মে দিবস পালনের আহ্বান জামায়াতের
Share on:
পহেলা মে-কে ‘আন্তর্জাতিক শ্রম অধিকার দিবস’ তথা ‘মে দিবস’ হিসেবে পালনের আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।
শনিবার (২৯ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আগামী ১ মে ‘মে দিবস’। ১৮৮৬ সালের ১ মে আমেরিকার শিকাগো শহরে শ্রমিক সমাজ তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আত্মত্যাগের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল। বিশ্বের শ্রমিক সমাজ তা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এখনো তাদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন চালিয়ে আসছে। শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের সে আন্দোলন আজও পুরোপুরি সফলতা লাভ করেনি। প্রায় সময় শ্রমিকদেরকে ন্যায্য বেতন-ভাতার দাবিতে রাজপথে আন্দোলন করতে দেখা যায়। এমনকি ন্যায্য পাওনা আদায় করতে গিয়ে তাদের মূল্যবান জীবনও দিতে হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ কথা আজ অত্যন্ত স্পষ্ট যে মানবরচিত কোনো মতবাদই মানুষের সমস্যার সঠিক সমাধান দিতে সক্ষম নয়। ‘শ্রমিকদের গায়ের ঘাম শুকানোর আগেই শ্রমিকের ন্যায্য পাওনা পরিশোধ করার জন্য’ রাসূলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জোর তাকিদ দিয়েছেন। শ্রমিকদের মর্যাদা রক্ষার জন্য রাসূলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নির্দেশনা বাস্তবায়নের মধ্যেই মালিক-শ্রমিক উভয়েরই প্রকৃত কল্যাণ নিহিত।’
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে শ্রমিক সমাজ তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে অনেক ক্ষেত্রেই বঞ্চিত। কল-কারখানা ও উৎপাদন সেক্টরগুলোতে মালিক-শ্রমিক দ্বন্দ্ব এক ভয়াবহ রূপ লাভ করেছে। শ্রমিকরা শোষণ, জুলুম ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে রাস্তায় প্রতিবাদ জানালেও তাদের ন্যায্য অধিকার এখনো নিশ্চিত হয়নি। আমরা মনে করি, ইসলামী শ্রমনীতি চালু করার মাধ্যমেই শ্রমিক সমাজের প্রকৃত মুক্তি ও কল্যাণ নিশ্চিত হতে পারে এবং মালিকদের স্বার্থও সংরক্ষিত হতে পারে।’
মুজিবুর রহমান আরও বলেন, ‘দেশে বিরাজমান এই পরিস্থিতিতে যথাযথ গুরুত্বসহ ১ মে ‘আন্তর্জাতিক শ্রম অধিকার দিবস’ তথা ‘মে দিবস’ পালনের জন্য দেশের সকল শ্রমজীবী মানুষ ও সর্বস্তরের জনতার প্রতি আমি আহ্বান জানাচ্ছি।’
এমআই