ঈদের দিনেও সড়কে শিক্ষকরা
Share on:
পবিত্র ঈদুল আজহার দিনেও ১৭তম নিবন্ধনধারী ৭৩৯ জন শিক্ষক সড়কে দাঁড়িয়েছেন। এনটিআরসিএ কর্তৃক প্রকাশিত ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনবঞ্চিত হওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি করেছেন শিক্ষকরা।
সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দ্রুত বিশেষ বিজ্ঞপ্তি জারি করে অন্তত একবার আবেদনের সুযোগ দেওয়ার দাবিতে ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন ফোরামের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
১৭ শিক্ষক নিবন্ধন ফোরামের আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক হামিদুর রহমান বলেন, ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে ১৭তম নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। প্রিলি, রিটেন ও ভাইভার পর চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হয় গত বছরের ২৮ ডিসেম্বরে।
১ বছরের একটি নিবন্ধনের কার্যক্রম শেষ করতে প্রায় চার বছর লেগেছে। এতে আমাদের ৭৩৯ জনের বয়স পার হয়ে গেছে। অথচ সনদের মেয়াদ ৩ বছর থাকা সত্ত্বেও ১ বার আবেদনের সুযোগ দেওয়া হলো না। কিন্তু বিগত গণবিজ্ঞপ্তিতে সবগুলোতেই ছাড় দেওয়া হয়েছে। এছাড়া করোনার জন্য সারা পৃথিবী ছাড় পেলেও শুধু ১৭তমদের জন্য কোনো ছাড় নাই।
কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী শিক্ষকরা বলেন, আমাদের মৌলিক অধিকার পেতে এতো হয়রানি, এত দুঃখ। আমরা ১৭তম শিক্ষকরা কখন এই হয়রানি থেকে মুক্তি পাব? তারা মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাইলে আবেদনবঞ্চিত ৭৩৯ জন শিক্ষককে অন্তত একবার আবেদনের সুযোগ করে দিতে পারেন।
এ সময় দ্রুত বিশেষ বিজ্ঞপ্তি জারি করে অন্তত একবার আবেদনের সুযোগ দাবি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন বক্তারা।
এর আগে ১৭তম শিক্ষকরা অন্তত একবার আবেদন এর দাবিতে এনটিআরসিএর কার্যালয়ের সামনে ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে একাধিকবার আন্দোলন করে আসছেন সারা দেশের ১৭তম ৩৫ ঊর্ধ্ব নিবন্ধনধারী শিক্ষকরা। এমনকি আবেদনের সুযোগ চেয়ে প্রধানমন্ত্রী, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপিও দিয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনধারীদের সমন্বয়কারীরা জানান, আমাদের যৌক্তিক দাবি মানা না হলে ঈদুল আজহার ছুটির পর এনটিআরসিএর কার্যালয়ের সামনেসহ ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়কে বৃহত্তর আন্দোলন হবে।
উল্লেখ্য, এনটিআরসিএ কর্তৃক গত ৩১ মার্চ প্রকাশিত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৯৬ হাজার ৭৩৬ শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের ৫ম নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ২৪ হাজারেরও কম প্রার্থী আবেদন করেছে। এতে এনটিআরসিএ প্রাথমিক সুপারিশ করছে ২২ হাজারের কিছু সংখ্যক প্রার্থীকে। এতে ১৭তম ৭৩৯ শিক্ষক নিবন্ধনধারীরা বঞ্চিত হয়েছেন।
এসএম