রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সহিংসতা সীমান্তের বাইরেও ছড়িয়ে পড়তে পারে: প্রধানমন্ত্রী
Share on:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা ও অপরাধ শিগগিরই সীমান্তের বাইরে ছড়িয়ে পড়তে পারে’।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা ও অপরাধ শিগগিরই সীমান্তের বাইরে ছড়িয়ে পড়তে পারে’।
তিনি এই ইস্যুতে যথাযথ মনোযোগ দেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তা পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠছে এবং ক্রমবর্ধমান সহিংসতা ও অপরাধ শিগগিরই আমাদের সীমান্তের বাইরেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।’
আজ শুক্রবার ( ২৬ নভেম্বর) কম্বোডিয়ায় দুই দিনব্যাপী ১৩তম আসেম (এএসইএম) শীর্ষ সম্মেলনে শেষ দিনে প্রচারিত এক ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বিশ্ব সম্প্রদায়কে সতর্ক করে বলেন, এই সঙ্কটের প্রতি অস্থায়ী প্রতিক্রিয়া খুব সামান্য উদ্দেশ্য পূরণ করবে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের বহুপাক্ষিক সহযোগিতার একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা হবে মিয়ানমারের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত জনগণ-রোহিঙ্গাদের জন্য একটি স্থায়ী ও শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজে বের করা।’
এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের অস্থায়ী আশ্রয় দিয়েছে এবং পরিস্থিতি স্থিতিশীল করেছে।
তিনি বলেন, আমরা মিয়ানমারে তাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনে জোর দাবি জানাচ্ছি। আমরা যে উদ্বেগ প্রকাশ করছি তার প্রতি যথাযথ মনোযোগ দেয়ার জন্য আমি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাই।’
শেখ হাসিনা বলেন, কোভিড-১৯ মহামারী বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও অর্থনীতির ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করেছে।
তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের আমাদের উন্নয়ন সংস্থানগুলো জরুরি চিকিৎসা ও ভ্যাকসিন কার্যক্রমে ব্যয় করতে বাধ্য করেছে।’
এই বিষয়ে তিনি বলেন, তার সরকার জীবন ও জীবিকা উভয় সুরক্ষার কৌশল গ্রহণ করেছে। মহামারির প্রভাব মোকাবেলায় ৫৪০ কোটি মার্কিন ডলারের ২৮টি উদ্দীপনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের অগ্রাধিকার এখন আমাদের কষ্টার্জিত উন্নয়ন ধরে রাখা, দারিদ্র ও ক্ষুধা হ্রাস করা, মা ও শিশুদের রাঁচানো, শিক্ষা ও সাক্ষরতা বৃদ্ধি করা এবং স্বাস্থকর জীবনযাপন নিশ্চিত করা।’
তিনি বলেন, সরকার ২০২২ সালের মার্চের মধ্যে দেশের জনসংখ্যার ৮০ শতাংশকে টিকা দেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। তথ্যসূত্র : ইউএনবি।
এইচএন