প্রতিযোগী জোটে বিভক্ত হচ্ছে অর্থনীতি: ক্রিস্টিন লাগার্দ
Share on:
ক্রমবর্ধমান ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা বিশ্ব অর্থনীতির ডিগ্লোবালাইজেশন বা বি-বিশ্বায়নের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে পারে এবং এর ফলাফল হতে পারে সুদূরপ্রসারী।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ইসিবি) প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্দ এই আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, বিশ্ব অর্থনীতি ক্রমেই বিভিন্ন ছোট ছোট প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠীর মধ্যে বিভক্ত হয়ে পড়ছে।
মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপ সামগ্রিকভাবে ইতিহাসের এক জটিল সন্ধিক্ষণে এসে দাঁড়িয়েছে বলে মত প্রকাশ করেছেন ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ইসিবি) প্রেসিডেন্ট। তাঁর মতে, ইউরোপের দেশগুলো বি-বিশ্বায়ন, জনসংখ্যা সংকোচন এবং কার্বন নিঃসরণ কমানোর মতো অনেকগুলো সাধারণ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।
এসব চ্যালেঞ্জে পরিপ্রেক্ষিতে ক্রিস্টিন লাগার্দ গতকাল শুক্রবার ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কংগ্রেসে বলেছেন, ‘বিশ্ব অর্থনীতি বিভিন্ন প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠীর মধ্যে বিভক্ত হয়ে যাচ্ছে তার ক্রমবর্ধমান লক্ষণ আমরা দেখতে পাচ্ছি।’ ইউরোপের দেশগুলোকে নির্দেশ করে তিনি বলেন, ২০২৫ সালের শুরু থেকেই ইউরোপের দেশগুলোতে জনসংখ্যার হার কমতে থাকবে। যা এই সংকটকে আরও ঘনীভূত করতে পারে।
ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘যেহেতু প্রতিদিনই বিভিন্ন বাণিজ্যিক বাধা সামনে হাজির হচ্ছে তাই আমাদের সরবরাহ চেইনের বিষয়টি পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে এবং ঘরের কাছে এমন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করতে হবে যা তুলনামূলক নিরাপদ ও কার্যকর।’ প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের বিষয়টি সামনে এনে তিনি বলেন, ‘আমাদের নতুন প্রযুক্তির আশ্রয় নিতে হবে যাতে আমরা কম শ্রমিকের বিপরীতেও বেশি উৎপাদন করতে পারি।’
ক্রিস্টিন লাগার্দের মতে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের দেশগুলোর সরকারের ঋণ বর্তমানে সর্বোচ্চ অথচ ইউরোপীয় পুনর্গঠন তহবিল ২০২৬ সালেই শেষ হয়ে যাবে। এই অবস্থায় ব্যাংককে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করতে হবে বলেও জানান তিনি। তবে তিনি এই অবস্থায় দেশগুলোর সরকারকে খুব বেশি ঝুঁকি নিতে নিষেধ করেছেন।
এনএইচ