শামসুজ্জামানকে গ্রেপ্তারের কারণ ‘শিশুকে ব্যবহার ও প্রতারণা’
Share on:
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে জীবনযাত্রার মান নিয়ে প্রতিবেদনের জন্য নয়, প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ‘শিশুকে ব্যবহার’ করে প্রতারণামূলক সংবাদ করার দায়ে।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে শনিবার (১ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ কথা জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে গ্রেপ্তার নিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সংবাদে বলা হচ্ছে যে, জীবনযাত্রার মান নিয়ে প্রতিবেদন লেখার কারণে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ তথ্যটি সম্পূর্ণ ভুল ও বানোয়াট। ওই সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে একটা শিশুকে ‘ব্যবহার’ করা এবং তার সঙ্গে ‘প্রতারণা’ করে সংবাদ করার দায়ে।
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর জীবনযাত্রার ব্যয় নিয়ে প্রতিদিন বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হচ্ছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করে মন্ত্রণালয়। বলা হয়, কাউকে এসব প্রতিবেদন লেখার জন্য গ্রেপ্তার করা হয়নি। ওই সাংবাদিক ৯ বছরের একটি শিশুকে ১০ টাকা দিয়েছিলেন এবং নিজের ভাষ্য ওই শিশুকে দিয়ে বলিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এটি অবশ্যই ‘চাইল্ড অ্যাবিউজ ও এক্সপ্লয়টেশন’। দ্বিতীয়ত, মহান স্বাধীনতা দিবসে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে খাটো করে দেখার চেষ্টা করেছেন। এ ধরনের কার্যকলাপ অবশ্যই শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, প্রতিটি নাগরিকের জন্য বাক স্বাধীনতা বজায় রাখার ব্যাপারে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কিন্তু প্রতারণামূলক কাজের মাধ্যমে সামাজিক অস্থিরতা তৈরি করা সৎ সাংবাদিকতার পরিপন্থি।
উল্লেখ্য, স্বাধীনতা দিবসে করা একটি প্রতিবেদনকে কেন্দ্র করে প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও থানায় প্রথমে একটি মামলা দায়ের করা হয়। মঙ্গলবার দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি দায়ের করেন সৈয়দ মো. গোলাম কিবরিয়া (৩৬) নামে এক ব্যক্তি।
একই প্রতিবেদনের জেরে বুধবার রাতে প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামস, সহযোগী ক্যামেরাম্যানসহ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের নামে রাজধানীর রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরেকটি মামলা করেন আবদুল মালেক নামে এক আইনজীবী।
ওই মামলায় বৃহস্পতিবার শামসুজ্জামানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেন।
এমআই