গাজায় বেসামরিক মানুষকে টার্গেট করা হায়েনার মতো অপরাধ: সৌদি প্রিন্স
Share on:
যুদ্ধে বিধ্বস্ত গাজায় ত্রাণ পাঠানোর জন্য রাফা সীমান্ত পয়েন্ট খুলে দেয়ার অনুমোদন দিয়েছে মিশর। তবে ওই সীমান্ত দিয়ে ত্রাণবাহী ২০টি পর্যন্ত ট্রাক ঢুকতে পারবে গাজায়। বুধবার রাতভরও গাজায় বিমান থেকে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরাইল।
এ অবস্থায় যুদ্ধ নিয়ে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। তাকে ফোন করেছিলেন কিশিদা। এই ফোনকলে তারা গাজায় সামরিক উত্তেজনা নিয়ে আলোচনা করেন। জবাবে ক্রাউন প্রিন্স জোর দিয়ে জানিয়ে দেন- সৌদি আরব মনে করে গাজায় বেসামরিক লোকজনকে টার্গেট করাকে হায়েনার মতো অপরাধ ও নৃশংস হামলা বলে বিবেচনা করে তার দেশ। কারণ, ৭ই অক্টোবর হামাসের হামলার জবাবে গাজায় বসবাসরত ২৩ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ অবরোধ আরোপ করে ইসরাইল। পানি, খাদ্য, ওষুধ, জ্বালানিসহ সব রকম মৌলিক চাহিদার বিরুদ্ধে এই অবরোধ।
এসব মানুষকে রক্ষা করার জন্য কাজ করার গুরুত্বের ওপর জোর দেন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। তিনি সামরিক অভিযান বন্ধের জন্য শক্তিশালী উদ্যোগ নেয়ার ওপর গুরুত্ব দেন। বলেন, এই উত্তেজনা প্রশমন করতে হবে। কারণ, এতে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা, শান্তি ও স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়তে পারে।
ওদিকে ইরান, তুরস্ক ও লেবাননের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে একই বিষয়ে কথা বলেছেন, সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান। বুধবার তিনি জেদ্দায় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির আবদুল্লাহিয়ানের সঙ্গে কথা বলেন। একই দিনে লেবাননের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদাল্লাহ বু হাবিবের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। তিনি বলেছেন, গাজায় চলমান যুদ্ধ বন্ধে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সব পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছে সৌদি আরব। গাজা পরিস্থিতি নিয়ে ওআইসির জরুরি অধিবেশনের এক ফাঁকে হোসেন আমির আবদুল্লাহিয়ানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, বেসামরিক সাধারণ মানুষকে টার্গেট করাকে প্রত্যাখ্যান করে সৌদি আরব।
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ফিলিস্তিনিদের পক্ষে অনড় প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে সৌদি আরব। ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য বৈধ অধিকার ও তা নিশ্চিত করার জন্য বিস্তৃত একটি শান্তি পরিকল্পনার উদ্যোগকে সমর্থন করে সৌদি আরব। তিনি একই দিনে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। তাতেও একই বিষয়ে আলোচনা করেন তারা।
এমবি