‘মানুষ আর দানবের পার্থক্য আমরা ভুলে যাই কেন’
Share on:
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঝাড়গ্রামে মা হাতিকে পাশবিক নির্যাতনের ঘটনার প্রেক্ষিতে একটি পোস্ট দিয়েছেন ঢাকাই চিত্রনায়িকা তমা মির্জা।
ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাড়ছে বন্য পশুদের প্রতি পাশবিক, অমানবিক অত্যাচার। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের ঝাড়গ্রামে এক মা হাতিকে হত্যার ঘটনায় ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয়। ঘটনাটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমেরও শিরোনাম হয়।
পাশাপাশি বন্যপ্রাণীর সঙ্গে ঘটে যাওয়া এই অপ্রত্যাশিত ঘটনার আবহ ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশেও। দেশের বিভিন্ন অ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার গ্রুপগুলোতে এ নিয়ে শুরু হয় আলোচনা; সামাজিক মাধ্যমে হাতিটিকে হত্যার প্রতিবাদও জানায় নেটিজেনরা।
এরই ধারাবাহিকতায় সাধারণ পশু প্রেমীদের মতই বন্যপ্রাণী হত্যার প্রতিবাদে সরব হচ্ছে দেশের তারকা অঙ্গন। পোস্টে একটি আর্টিস্টিক ছবি শেয়ার করেন তিনি। সে ছবিতে দেখা যায়, একটি হাতির চার পায়েই শিকল দিয়ে বাঁধা, সঙ্গে এক লোক লাঠি হাতে হাতিটিকে মারতে উদ্ধত।
ছবিটির ক্যাপশনে তমা লেখেন, ‘দিনের আলোতে প্রকাশ্যে একটা হাতি কে পায়ে শেকল দিয়ে, দড়ি দিয়ে বেঁধে পেটান হচ্ছে। আর সেটা সবাই দেখছে, কতটা পাশবিক, মর্মান্তিক। মানুষ আর দানবের পার্থক্য আমরা ভুলে যাই কেন? কোন বিচার কি নেই বোবা পশুপ্রাণীর এই অমানবিক অত্যাচারের?’
তমা মির্জার ওই পোস্টে তার অনুরাগীরা এভাবে পশু হত্যার নিন্দা জানিয়ে হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি করেন।
প্রসঙ্গত, ভারতের ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং বাঁকুড়ার বিস্তীর্ণ জঙ্গল এলাকায় বসবাস হাতিদের।
কিন্তু জঙ্গলে থাকা এখন বিশাল চ্যালেঞ্জিং এসব হাতিদের জন্য। কারণ জঙ্গলে খাদ্যাভাব এবং লোকালয়ে এসে মানুষের তাড়া। চলতি মাসে জ্বলন্ত শলাকা বিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক অন্তঃসত্ত্বা হাতির।
জানা গেছে, ওই মা হাতিকে স্থানীয় হুলাপার্টির কয়েকজন সদস্যরা মিলে মেরে ফেলে। হুলা হল লোহার রডে লাগানো বড় মশাল যা মূলত চটের বস্তা কেরোসিনে ডুবিয়ে তৈরি হয়। এই হুলার সাহায্যে এক গ্রাম থেকে আর এক গ্রামে হাতি তাড়ানোর কাজ করে বন দপ্তরের কিছু কর্মী, বা হুলাপার্টি।
এসএম