টেকসই উন্নয়নে পথিকৃৎ দেশের পোশাকশিল্প
Share on:
বাংলাদেশের পোশাকশিল্প টেকসই উন্নয়নে পথিকৃৎ বলে জানিয়েছেন তৈরি পোশাক মালিক ও রপ্তানিকারক সমিতি-বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম।
রোববার (২৮ আগস্ট) হোটেল র্যাডিসন ব্লু’তে এক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।
শহিদউল্লাহ আজিম বলেন, বাংলাদেশের পোশাকশিল্প এমন একটি টেকসই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, যাতে করে মানুষ ও এই গ্রহের কল্যাণ নিশ্চিত হয়।
তিনি আরও বলেন, টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অনেক অর্জন রয়েছে, যা আমাদের ম্যারাথনের সম্মুখভাগে রেখেছে। ইউএসজিবিসি কর্তৃক প্রত্যয়িত সর্বোচ্চ সংখ্যক গ্রিন পোশাক কারখানার আবাসস্থল বাংলাদেশ।
শহিদউল্লাহ আজিম তার বক্তৃতায় বলেন, বাংলাদেশে রয়েছে ইউএসজিবিসি কর্তৃক প্রত্যয়িত ১৬৮টি লিড গ্রিন কারখানা, যার মধ্যে ৫০টি প্লাটিনাম রেটেড এবং বর্তমানে ৫৫০টিরও অধিক পোশাক কারখানা সনদ পাওয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
এছাড়া বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ১০০ শিল্প প্রকল্পের মধ্যে ৪০টি বাংলাদেশে অবস্থিত বলে জানান বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি।
তিনি বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক বাণিজ্য প্রেক্ষাপটে টেকসই উন্নয়ন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। বিশ্বব্যাপী ভোক্তাদের একটি বড় অংশই টেকসই ভোগ এবং উৎপাদনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করছে, বিশেষ করে পণ্য ক্রয়ের সময় তারা দেখছে যে পণ্যটি পরিবেশবান্ধবভাবে উৎপাদিত হয়েছে কি না।
শহিদউল্লাহ আজিম বলেন, বিজিএমইএ তার কৌশলগত রূপকল্পে এই টেকসই ইস্যুটিকে সক্রিয়ভাবে গ্রহণ করেছে।
সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন বিকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বাংলাদেশ গার্মেন্টস বায়িং হাউজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিবিএ) সভাপতি কাজী ইফতেখার হোসেন এবং জেডডিএইচসি’র দক্ষিণ-এশিয়া পরিচালক প্রসাদ পান্ত, ইনস্টিটিউশন অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারস অ্যান্ড টেকনোলজিস্টেসের সভাপতি প্রকৌশলী মো. শফিকুর রহমান এবং বাংলাদেশ অ্যাপারেল ইউথ লিডারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবরার এইচ. সায়েম।
এমআই