রোজার নিয়ত কখন, কীভাবে করবেন?
Share on:
আমল ও ইবাদতের আগে নিয়ত করা জরুরি। আমলের গ্রহণ যোগ্যতার বিষয়টি নিয়তের ওপর নির্ভর করে। কোনো কাজ বা আমল করার আগে নিয়ত ঠিক না থাকলে আল্লাহ তায়ালা সেই আমল কবুল করবেন না।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘প্রত্যেক ব্যক্তির আমল নিয়তের ওপর নির্ভরশীল।’ (বুখারি, হাদিস, ১)
নিয়ত আরবি শব্দ। বাংলা অর্থ হলো—ইচ্ছা করা, মনস্থ করা বা সংকল্প করা। নিয়ত শব্দটি বাংলা ভাষায়ও ব্যাপকভাবে প্রচলিত। পরিভাষা মতে, কোনো আমল-ইবাদত বা কোনো কাজ সম্পাদন করার ইচ্ছা বা সংকল্প করাকে নিয়ত বলে।
রোজা শুদ্ধ হওয়ার জন্য নিয়ত করা আবশ্যক। রমজানের প্রতিদিনই রোজার নিয়ত করতে হবে। এক দিনের নিয়ত পুরো রমজানের রোজার জন্য যথেষ্ট হবে না। রমজানুল মোবারকে মনে মনে শুধু এটুকু ভাবলেই নিয়ত হয়ে যাবে, আমি আজ রোজা রাখব।
কেউ যদি সূর্যাস্তের পরবর্তী কোনো এক সময়ে মনে মনে এই ইচ্ছা করে যে আমি আগামীকাল রমজানের রোজা রাখব, তা হলে সে রোজা রাখার নিয়ত করল বলে গণ্য হবে। নিয়ত শুদ্ধ হওয়ার জন্য মুখে উচ্চারণ করা আবশ্যক নয়, তবে তা উত্তম।
রমজানের রোজার নিয়ত সূর্যাস্ত তথা রাত থেকে দুপুরের ঘণ্টাখানেক আগ পর্যন্ত যেকোনো সময় করে নিলে তা শুদ্ধ হয়ে যাবে। তবে নিয়ত সুবহে সাদিকের আগেই রাতে করে নেওয়া উত্তম। সুবহে সাদিক থেকে দুপুরের এক ঘণ্টা আগ পর্যন্ত নিয়ত শুদ্ধ হওয়ার শর্ত হলো সুবহে সাদিকের পর সর্বপ্রকার পানাহার ইত্যাদি থেকে বিরত থাকা। অবশ্য রোজা রাখার জন্য সাহরি খেলেও রোজার নিয়ত হয়ে যায়।
রোজা রাখার ইচ্ছা বা নিয়ত ছাড়া সারা দিন উপোস থাকলে তা রোজা বলে গণ্য হবে না।
(ফাতাওয়া আলমগিরি : ১/২১২, ইলমুল ফিকাহ, ৩/১৮, বেহেশতি জেওর, ৩/৩)
এসএম