tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
রাজনীতি প্রকাশনার সময়: ২২ অক্টোবর ২০২২, ০৮:৪৬ এএম

বিএনপির গণসমাবেশ আজ, খুলনায় টানটান উত্তেজনা


10

সারাদেশের নজর এখন খুলনায়। নগরীর ডাকবাংলা মোড়ের সোনালী ব্যাংক চত্বরে আজ শনিবার (২২ অক্টোবর) বিকাল ২টা থেকে শুরু হবে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ। জ্বালানি তেল ও নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, দলীয় কর্মসূচিতে গুলি করে ৫ নেতাকর্মী হত্যার প্রতিবাদ ও নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারসহ কয়েকটি দাবিতে এ সমাবেশ।


কিন্তু দুদিনের বাস ধর্মঘট সাধারণ মানুষ ও দলীয় নেতাকর্মীদের কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি করেছে। এদিকে শুক্রবার (২১ অক্টোবর) বন্ধ করে দেওয়া হয় লঞ্চও। এখানেই শেষ নয়, নেতাকর্মীদের বাড়িতে অভিযান, আটক ও গ্রেফতার করা হয়। পাশাপাশি পথে পথে তল্লাশি, হামলার অভিযোগও উঠেছে। এসব নিয়ে ইতোমধ্যে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনীতির মাঠ।

পথের সব বাধা উপেক্ষা করে ইতোমধ্যে হাজারো নেতাকর্মী শহরে পৌঁছে গেছে বলে দাবি করছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। কোনো বাধাই জনস্রোত ঠেকাতে পারবে না বলে জানিয়েছেন নেতারা। এ পরিস্থিতিতে আজ খুলনায় কী ঘটবে-তা নিয়েই মানুষের জল্পনার শেষ নেই।

সব মিলিয়ে দেশবাসীর উৎসুক দৃষ্টি এখন দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর খুলনার দিকে।

এদিকে বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেন, খুলনার সমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করতেই আওয়ামী লীগের নির্দেশে বাস ও লঞ্চ মালিকরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই ধর্মঘট ডেকেছেন। কিন্তু নেতাকর্মীদের কেউ হেঁটে, আবার কেউ দীর্ঘ পথ ভেঙে ভেঙে রিকশা-মোটরবাইকসহ বিভিন্ন যানবাহনে সমাবেশস্থলে যাচ্ছেন।

কিন্তু এ ধর্মঘটের মাধ্যমে ভোগান্তি বেড়েছে সাধারণ মানুষের। বাস বন্ধ করে দেওয়ার পর সাধারণ মানুষ লঞ্চে করে গন্তব্যে যাচ্ছিলেন, কিন্তু শুক্রবার তাও বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর ফলে সারা দেশ থেকে খুলনা কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। খুলনায় কোনো যানবাহন প্রবেশ করতে পারছে না, আবার কোনো যানবাহন ছেড়ে যাচ্ছে না।

খুলনার সঙ্গে ১৮টি রুটের বাস চলাচল বন্ধ। সব মিলিয়ে এতে দূর-দূরান্তের যাত্রীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। এছাড়া পুলিশ ও সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা শহরের ভেতরে ভ্যান-রিকশা ও ইজিবাইকে তল্লাশি করছেন। এ সময় অনেকে মারধরেরও শিকার হচ্ছেন বলে জানান স্থানীয় নেতারা।

এদিকে বিভিন্ন সূত্রের খবর, সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশ নগরীসহ বিভিন্ন জেলা বিএনপি নেতাকর্মীদের ব্যাপক ধরপাকড় করছে। যার সংখ্যা এখন পর্যন্ত প্রায় দুইশ হবে বলে দাবি বিএনপির।

মাগুরা জেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের একটি বাসসহ সবাইকেই সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ আটক করেছে।

বাগেরহাট জেলা বিএনপির ৫০ নেতাকর্মীকে সদর থানা পুলিশ আটক করেছে। নগরীর বিভিন্ন স্থানে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। আটক করা হয়েছে মোরেলগঞ্জ থেকে আসা ১৩ জনকে।

শুক্রবার (২১ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জনভীতি রোগে ভুগছে। সরকার জনগণকে ভয় পায় বলেই বিএনপির সমাবেশে বাধা সৃষ্টি করছে।

খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে বাধা দিয়ে সরকার পরিস্থিতি সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এই গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে ত্রাসের রাজত্ব তৈরি করা হয়েছে। গণপরিবহণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা রামদা, অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছেন। বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের কথা চিন্তা করে না। তারা সাধারণ মানুষের কথা ভাবলে গণসমাবেশ ঠেকাতে গণপরিবহণ বন্ধ করত না। এই সরকার সবকিছু করতে চায় মানুষকে বাদ দিয়ে। তারা রাষ্ট্র চালাতে চায় মানুষকে বাদ দিয়ে। তারা নির্বাচন করতে চায় জনগণকে ছাড়া।

জনগণ জেগে উঠলে ক্ষমতা ছাড়তে হবে-তারা সারাক্ষণ এই ভয়ে থাকে। এই সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। খুলনায় পরিকল্পিতভাবে জীবনযাত্রা ব্যাহত করা হচ্ছে দাবি করে গণসমাবেশে যেন বাধা তৈরি না করা হয় সে আহ্বান জানান তিনি।

শুক্রবারের আগেই পৌঁছেছেন নেতাকর্মী, ট্রেন-ট্রলারেও আসছেন অনেকে : বাস ও লঞ্চ ধর্মঘটের কারণে মাগুরা, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ, যশোরসহ বিভিন্ন জেলার নেতাকর্মীরা সমাবেশের দুদিন আগে খুলনায় পৌঁছান। অনেকেই বাসে, মাইক্রো, মোটরসাইকেলে যান। আবার অনেকে বাধা পেয়ে হেঁটেই পৌঁছান।

নেতারা জানান, তাদের পুলিশের বাধার সম্মুখীনও হতে হয়েছে। তবে তারা কৌশল অবলম্বন করে খুলনা এসে পৌঁছেছেন। খুলনায় তারা নিকট-আত্মীয়দের বাড়িতে উঠেছেন। এছাড়া স্থানীয় বিএনপি নেতারা দূর থেকে আসা নেতাকর্মীদের আবাসন ও খাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন।

গণসমাবেশের মিডিয়া কমিটির সদস্য এহতেশামুল হক শাওন যুগান্তরকে বলেন, নেতাকর্মীরা শত বাধা পেরিয়ে খুলনায় চলে এসেছে। শুক্রবার সকালেই নগরীতে প্রায় অর্ধলাখ লোক পৌঁছে গেছে। অনেকে নদীপথ, ট্রেনসহ বিভিন্নভাবে এসেছে।

ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি আবদুস সালাম জানান, গণসমাবেশে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে ঝিনাইদহ সদর থেকে আমরা ২০ জন খুলনায় এসেছি। কেউ উঠেছেন আত্মীয়স্বজনের বাসায়, কেউ বা মেস ও হোটেলে। 

সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল ইসলাম জানান, শুক্রবারের মধ্যেই ৩০ ভাগ নেতাকর্মী খুলনায় পৌঁছে গেছে। বাকিরা বিভিন্ন মাধ্যমে যাবে। 

নড়াইল জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক টিপু সুলতান বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে বাস চালু থাকায় অনেক নেতাকর্মী আগেই খুলনায় অবস্থান নিয়েছেন। পরে বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কালিয়া ও লোহাগড়া থেকে নেতাকর্মীরা ট্রলারে খুলনা যান।

মাগুরা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আকতার হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার রাতেই অনেক নেতাকর্মী বাসে করে খুলনা চলে গেছেন। আবার অনেকে শুক্রবার যশোর পর্যন্ত বাসে গিয়ে, সেখান থেকে ট্রেনে করে খুলনা গেছেন। বাকি নেতাকর্মীরা যশোর যাবেন। পরে সেখান থেকে ভেঙে-ভেঙে ছোট যানবাহন ও মোটরসাইকেলে করে খুলনা পৌঁছাবেন। দুর্ভোগ ও কষ্ট করে হলেও মাগুরা বিএনপির নেতাকর্মীরা খুলনার সমাবেশে যোগদান করবেন। 

সরেজমিনে শুক্রবার রাতে দেখা যায়, নগরীর কেডি ঘোষ রোডস্থ বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের ভেতরে-বাইরে নেতাকর্মীদের উপচে পড়া ভিড়। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নেতারা বিএনপি অফিসে আসতে শুরু করেন। জেলা পর্যায়ের অনেক নেতা অফিসের মধ্যে অবস্থান করছেন। জায়গা স্বল্পতার কারণে পার্টি অফিসের সামনের সড়ক তিনটিতে অবস্থান করছেন কর্মীরা।

সদর থানার উত্তর পাশে মহিলা দলের নেতাকর্মীরা, পার্টি অফিসের নিকটস্থ মোড়ে মেহেরপুর থেকে আসা নেতাকর্মীরা, অফিসের নিচে চুয়াডাঙ্গা, যশোরসহ খুলনা জেলার নেতারা অবস্থান করছেন। দূরবর্তী জেলার নেতাকর্মীরা বাস, লঞ্চ বন্ধ থাকায় ছোট ছোট পরিবহণে খুলনায় এসেছেন।

নেতাকর্মীরা জানান, কোথাও থাকার জায়গা নেই। হোটেলে পর্যাপ্ত খাবার নেই। আমরা বিএনপি অফিসের সামনেই সারা রাত অবস্থান করব। অনেকে সমাবেশের মঞ্চের স্থানেও থাকবেন।

খুলনা মহানগরীর ডাকবাংলো সোনালী ব্যাংক চত্বরে শুক্রবার রাত ১০টার একটু আগে গণসমাবেশের অস্থায়ী মঞ্চ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। এর পরপরই বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মঞ্চ নির্মাণস্থলে আসেন। তার সঙ্গে ছিলেন হাজারো নেতাকর্মী। তাদের হাতে ছিল বাঁশের লাঠির পতাকা।

এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার খুলনার সঙ্গে ১৮টি রুটের বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। লঞ্চ চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। তারপরও খুলনায় গণসমাবেশ স্মরণকালের সর্ববৃহৎ জনস্রোতে পরিণত হবে। এদিকে একটি পক্ষ সমাবেশের মঞ্চ ভাঙচুরের গুজব রটাচ্ছে বলে অভিযোগ বিএনপির। নগর

সংবাদ মাধ্যমকে বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেন, অনেক মিডিয়ায় সমাবেশের মঞ্চ ভাঙচুরের গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এটা সঠিক নয়। বর্তমানে সমাবেশস্থলে ২০ হাজার নেতাকর্মী অবস্থান করছেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও খুলনা গণসমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান উপদেষ্টা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, গণসমাবেশ স্মরণকালের সর্ববৃহৎ জনস্রোতে পরিণত হবে। খুলনার ১০টি জেলার সব পর্যায়ের নেতাকর্মীরা যে কোনো মূল্যেই বিভাগীয় গণসমাবেশে উপস্থিত থাকবে। আশা করি এটা একটা ঐতিহাসিক গণসমাবেশ হবে।

এদিকে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় নগরীর কেডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে বিএনপি খুলনা বিভাগ আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির সমন্বয়ক শামসুজ্জামান দুদু শান্তিপূর্ণ এ কর্মসূচি সফল করতে পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের উসকানিমূলক আচরণ না করে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহবান জানান।

তিনি অভিযোগ করেন, সমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করতে নগরীতে দেশীয় অস্ত্রের মহড়া, মোটরসাইকেল মহড়া দিচ্ছে ক্ষমতাসীনরা। প্রকাশ্যে রামদা হকিস্টিকসহ অস্ত্রের মহড়া চলছে। এসব করে কোনো কাজ হবে না। হাজার হাজার নেতাকর্মী এসব বাধা উপেক্ষা করে খুলনায় ইতিহাস সৃষ্টি করবেন। 

বাস ধর্মঘটের পর লঞ্চ ও ট্রলারও বন্ধ, অবর্ণনীয় দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ : সমাবেশের দুদিন আগেই বিভাগের সব রুটে বাস ধর্মঘট ডাকা হয়। শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে ৪৮ ঘণ্টার লঞ্চ ধর্মঘট। যে কারণে অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। শুক্রবার সকালে খুলনার বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, সব পরিবহণের কাউন্টার বন্ধ।

খুলনা থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যাচ্ছে না। এমনকি দূরপাল্লার কোনো বাসও আসছে না। বাস না পেয়ে অনেককেই ইজিবাইকসহ অন্যান্য ছোট বাহনে করে কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। কষ্ট করে অনেকেই আবার বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। একই চিত্র দেখা গেছে খুলনা বিআইডব্লিউটিএ লঞ্চঘাট এলাকায়। সব মিলিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।

জানা যায়, মহাসড়কে ইজিবাইক, মাহেন্দ্র, নসিমন, করিমন চলাচলের প্রতিবাদে গত ২০ ও ২১ অক্টোবর খুলনার বাস মিনিবাস কোচ মালিক সমিতি ও খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন যৌথভাবে বাস ধর্মঘটের আহবান করেন। এরপর খুলনা লঞ্চ টার্মিনাল থেকে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ লঞ্চ লেবার অ্যাসোসিয়েশনের খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন জানান, বেতন বৃদ্ধিসহ ১০ দফা দাবিতে তারা ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট আহ্বান করেছেন। এর সঙ্গে বিএনপির সমাবেশের কোনো সম্পর্ক নেই।

এদিকে যাত্রীপ্রতি এক টাকা ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে খুলনার পূর্ব ও পশ্চিম রূপসা ইঞ্জিনচালিত নৌকা মাঝি সংঘ ২২ অক্টোবর ২৪ ঘণ্টা নদীতে ট্রলার পারাপার বন্ধ ঘোষণা করেছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে এ কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি রেজা ব্যাপারী ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন ব্যাপারী।

শুক্রবার রাতে রূপসা ঘাটে এ সংক্রান্ত নোটিশ টানানো হয়েছে। শাহাদাৎ ব্যাপারী বলেন, এক টাকা ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে আমরা বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছি। কিন্তু এতে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্তে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

এন