আল্লামা লুৎফুর রহমানের ইন্তিকালে জামায়াতের শোক
Share on:
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রুকন, বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরেন এর কেন্দ্রীয় সভাপতি বিশ্বনন্দিত মুফাসসিরে কুরআন আল্লামা লুৎফুর রহমানের ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ৩ মার্চ এক শোকবাণী প্রদান করেছেন।
শোকবাণীতে তিনি বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রুকন, বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরেন এর কেন্দ্রীয় সভাপতি বিশ্বনন্দিত মুফাসসিরে কুরআন আল্লামা লুৎফুর রহমান গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে রাজধানী ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি আজ ৩ মার্চ রবিবার বিকাল পৌণে ৩টায় ইন্তিকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন)। আমি তাঁর ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করছি।
শোকবাণীতে তিনি আরও বলেন, আল্লামা লুৎফর রহমান ছিলেন একজন খ্যাতিমান ইসলামী পণ্ডিত ও দা’য়ী ইলাল্লাহ। তিনি জামায়াতে ইসলামীর একজন রুকন হিসেবে দ্বীন কায়েমের ব্যাপারে নিরলস ও সাহসী যোদ্ধা ছিলেন। বাংলাদেশের আলেম সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করার ক্ষেত্রে ইত্তেহাদুল উম্মাহসহ তাঁর ভূমিকা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি বহু দ্বীনি প্রতিষ্ঠান ও মাদ্রাসার সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি ছিলেন আলেম-উলামা ও তৌহিদী জনতার আধ্যাত্মিক রাহবার। তিনি শিরক, বেদআত ও ইসলাম বিরোধী কার্যকলাপ বন্ধের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। ইলমে দ্বীনের খেদমতের জন্য যুগ যুগ ধরে এ দেশের মানুষ তাঁকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। তাঁর ইন্তিকালে জাতি একজন খ্যাতিমান আলেমে দ্বীনকে হারাল। তাঁর শূন্যতা সহজে পূরণ হবার নয়।
তাঁকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা ক্ষমা ও রহম করুন এবং জান্নাতুল ফিরদাউসে উঁচু মাকাম দান করুন। আমি তাঁর শোকাহত পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, শুভাকাক্সক্ষী, সহকর্মীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।
ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতের শোক
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মুফাসসিরে কুরআন, মাজলিসুল মুফাসসিরিনের কেন্দ্রীয় সভাপতি, বিশ্ববরেণ্য আলেমে দ্বীন আল্লামা লুৎফুর রহমানের ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
এক যৌথ শোকবাণীতে মহানগরী নেতৃদ্বয় বলেন, মরহুম আল্লামা লুৎফর রহমান ছিলেন যুগশ্রেষ্ঠ মুবাল্লিগ ও দাঈ। তিনি অত্যন্ত প্রাঞ্জল ও হৃদয়গ্রাহী ভাষায় তাফসির পেশের মাধ্যমে দাওয়াতি অঙ্গনে এক বৈপ্লবিক ধারা সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তিনি এদেশে একটি ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখতেন এবং সে লক্ষ্যে বাস্তবায়নে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত অবিচল ও কর্মতৎপর ছিলেন। তার ইন্তেকালে আমরা একজন বিশ্ববরেণ্য আলেম ও ইসলামী আন্দোলনের সিপাহসালারকে হারালাম, তার শূন্যতা সহজে পূরণীয় নয়।
শোক বার্তায় জামায়াত নেতৃবৃন্দ মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। নেতৃবৃন্দ মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে দোআ করেন, আল্লাহ যেন মরহুমের নেক আমল সমূহ কবুল করে তাকে জান্নাতবাসী করেন এবং তার পরিবার ও আত্মীয় স্বজনকে ধৈর্য ধারণ করার তৌফিক দান করেন।
মরহুম মাওলানা লুৎফর রহমান আজ দুপুরে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন)। তিনি ২ ছেলে, ৫ মেয়ে সহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার জানাজা আজ রাত ৮.০০ টায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াতের শোক
বিশ্ববরেণ্য আলেমে দ্বীন, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মুফাসসিরে কুরআন, মাজলিসুল মুফাসসিরেন কেন্দ্রীয় সভাপতি আল্লামা লুৎফুর রহমানের ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
এক শোকবাণীতে মহানগরী নেতৃদ্বয় বলেন, মরহুম আল্লামা লুৎফর রহমান ছিলেন বিশ্বখ্যাত দাঈ এবং যুগশ্রেষ্ঠ মুবাল্লিগ। তিনি শুধু দেশীয় অঙ্গনে নন বরং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মানুষের নিকট পবিত্র কুরআনুল কারীমের দাওয়াত পৌঁছে দিয়েছেন। সর্বোপরি তিনি একজন প্রখ্যাত বাগ্মী হিসাবে আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। মরহুম অত্যন্ত প্রাঞ্জল ও হৃদয়গ্রাহী ভাষায় তাফসির পেশের মাধ্যমে দাওয়াতি অঙ্গনে এক বৈপ্লবিক ধারা সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছিলেন। বস্তত তিনি ছিলেন জাতির আধ্যাত্বিক নেতা। মরহুম আল্লামা লুৎফর রহমান দেশে আল্লাহর আইন ও সৎ লোকের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশকে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করার স্বপ্ন দেখতেন এবং সে লক্ষ্যেই জীবনের সকল কর্মপ্রচেষ্টা নিয়োজিত করেন এবং জীবনের শেষ পর্যন্ত সে লক্ষ্যেই অবিচল ও আপোষহীন ছিলেন। বস্তুত, তিনি ছিলেন ইসলামী আন্দোলনে অন্যতম সিপাহসালার। তার মৃত্যুতে আমরা একজন ইলমী অবিভাবককে হারালাম। তার শূণ্যতা সহজেই পূরনীয় নয়।