ইউরোপে বন্যার বিস্তৃতি, মৃত্যু বেড়ে ১৫
Share on:
ইউরোপের মধ্যাঞ্চলের চলমান বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে, আর বেশ কয়েকটি নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় নতুন করে বহু এলাকা প্লাবিত হয়েছে, পাশাপাশি মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়েছে।
গত দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ এ বন্যায় সোমবার মৃতের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ১৫ জনে দাঁড়িয়েছে।
চেক রিপাবলিক ও পোল্যান্ডের সীমান্ত এলাকাগুলোতেই বন্যার প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। গত সপ্তাহজুড়ে চলা ভারি বৃষ্টিতে নদীর পানি বাড়তে থাকা পানির তোড়ে কিছু সেতু ভেঙে পড়ে, হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে হয় এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
পোল্যান্ডে দুর্যোগ পরিস্থিতি ঘোষণা করতে সোমবার দেশটির সরকার বৈঠকে বসতে যাচ্ছে বলে রয়টার্স জানিয়েছে।
চেক সীমান্তবর্তী পোল্যান্ডের শহর কুয়াদজকোর মেয়র জানিয়েছেন, তাদের এখানে পানি কমলেও সহায়তা প্রয়োজন।
পোল্যান্ডের শিক্ষামন্ত্রী বারবারা নোভাচকা বলেছেন, চারটি প্রদেশের প্রায় ৪২০টি স্কুল বন্ধ আছে। নিসা শহরে একটি হাসপাতাল খালি করে সবাইকে সরিয়ে নিতে হয়েছে।
পোলিশ সীমান্তবর্তী চেক শহর জেসেইনিকে পানি কমার পর রাস্তায় রাস্তায় ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি ও আবর্জনার স্তূপ পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
রোমানিয়ার পূর্বাঞ্চলের শহর ও গ্রামগুলো শনি ও রোববার পানির নিচে ডুবে ছিল। ওই অঞ্চলের স্লোবোজিয়া কোনাকি কমিউনের মেয়র জানিয়েছেন, বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
তিনি বলেন, “লোকজনের পরনের কাপড় ছাড়া আর কিছু নেই।”
চেক রিপাবলিকের বন্যাকবলিত এলাকাগুলো থেকে ১২ হাজারেরও বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সোমাবার দেশটির এক লাখ ১৮ হাজার বাড়ি বিদ্যুৎবিহীন ছিল।
রোমানিয়ায় বন্যার ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে। অস্ট্রিয়ায় রোববার এক দমকল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। দেশটির লোয়ার অস্ট্রিয়া রাজ্যে নিজ নিজ বাড়িতে ডুবে মারা গেছেন ৭০ ও ৮০ বছর বয়সী দুই ব্যক্তি।
পোল্যান্ডের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা পিএপি জানিয়েছে, দেশটিতে বন্যায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। আর চেক রিপাবলিকে আরও একজন মারা গেছেন বলে দেশটির পুলিশ জানিয়েছে।
এনএইচ