tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
আন্তর্জাতিক প্রকাশনার সময়: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ১০:১২ এএম

শান্তিতে নোবেলের মনোনয়ন পেলেন আন্তোনিও গুতেরেস


00
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। ছবি: এএফপি

২০২৪ শালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে মনোনীত করেছে নরওয়ের নোবেল পুরস্কার প্রদান কমিটি। সূত্রের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।


জাতিসংঘ মহাসচিবের পাশাপাশি ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য নিবেদিত জাতিসংঘের সংস্থা দ্য ইউনাইটেড নেশন্স প্যালেস্টাইনিয়ান রিফিউজি এজেন্সি (আনরোয়া) এবং জাতিসংঘের আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ড অব জাস্টিসকেও (আইসিজে) নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।

প্রতিবছর শান্তি, সাহিত্য, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়নশাস্ত্র ও অর্থনীতি—এই পাঁচ খাতে বিশেষ অবদান রাখা ব্যক্তিদের দেওয়া বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার নোবেল। শান্তি ছাড়া বাকি চারটি খাতে পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন এবং প্রদানের ব্যাপারটি দেখভাল করে সুইডিশ রয়্যাল একাডেমি। আর শান্তিতে নোবেলের প্রার্থী মনোনয়ন ও পুরস্কার প্রদানের দায়িত্বে রয়েছে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি। ১১ অক্টোবর থেকে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা শুরু হবে।

শান্তিতে চলতি বছরের নোবেলের জন্য রাশিয়ার সাবেক বিরোধী নেতা অ্যালেক্সি নাভালনি এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও সম্ভাব্য মনোনীতদের তালিকায় ছিলেন। কিন্তু পরে তাঁদের বাদ দেওয়া হয়। অ্যালেক্সি নাভালনিকে বাতিল করার কারণ—তিনি মারা গেছেন। আর জেলেনস্কি বাদ পড়েছেন এই কারণে যে তিনি একটি যুদ্ধরত দেশের প্রেসিডেন্ট।

নরওয়ের থিংকট্যাংক সংস্থা পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক হেনরিক উরদাল রয়টার্সকে বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে দীর্ঘদিন ধরে সংঘাত-সংঘর্ষ চলছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ তার তৃতীয় বছরে পা রাখতে চলেছে। সুদান দেড় বছর ধরে গৃহযুদ্ধে জর্জরিত এবং মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল ও হামাস একে অপরকে ধ্বংসের লক্ষ্যে প্রায় এক বছর ধরে মরণপণ লড়াইয়ে নেমেছে।’

হেনরিক উরদাল আরও বলেন, ‘এই সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতিতে সহিংসতা ও রক্তপাত বন্ধের জন্য যারা বা যেসব সংস্থা নিরলস কাজ করে যাচ্ছে, নোবেল কমিটি এবারের শান্তি পুরস্কারের জন্য তাদেরকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছে। আমাদের বিশ্লেষণ তা-ই বলছে।’

নোবেল শান্তি পুরস্কারবিষয়ক ইতিহাসবিদ অ্যাশলে সেভিনের মতে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পৃথিবীজুড়ে যে বৈশ্বিক আইনের শাসন চালু হয়েছিল, তা গত কয়েক বছরে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই এই বৈশ্বিক আইন ও বিশ্বব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখতে যাঁরা অবদান রাখছেন, তাঁদেরকেই এবারের শান্তি পুরস্কারের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মনোনয়ন দিচ্ছে নরওয়ের নোবেল কমিটি। সেই হিসেবে পুরস্কারের জন্য মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে জাতিসংঘ মহাসচিব এবং আইসিজের মধ্যে।

অ্যাশলে সেভিন বলেন, ‘এ মুহূর্তে আন্তোনিও গুতেরেস হচ্ছেন জাতিসংঘের শীর্ষ প্রতীক। অন্যদিকে, মানবিক ইস্যুর সঙ্গে সম্পর্কিত সব আন্তর্জাতিক আইনের সুরক্ষা এবং সেগুলো প্রয়োগের দায়িত্বে রয়েছেন জাতিসংঘের আদালত আইসিজে। এই কাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

এনএইচ