tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
আন্তর্জাতিক প্রকাশনার সময়: ১৬ নভেম্বর ২০২২, ২০:৫৬ পিএম

নারী এমপিরা ইতালির সংসদে সন্তানকে স্তন্যপান করাতে পারবেন


_9597

ইতালির নারী এমপিরা এখন থেকে পার্লামেন্ট অধিবেশন চলাকালে শিশু সন্তানদের স্তন্যপান করাতে পারবেন সংক্রান্ত আইন পাস হয়েছে।


বুধবার (১৬ নভেম্বর) দেশটির পার্লামেন্ট সিনেটে এ সংক্রান্ত আইন পাস হয়েছে।

নতুন আইনে বলা হয়েছে, যেসব নারী এমপির স্তন্যপানের বয়সী শিশু রয়েছে— তাদের জন্য সিনেটে একটি বিশেষ গ্যালারি করা হবে। এছাড়া পার্লামেন্টের সবচেয়ে উঁচু সারির আসনগুলোও নির্দিষ্ট রাখা হবে তাদের জন্য।

যেসব এমপি তাদের শিশু সন্তানকে নিয়ে আসবেন, তাদের ওই বিশেষ গ্যালারি বা উঁচুসারির নির্দিষ্ট আসনগুলোতেই বসতে হবে।

ইতালির পার্লামেন্টে অবশ্য আগেও এ আইন প্রচলিত ছিল; তবে পুরোনো আইনে বলা হয়েছিল, সন্তানের বয়স এক বছরের বেশি হলে তাকে অধিবেশনে আনা যাবে না। নতুন আইনে এই ব্যাপারটি তুলে দেওয়া হয়েছে।  

ইতালির ক্ষমতাসীন দল ফাইভ স্টার মুভমেন্ট (এমএস৫) ও পার্লামেন্টারি কমিটির সদস্য গিল্ডা স্পোর্টিয়েল্লিও এএফপিকে নতুন এই আইন সম্পর্কে বলেন, ‘এটা খুবই চমৎকার একটি উদ্যোগ। এখন থেকে নতুন মা হওয়া এমপিদের আর ‘সন্তান অথবা সিনেট অধিবেশন’ বেছে নেওয়ার ঝামেলায় পড়তে হবে না। সন্তানের প্রতি দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি রাজনৈতিক দায়িত্বও তারা পালন করতে পারবেন। এই আইন ইতালির গণতন্ত্রের এক উজ্জল উদাহারণ।’

২০১৮ সালের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সিনেটের সরকারি দলের আসনে বসা এমএস৫ দলটিতে বেশ কয়েক জন নারী এমপি রয়েছেন, যাদের সন্তানের বয়স এক বছরের বেশি।

ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি বরাবরই সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে নতুন মা হওয়া নারীদের জন্য উপযোগী কর্মপরিবেশ তৈরির পক্ষে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশটির জন্মহার ব্যাপকহারে কমে যাওয়াই তার মূল কারণ। ২০১৯ সালে যেসব এমপির উদ্যোগে প্রথমবারের মতো পার্লামেন্টে শিশু সন্তানকে স্তন্যপানের আইন পাস হয়, তাদের মধ্যে জর্জিয়া মেলোনি অন্যতম।

চলতি বছর অক্টোবরে ইতালির প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন মেলোনি। তার এক মাসের মধ্যেই পাস হলো সেই আইনের নতুন সংস্করণ।

ইতালির বিরোধী দল ফ্রোজা ইতালিয়াও এই আইনকে স্বাগত জানিয়েছে। দলের এমপি লিসিয়া রনজুল্লি নতুন মা হয়েছেন। বুধবার এক টুইটবার্তায় তিনি বলেন, ‘পরিবার ও কর্মক্ষেত্রের সঙ্গে সমন্বয় সাধনের ক্ষেত্রে এই আইন একটি ‍দৃষ্টান্ত।’

এন