উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়বে কি জাপান?
Share on:
জাপানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়তে আগ্রহ প্রকাশ করেছে কিম জং উনের দেশ উত্তর কোরিয়া। সম্প্রতি এমনটি জানিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের বোন কিম ইয়ো জং। পাশাপাশি জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা পিয়ংইয়ং সফরে আসতে পারেন, এমন ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, কিম জং উনের বোনের এই মন্তব্যকে গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে জাপান। যদিও এখন পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। বৃহস্পতিবার কিম ইয়ো জং বলেছেন, তার দেশ টোকিওর সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা চালাবে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা গত সপ্তাহে টোকিও এবং পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যে বর্তমান সম্পর্কের পরিবর্তনের জন্য ‘জরুরী প্রয়োজন’ অনুভব করার পর এমন মন্তব্য করলেন কিম ইয়ো জং।
উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ কিম ইয়ো জংয়ের এক বিবৃতি প্রকাশ করে। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি তার সাম্প্রতিক বক্তব্যকে ইতিবাচক হিসেবে প্রশংসা না করার কোন কারণ নেই। যদি এটি সাহসিকতার সাথে নিজেকে অতীতের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করার জন্য তার আসল উদ্দেশ্য দ্বারা প্ররোচিত হয়।’
উত্তর কোরিয়ার প্রভাবশালী এই নারী বলেন, ১৯৭০ এবং ১৯৮০ এর দশকে উত্তর কোরিয়ার জাপানি নাগরিকদের অপহরণের দীর্ঘকাল ধরে চলমান বিষয়টি নিয়ে এগিয়ে যাওয়াসহ টোকিওর পদক্ষেপের উপর নির্ভর করে দু’টি দেশ একসাথে একটি নতুন ভবিষ্যত গড়ে তুলতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ‘দুই দেশের ঘনিষ্ঠ না হওয়ার কোন কারণ থাকবে না এবং জাপানী প্রধানমন্ত্রীর পিয়ংইয়ং সফরের দিন আসতে পারে।’
উত্তর কোরিয়া ২০০২ সালে স্বীকার করেছিল, তারা ১৯৭০ এবং ১৯৮০ এর দশকে ১৩ জন জাপানি লোককে অপহরণ করতে এজেন্ট পাঠিয়েছিল। তাদের জাপানি ভাষা এবং রীতিনীতিতে তার গুপ্তচরদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য চাপ দিয়েছিল। তবে জাপানের সন্দেহ, তাদের অনেক বেশি নাগরিককে অপহরণ করা হয়েছে।
গত বছর জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে এক বক্তৃতায় কিশিদা উত্তর কোরিয়ার নেতার সাথে ‘কোন শর্ত ছাড়াই’ দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন এবং বলেছিলেন টোকিও অপহরণসহ সমস্ত সমস্যা সমাধান করতে ইচ্ছুক।
জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুনিচিরো কোইজুমি ২০০২ সালে পিয়ংইয়ংয়ে একটি যুগান্তকারী সফর করেছিলেন। তিনি কিমের বাবা কিম জং ইলের সাথে দেখা করেছিলেন এবং সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য একটি পথ নির্ধারণ করেছিলেন। যেখানে জাপান অর্থনৈতিক সহায়তা দেবে।
এই সফরের ফলে পাঁচজন জাপানি নাগরিক ফিরে আসে এবং কোইজুমি একটি ফলো-আপ ট্রিপ করে। তবে এই প্রক্রিয়া শিগগিরই ভেঙে পড়ে।
এনএইচ