নারীদের ফ্রাঞ্চাইজি লিগ যেভাবে হবে

চলতি বছরের মে’তে প্রথম নারী ফ্রাঞ্চাইজি লিগ অনুষ্ঠিত হবে। এই লিগের আনুষ্ঠানিক নামকরণ করা হয়েছে, 'বাংলাদেশ ওমেন্স সুপার লিগ’। এই লিগে ছয়টি দল থাকবে। ১৯/২৪ টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। দু’টি ভেন্যুর পরিকল্পনা থাকলেও সিলেটকেই মূলত প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। কারণ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম এখনো সংস্কারাধীন।

সাবিনা,কৃষ্ণাদেরও বিভিন্ন ক্যাটাগরি করা হবে। এ,বি ও সি তিন ক্যাটাগরিতে যথাক্রমে তিন, তিন ও চার জন করে খেলোয়াড় থাকবেন। ক্যাটাগরির বাইরে প্রতি দল দুই জন করে ফুটবলার নিতে পারবে।

প্রতি দলে পাচ জন করে বিদেশি খেলোয়াড় খেলানোর সুযোগ থাকবে। বিদেশি ফুটবলারের মধ্যেও রয়েছেন বিভাজন। দক্ষিণ এশিয়ান ব্যতীত অন্য যে কোনো দেশের তিন জন ফুটবলার নিবন্ধন করাতে পারবে দলগুলো। আর দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো থেকে দুই জন নিবন্ধনের সুযোগ রয়েছে।

কে স্পোর্টস দেশের ক্রীড়াঙ্গনে নানাক্ষেত্রে পৃষ্ঠপোষকতা করছে। নারী ফুটবলে ফ্রাঞ্চাইজি লিগের উদ্যোগ নেয়ার কারণ সম্পর্কে ফাহাদ বলেন,‘ নারীরা ফুটবলকে বিশেষ উচ্চতায় নিয়েছে। এমন একটি আয়োজনের এটাই উত্তম সময়।’

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনও এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন, 'কে স্পোর্টসের সিইও এবং মহিলা ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান দুই জনই আমার কাছে এই ব্যাপারে আলাপ করেছিলেন। দুইটি কারণে আমি এই লিগটি ইতিবাচক হিসেবে দেখছি। মেয়েরা আর্থিকভাবে লাভবান হবে এবং আরো ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে।'

সাফ চ্যাম্পিয়ন অধিনায়ক সাবিনা খাতুনও উন্মুখ এই লিগের জন্য, 'আমরা সবাই অধীর আগ্রহে রয়েছি এই লিগ নিয়ে। শুধু আমাদের ফুটবলাররারই নন, ইতোমধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার অনেকেই জেনেছে। তারাও আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।'

আজ শুধু লিগের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এসেছে। লিগের বাকি বিষয়ে বাফুফে কাজ করবে, 'মহিলা ফুটবল কমিটির চেয়ারপারসন কিরণ আপার নেতৃত্বে একটি আলাদা কমিটি হবে। সেই কমিটি সামনে আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়দের ছাড়পত্র, স্টেডিয়াম ফ্যাসিলিটিজ, ফ্রাঞ্চাইজি চূড়ান্তকরণ সহ বিভিন্ন বিষয়ে কাজ করবে’ বলেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ।

দেশের ক্রীড়াঙ্গনে ফ্রাঞ্চাইজ ভিত্তিক লিগে অনেক অসঙ্গতি থাকে। বাফুফে সাধারণ সম্পাদক সেগুলো উত্তরণের চেষ্টা করার অঙ্গীকার করলেন, 'আমরা ট্রায়াল এন্ড এররের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে চাই।'

আজকের অনুষ্ঠানে নারী অঙ্গনে বিশেষ ব্যক্তিত্ব আজমেরি হক বাধন, অভিনেত্রী শিমু সহ আরো অনেক উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্টানের উপস্থাপনায় কাজী সাবিরের সঙ্গে ছিলেন ভারতের কারিশমা কোঠাক।

এমআই