অপহরণ ও ধর্ষণচেষ্টার দায়ে ওসি মিজানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
Share on:
চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলায় কলেজছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণচেষ্টার দায়ে পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মিজানুর রহমানকে আলাদা ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ চট্টগ্রামের বিচারক ফেরদৌস আরা এ রায় ঘোষণা করেন। এসময় দণ্ডপ্রাপ্ত মিজানুর রহমান আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় শেষে সাজা পরোয়ানামূলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মিজানুর রহমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানার তৎকালীন পরিদর্শক (তদন্ত) ছিলেন। তিনি ওসি মিজান হিসেবে পরিচিত।
রায়ের বিষয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) খন্দকার আরিফুল আলম বলেন, কলেজছাত্রীকে অপহরণের দায়ে ওসি মিজানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া ওই কলেজছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার দায়ে অভিযুক্ত ওসি মিজানকে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। মামলাটির বিচারিক প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রপক্ষে ১০ জন এবং আসামিপক্ষের দুইজন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
তিনি বলেন, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জামিনে ছিলেন। আজ (বৃহস্পতিবার) রায় ঘোষণার সময় আদালতে হাজির হন তিনি। রায় শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১১ সালের ১২ জুলাই নগরের ফয়'স লেক এলাকা থেকে ইস্পাহানি স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী ও তার বন্ধুকে তুলে নিয়ে যান পরিদর্শক মিজানুর রহমান। এরপর মেয়েটিকে তিনি চকবাজারে একটি হোটেলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় ওই বছরের ১৬ জুলাই নগরের পাঁচলাইশ থানায় মামলা দায়ের করেন মেয়েটির বাবা হুমায়ন কবির।
এদিকে, অভিযোগ ওঠার পর পরিদর্শক মিজানকে বরখাস্ত করা হয়। ঘটনার পর প্রায় সাড়ে তিনমাস পলাতক থাকেন তিনি। এরপর ২০১১ সালের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হলে তাকে জেলহাজতে পাঠান বিচারক। উচ্চ আদালতের আদেশে ২০১২ সালের জুলাই মাসে জামিনে মুক্তি পান তিনি। এরপর গত ৩০ এপ্রিল তার জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। পরে আবার জামিন পেয়েছিলেন তিনি।
এমবি