tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
শিক্ষা প্রকাশনার সময়: ১৮ এপ্রিল ২০২২, ২১:৩১ পিএম

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষাব্যয় নির্ধারণ করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়


শিক্ষা

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টিউশন ফি নির্ধারণ করে দেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নির্ধারিত খাত ধার্য করে শিক্ষার্থীদের সবধরনের শিক্ষাব্যয় নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। সবধরনের লেনদেন ব্যাংকের মাধ্যমে আদায় করতে হবে। এজন্য ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আয় ও ব্যয় সংক্রান্ত নীতিমালা ২০২২’ প্রণয়ন করতে যাচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।


সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এরই মধ্যে খসড়া তৈরি করা হয়েছে। আগামী বছর থেকে এটি বাস্তবায়ন হতে পারে। এ সংক্রান্ত নীতিমালা চূড়ান্ত করতে সোমবার (১৮ এপ্রিল) শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নীতিমালার বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বেসরকারি বিদ্যালয়) ও নীতিমালা প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক ফৌজিয়া জাফরিন বলেন, বেসরকারি এমপিওভুক্ত ও নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাছে ফি আদায় নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। আদায়কৃত অর্থের জবাবদিহিতা তৈরিতে নীতিমালা করা হচ্ছে। এ সংক্রান্ত একটি খসড়া তৈরি করা হয়েছে। নীতিমালা সংক্রান্ত সোমবার কমিটির সদস্যদের নিয়ে একটি সভা হয়েছে। আরও দুটি সভা করে সেটি শিক্ষামন্ত্রীর কাছে তুলে দেওয়া হবে।

খসড়া নীতিমালা থেকে জানা গেছে, এমপিওভুক্ত ও নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বেতন, ভর্তি ফি, সেশন ফি ও বোর্ড পরীক্ষার ফরমপূরণ ফিসহ যাবতীয় আয় ও ব্যয়ের স্বচ্ছতা নিশ্চিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে নীতিমালাটি হচ্ছে। এটি মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও কার্যকর হবে। নীতিমালা বাস্তবায়ন হলে নির্ধারিত ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সব ধরনের ফি ও বেতনের অর্থ আদায় করতে হবে। কোনোভাবে তাদের কাছ থেকে নগদ অর্থ আদায় করা যাবে না। আদায়কৃত সব অর্থ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাধারণ তহবিলে জমা রাখতে হবে।

জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানভেদে শিক্ষার্থীদের ফি নির্ধারণে একটি গাইডলাইন দেওয়া হবে। আয়-ব্যয়ের হিসাবে স্বচ্ছতা তৈরি করতে নির্ধারণ কিছু অর্থ প্রতিষ্ঠানে রেখে বাকিটা ব্যাংকে জমা দেওয়া। শিক্ষার্থীর কাছে আদায় করা অর্থ ব্যাংকের মাধ্যমে আদায় করতে হবে। প্রতি বছর গ্রহণযোগ্যা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অডিট করাতে বলা হয়েছে।

কমিটির আহ্বায়ক ফৌজিয়া জাফরিন বলেন, নীতিমালা জারির পর কেউ সেটি অমান্য করলে সেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠদান অনুমোদন, পাঠদান স্বীকৃতি ও এমপিভুক্তি বাতিলের সুপারিশ কর হয়েছে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীর ওপরে আর্থিক বাড়তি চাপ কমে যাবে বলেও জানান তিনি।

এমআই