tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
রাজনীতি প্রকাশনার সময়: ২৮ জুলাই ২০২৪, ২১:২৫ পিএম

হাফেজ রাশেদ ও মেসবাহ সাঈদের রিমান্ড বাতিল করে মুক্তি দাবী জামায়াতের


851540_130

জামায়াত নেতা হাফেজ রাশেদুল ইসলাম ও মেসবাহ উদ্দিন সাঈদকে ৮ দিন পর আটকের নামে মিথ্যাচার এবং রিমান্ডে নেয়ার নিন্দা জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।


রোববার (২৮জুলাই) এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান।

তারা বলেন, জামায়াত নেতা হাফেজ রাশেদুল ইসলামকে গত ১৮ জুলাই রাত ২:৩০মি তার বাসা থেকে আটক করে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী। গতকাল ২৭ জুলাই সন্ধ্যায় পুলিশের বিশেষ ইউনিট কাউন্টার টেররিজম ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) জানায় সকালে তাকে গ্রেফতার করার নামে মিথ্যাচার করা হয়েছে। এ কয়দিন তার পরিবার উদ্বেগ ও উৎকন্ঠার মধ্যে দিন কাটিয়েছে। আইন অনুযায়ী আটকের ২৪ ঘন্টার মধ্যে আদালতে হাজির করতে হয়। আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী নিজেরাই আইনের লংঘন করলেন। জামায়াত নেতৃদ্বয় তাদের আইন ও মানবাধিকার বিরোধী কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা জানান।

মহানগরী নেতৃদ্বয় ধানমন্ডির একটি অফিসকে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরীর অফিস উল্লেখ করা ও সেখান থেকে বোমা ও অস্ত্র উদ্ধারের নাটক করায় বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধ কোন রাজনৈতিক দল নয়। জামায়াতে ইসলামী একটি বৈধ, গনতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে। জামায়াতে ইসলামীর কর্মকান্ডকে জঙ্গি সংগঠনের সাথে তুলনা করে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা নিজেকে রাজনৈতিক দলের কর্মীর পরিচয় দিয়েছেন। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাগণ রাজনৈতিক নেতার মত বক্তব্য দিয়ে পরিস্থিতি আরও জটিল করার চেষ্টা করছেন। তারা এ ধরনের কর্মকান্ড থেকে বিরত থেকে পেশাদারিত্ব বজায় রেখে প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা হিসেবে ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান। তিারা উল্লেখ করেন, সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সব সময় জামায়াত ভূমিকা পালন করে আসছে।

মহানগরীর নেতৃদ্বয় বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন একটি অরাজনৈতিক আন্দোলন। তাদের ন্যায্য দাবীর প্রতি দেশবাসীর আকুন্ঠ সমর্থন ছিল। এ আন্দোলনের সময় হামলা ভাঙ্গচুরের সাথে হাফেজ রাশেদুল ইসলামসহ জামায়াতে ইসলামীকে জড়িয়ে যে বক্তব্য দেয়া হয়েছে, তার সাথে সত্যের লেশমাত্র নেই। হাফেজ রাশেদুল ইসলামকে ১৮ জুলাই রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি কীভাবে এর পরে সংগঠিত কোন ঘটনার সাথে জড়িত থাকতে পারেন? নাশকতার জন্য তহবিল সংগ্রহের যে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে, এটাও চরম মিথ্যাচার। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কল্পনা প্রসুত অভিমত ছাড়া আর কিছুই নয়।

তারা মিথ্যা অভিযোগে জামায়াত নেতা হাফেজ রাশেদুল ইসলামকে ৭ দিন ও মেসবাহ উদ্দিন সাঈদকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেয়ার তীব্র নিন্দা জানান। নেতৃদ্বয় মিথ্যাচার বন্ধ, হাফেজ রাশেদুল ইসলাম ও মেসবাহ উদ্দিন সাঈদের রিমান্ড বাতিল করে আটককৃত নেতাকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দাবী করেন।

২২ জুলাই দৈনিক সমকাল পত্রিকায় ‘নাশকতায় অর্থদাতাদের খুজছে গোয়েন্দারা’ শীর্ষক খবরের প্রতিবাদ জানিয়ে মহানগরী নেতৃদ্বয় বলেন, পত্রিকায় কোন প্রকার তথ্য প্রমান ছাড়াই নাশকতার সাথে জামায়াত নেতৃবৃন্দকে জড়ানো হয়েছে। রিপোর্টে অযাচিতভাবে জামায়াত নেতা মেসবাহ উদ্দিন সাঈদের নাম ব্যবহার করা হয়েছে। সুনির্দ্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ ও সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য ছাড়াই একপেশে রিপোর্ট প্রকাশ থেকে বিরত থাকার জন্য তারা আহ্বান জানান।

প্রেসবিজ্ঞপ্তি//এমএইচ