tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
রাজনীতি প্রকাশনার সময়: ১৮ জুন ২০২২, ২১:৪৯ পিএম

বন্যার্তদের পাশে আ.লীগ ছাড়া কোনো দল নেই : হাছান মাহমুদ


মাহমুদ

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সিলেটসহ দেশের কয়েকটি এলাকা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকায় প্রশাসনের পাশাপাশি ঝাঁপিয়ে পড়েছে আমাদের নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো দলের নেতাকর্মীরা বন্যার্তদের পাশে নেই।


চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার অ্যাডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদার অডিটোরিয়ামে শনিবার উপজেলার স্কুল ও কলেজ শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ঢাকায় বসে কেউ কেউ টকশোতে বক্তৃতা দিচ্ছেন। আর নয়াপল্টনে বা প্রেস ক্লাবের সামনে সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছেন, কিন্তু বন্যার্তদের সাহায্য করার জন্য কেউ ঝাঁপিয়ে পড়েননি। ঝাঁপিয়ে পড়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় প্রশাসন ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।

পদ্মা সেতু নিয়ে মন্ত্রী বলেন, কেউ ভাবেনি কখনো নিজের টাকায় শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগ সরকার পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে পারবে। পরে যখন আমরা পদ্মা সেতু নির্মাণ শুরু করে দিয়েছি বিশ্বব্যাংক কানাডা আদালতে করা মামলায় হেরে যায়। সংস্থাটির অভিযোগ ভুয়া, মনগড়া এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল বলে কানাডার আদালতে প্রমাণিত হয়। দেশটির আদালতে আমাদের সরকার যায়নি, গিয়েছে বিশ্বব্যাংক। কানাডার আদালত রায় দিয়েছেন সেখানে কোনো দুর্নীতি হয়নি, দুর্নীতির চেষ্টাও হয়নি। তাদের করা মামলায় তারা হেরে গেছে। এরপর তারা প্রস্তাব দিয়েছিল পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন করতে চায়।

কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, আমার বিশ্বব্যাংকের অর্থ দরকার নেই। আজকে তিনি বিশ্বমোড়লদের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজের টাকায় পদ্মা সেতু করেছেন। সে সময় একটি বড় পত্রিকায় শিরোনাম হয়েছিল, পদ্মা সেতু আর হচ্ছে না। দেশের কিছু কিছু বুদ্ধিজীবী বলেছিলেন, এই সরকারের আমলে আর পদ্মা সেতু হচ্ছে না।

বিশ্বব্যাংক যাতে পদ্মা সেতু থেকে সরে যায়, সেজন্য এই ষড়যন্ত্রের পেছনে মূল ভূমিকা পালন করেছিলেন ডক্টর ইউনূস। একইভাবে টিআইবি, সিপিডি আরও অনেকে বলেছিল পদ্মা সেতু হবে না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী দেখিয়ে দিয়েছেন, নিজের টাকায় পদ্মা সেতু হয়।

রাঙ্গুনিয়া সরকারি কলেজের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রধান ড. মুহাম্মদ আবদুল মাবুদের সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রফিকুল আলম, স্বজন কুমার তালুকদার, অধ্যাপক ড. সেকান্দর চৌধুরী, অধ্যক্ষ একেএম সুজা উদ্দিন, শিলা দাশ গুপ্তা, নির্মল কান্তি দাশ, নুরুল আবছার, মিজানুর রহমান প্রমুখ।

এমআই