ডিইউজে সভাপতি শহিদুল ইসলামের মায়ের মৃত্যুতে জামায়াতের শোক প্রকাশ
Share on:
শামসুন্নাহার বেগমের ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য হেমায়েত হোসাইন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহীদুল ইসলামের ‘মা’ এবং জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য খন্দকার আয়েশা সিদ্দীকার শাশুড়ী শামসুন্নাহার বেগম রাজধানীর ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎধীন অবস্থায় গত সোমবার রাত ৩ টায় ইন্তিকাল করেছেন-ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তিনি দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত অসুস্থতাসহ নানাবিধ শারীরিক জটিলতায় ভূগছিলেন। তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। মৃত্যুকালে তিনি ৭ ছেলে ও ১ মেয়ে সহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
মরহুমার প্রথম নামাজে জানাজা আজ সকাল ১১ ঢাকার ধানমণ্ডি ঈদগাহ মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে জানাজায় উপস্থিত উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, মাওলানা আব্দুল হালিম, এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল ও এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল, ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসেন, মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর আব্দুস সবুর ফকির, সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম মাসুদ, উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম, দিগন্ত টেলিভিশনের সাবেক এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মুজিবুর রহমান মঞ্জু, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, সেক্রেটারি কাদের গনি চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মরহুমার সন্তান শহিদুল ইসলাম, সেক্রেটারি খুরশিদ আলম, গাজীপুর মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি আ স ম ফারুক, ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুর রহমান প্রমূখ।
জানাজার পূর্ব সমবেত মুসল্লীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, মরহুমার সন্তান হেমায়েত হোসেন ও শহীদুল ইসলাম। জানাজায় ইমামতি করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। জানাজায় রাজনৈতিক, সামাজিক ব্যক্তিবর্গসহ বিপুল সংখ্যক মুসুল্লি উপস্থিত ছিলেন।
পরে মরহুমার লাশ মাদারীপুর জেলার পাঁচখোলা গ্রামের নিজ বাড়ীতে নেওয়া হয় এবং বাদ আছর সেখানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্তানে দাফন করা হয়।
স্থানীয় জানাজায় ছিলেন মাদারীপুর জেলা আমীর মাওলানা আব্দুস সোবহান খান, সেক্রেটারি মোখলেছুর রহমান, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারি সেক্রেটারি কামাল হোসেন, ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রচার সম্পাদক আতাউর রহমান সরকার, দক্ষিণের সহকারি প্রচার সম্পাদক আশরাফুল আলম ইমন, পাঁচখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দীন টুকু মোল্লা, সাবেক চেয়ারম্যান আখতার হোসেন হাওলাদার, বিএনপির মাদারীপুর জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক জামিনুর রশিদ মিঠু, বিশিষ্ট সমাজসেবক সোহরাব হোসেন হাওলাদার, জামায়াতের ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিসে শূরা সদস্য হাফেজ আহসান উল্লাহ, আলাউদ্দিন ও সাংবাদিক শামসুল আরেফিন প্রমূখ। জানাজায় ইমামতি করেন মরহুমার বড় সন্তান হেমায়েত হোসেন।
এক শোকবাণীতে মহানগরী নেতৃদ্বয় বলেন, মরহুমা শামসুন্নাহার বেগম ছিলেন একজন দ্বীনদার, পরহেজগার ও মহীয়সী নারী। তিনি তার ব্যক্তিগত জীবনে আবেদা-সালেহা হিসাবে পরিচিতি পেয়েছিলেন। তিনি তার সন্তান-সন্ততিদের আদর্শবাদী ও ন্যায়নিষ্ঠভাবে গড়ে তোলার চেষ্টা করেছেন এবং তার সন্তান সহ পরিবারের সদস্যরা ইসলামী আন্দোলনের সম্মূখ সারির দায়িত্বশীল। তার মৃত্যুতে আমরা একজন বর্ষীয়সী রত্না গর্ভাকে হারালাম।
নেতৃদ্বয় মরহুমার রূহের মাগফিরাত কামনা করে তাকে জান্নাতের আ’লা মাকাম দানের জন্য মহান আল্লাহ তা’য়ালার দরবারে দোয়া করেন। তারা তার শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং তাদের সবরে জামিল ধারণের তাওফিক কামনা করেন।
প্রেসবিজ্ঞপ্তি//এমএইচ