে। দলটির অন্য অংশ মন্ত্রিসভায় যোগদানের পরিবর্তে আগাম নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচনী সংস্কারের দিকে মনোযোগ দেওয়ার ওপর জোর দিয়েছে।

আগামী কয়েকদিনের মধ্যে দলটির শীর্ষ নেতারা মন্ত্রিসভায় যোগ দেওয়ার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। সূত্র বলছে, বিলাওয়াল ভুট্টো নেতৃত্বাধীন পিপিপি সংসদের সাংবিধানিক সব কার্যালয়ের ব্যাপারে বেশি আগ্রহী এবং তারা দ্বিতীয় ধাপে মন্ত্রিসভায় যোগ দেবে।

এছাড়া রাজা পারভেজ আশরাফ ও সৈয়দ নাভিদ কামারকে প্রার্থী হিসেবে জাতীয় পরিষদের স্পিকারের দায়িত্ব নেওয়ার বিষয়ে দলটিতে ঐকমত্য রয়েছে। তারা দাবি করেছেন, রাজা আশরাফ শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী। অন্যদিকে, জমিয়তে উলেমা-ই-ইসলামের (জেইউআই-এফ) প্রধান মাওলানা ফজলুর রহমানের ছেলে মাওলানা আসাদ মেহমুদ ডেপুটি স্পিকার হতে পারেন।

এমআই