ভারতে ২০ কোটি মুসলমান নিপীড়নের শিকার : শেহবাজ শরিফ
Share on:
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বলেছেন, ভারতে ২০ কোটি মুসলমানের বিরুদ্ধে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় নিপীড়ন চালানো হচ্ছে, যা ইসলামোফোবিয়ার সবচেয়ে নিকৃষ্ট রূপ। মুসলিমরা বৈষম্যমূলক আইন ও নীতি, হিজাব নিষিদ্ধ, মসজিদে হামলার শিকার হচ্ছে।
শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের ৭৭তম সাধারণ সভায় এক বক্তব্যে দেশের বন্যা থেকে শুরু করে ভারত, ইসরায়েল, ফিলিস্তিন, ইসলামোফোবিয়া ও কাশ্মির নিয়ে আলোচনাকালে এসব কথা বলেন তিনি।
শেহবাজ শরিফ বলেন, আমি বিশেষ করে ভারতের কিছু চরমপন্থী গোষ্ঠী সম্পর্কে উদ্বিগ্ন, যারা মুসলমানদের বিরুদ্ধে ‘গণহত্যার’ আহ্বান জানিয়েছে। ইসলামোফোবিয়া এখন একটি বৈশ্বিক বাস্তবতা। ৯/১১’র পর থেকে মহামারি আকারে মুসলমানদের বিরুদ্ধে ভয়, তাদের সম্পর্কে সন্দেহ এবং তাদের প্রতি বৈষম্য বেড়েছে।
তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের নিন্দা করে। সন্ত্রাসবাদের কোনো ধর্ম নেই। এটি রক্ষণশীলতা, দারিদ্র্য, বঞ্চনা, অবিচার এবং অজ্ঞতা এবং স্বার্থান্বেষী স্বার্থের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
শেহবাজ শরিফ বলেন, পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের বড় শিকার। গত দুই দশকে আমরা সন্ত্রাসী হামলার কারণে ৮০ হাজার মানুষের জীবন ও ১৫০ বিলিয়ন ডলারের অর্থনৈতিক ক্ষতির শিকার হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান ভারতসহ সব প্রতিবেশীর সঙ্গে শান্তি চায়। দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি ও স্থিতিশীলতা নির্ভর করছে কাশ্মির সমস্যা সমাধানের ওপর।
শেহবাজ শরিফ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা (কাশ্মির) এই বিরোধের মূলে রয়েছে কাশ্মিরের জনগণকে আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার না দেওয়া। ভারত ক্রমাগত কাশ্মিরিদের বিরুদ্ধে দমন-পীড়নের অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে, যা ক্রমাগত ত্বরান্বিত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, কারাভোগ, হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু, নির্বিচারে বল প্রয়োগ, ইচ্ছাকৃতভাবে কাশ্মিরি যুবকদের পেলেট গান দিয়ে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা এবং পুরো সম্প্রদায়কে গণশাস্তি দেওয়াসহ বিভিন্নভাবে কাশ্মিরিদের ওপর নিপীড়ন চালানো হচ্ছে।
শেহবাজ শরিফ অভিযোগ করেন, অবৈধ জনসংখ্যাতাত্ত্বিক পরিবর্তনের মাধ্যমে ভারত মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জম্মু ও কাশ্মিরকে হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলে পরিণত করছে।
তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানের জনগণ সব সময় আমাদের কাশ্মীরি ভাই-বোনদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছে এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের আওতায় আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার না পাওয়া পর্যন্ত তারা পাশে থাকবে।
ভারতকে শেহবাজ শরিফ পরামর্শ দেন, ভারতের উচিত সততা দেখানো এবং ২০১৯ সালের ১৫ আগস্ট নেওয়া বেআইনি সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে শান্তি ও আলোচনার পথে হাঁটা।
এন