tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
আন্তর্জাতিক প্রকাশনার সময়: ২১ জুলাই ২০২২, ১৭:২৫ পিএম

ইউরোপে পুনরায় গ্যাস সরবরাহ চালু করেছে রাশিয়া


nord-stream-pipeline-2022

ইউরোপে পুনরায় গ্যাস সরবরাহ চালু করেছে রাশিয়া। নর্ড স্ট্রিম ১ নামের বৃহত্তম পাইপলাইনের মাধ্যমে ১০ দিন পর পুনরায় গ্যাস সরবরাহ চালু হলো।


সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রক্ষণাবেক্ষণের কাজের জন্য এতদিন গ্যাস সরবরাহ বন্ধ ছিল। বিবিসি, এপি’র এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

একদিন আগেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সতর্ক করে জানান যে, ইউরোপে গ্যাসের সরবরাহ কম থাকবে। তা নিয়ে ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে উদ্বেগ দেখা দেয়। ফলে ধারণা করা হচ্ছিল যে, গ্যাস সরবরাহ হয়তো আগের মতো হবে না।

ফলে আগামী সাত মাস গ্যাস সরবরাহ ১৫ শতাংশ কমানোর আহ্বান জানায় ইউরোপীয় কমিশন। আগস্টের ১ তারিখ থেকে মার্চ ২০২৩ পর্যন্ত গ্যাসের ব্যবহার কমানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়। রাশিয়া গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিতে পারে এমন আশঙ্কা থেকেই এই প্রস্তাব দিয়েছে ইউরোপীয় কমিশন।

বাল্টিক সাগরের নিচ থেকে জার্মানি পর্যন্ত রয়েছে নর্ড স্ট্রিম ১ পাইপলাইন। গত ১১ জুলাই থেকে এই পাইপলাইন দিয়ে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়।

এদিকে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। যুদ্ধ-সংঘাতের ক্রমবর্ধমান এই উত্তেজনার মধ্যে, জার্মান কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছিলেন রাশিয়া হয়তো এই পাইপলাইন দিয়ে আর গ্যাস সরবরাহ নাও করতে পারে। রাশিয়া থেকে জার্মানিতে গ্যাস সরবরাহের প্রধান উৎস এটি।

অপরদিকে গত বছর ইউরোপের দেশগুলোতে ৪০ শতাংশ প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ করেছে রাশিয়া। ২০২০ সালে রাশিয়া থেকে সবচেয়ে বেশি গ্যাস সরবরাহ করা হয়েছে জার্মানিতে। কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে দেশটি রাশিয়া থেকে গ্যাস সরবরাহ ৫৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩৫ শতাংশে এনেছে। তারা গ্যাসের জন্য রাশিয়ার ওপর থেকে পুরোপুরি নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনতে চায়।

তবে নতুন করে গ্যাস সরবরাহ চালু হলেও ওই পাইপলাইনের পূর্ণ সক্ষমতার চেয়ে কম গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার প্রায় ৪০ শতাংশ গ্যাস সরবরাহ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহীদের দুই রাষ্ট্র ‘দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক’ ও ‘লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক’কে স্বীকৃতি দিয়ে শান্তি রক্ষায় ওই অঞ্চলে সেনাবাহিনী পাঠায় রাশিয়া।

পরে ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশপন্থী বিদ্রোহীদের সহায়তার লক্ষ্যে মস্কো স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনীকে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার অভিযানের নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত সংঘাত অব্যাহত রয়েছে।

এইচএন