tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
রাজনীতি প্রকাশনার সময়: ০৪ জুন ২০২৩, ২০:৩৫ পিএম

২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে ছাত্রশিবিরের প্রতিক্রিয়া


34

প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট ২০২৩-২৪-এ শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি ও মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনতে হবে


উচ্চাভিলাষী ঘাটতি বাজেট জনগণের কল্যাণে নয়; বরং মুষ্টিমেয় কিছু সরকারি তোষামোদদারদের কল্যাণেই প্রণয়ন করা হয়েছে। গত ১ জুন, ২০২৩ (বৃহস্পতিবার) তারিখে জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আগামী অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাবনা পেশ করেছেন। এ বিরাট অঙ্কের বাজেটের মধ্যে ২ লক্ষ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকাই ঘাটতি থাকবে। যার ফলে দেশের ব্যাংকিং খাতের ওপর অনেক বেশি প্রভাব পড়বে। বিনিয়োগকারীর পরিমাণ কমবে আর বিদেশি ঋণের বোঝা আরও বেশি বর্ধিত হবে। এদিকে আয়ের যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, তা অর্জনের জন্যও নেই কোনো সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা। দ্রব্যমূল্যের উচ্চহার আর মুদ্রাস্ফীতির কারণে নিম্ন আর মধ্য আয়ের মানুষ আজ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বছরের পর বছর দেশের মানুষের মধ্যে আয়বৈষম্য বেড়েই চলেছে (গত ১২ বছর যাবৎ গিনি সহগ ঊর্ধ্বমুখী)। ফলে জিডিপি আর মাথাপিছু আয়ের চমকপ্রদ উন্নয়ন দেখলেও অর্থনীতির টেকসই উন্নয়ন লক্ষ করা যাচ্ছে না।

২০২৩-২৪ সালের প্রস্তাবিত বাজেটটি কোনোভাবেই শিক্ষাবান্ধব বাজেট নয়। এ বাজেটে কলমের ওপর ১৫% ভ্যাট বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। ফলে গত বছর থেকে শিক্ষা উপকরণের চরম হারে যে মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে তা আরো প্রকট হবে। কাগজের উচ্চ মূল্যবৃদ্ধির কারণে অনেক প্রকাশনা সংস্থা দেউলিয়া হয়ে গেছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিত্যপ্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণ ক্রয় করতে বেগ পেতে হচ্ছে। এদিকে বিভিন্ন মহল হতে শিক্ষাখাতে বরাদ্দের পরিমাণ বৃদ্ধির জোর দাবি থাকলেও কখনোই তা সরকারের দৃষ্টিতে আসছে না। ফলে টাকার অঙ্কে মোট বাজেট বাড়লেও জিডিপির অনুপাতে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ পূর্বের তুলনায় কমছে। ২০২৩-২৪ সালের প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৮৮ হাজার ১৬২ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের মূল বাজেটে শিক্ষায় বরাদ্দ ছিল ৮১ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ১২ শতাংশ ছিল। সে হিসাবে নতুন অর্থবছরে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ মোট বাজেটের অনুপাতে কমেছে।

চলতি অর্থবছরের শিক্ষাখাতের বাজেট বরাদ্দ দেখে অবাক হবার দশা! কারণ, শিক্ষায় যে পরিমাণ বাজেট বরাদ্দ দেওয়ার কথা ছিল, তার অর্ধেকও এবার দেওয়া হয়নি। আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে একটি দেশের শিক্ষাখাত মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৬ শতাংশ বা বাজেটের ২০ শতাংশ বরাদ্দ পেলে তা আদর্শ ধরা হয়। নতুন বাজেটে শিক্ষাখাতে যে বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে, তা জিডিপির ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে (২০২২-২৩) মূল বাজেটে এ খাতের বরাদ্দ ছিল জিডিপির ১ দশমিক ৮৩ শতাংশ। আর ২০২১-২২ অর্থবছরের মূল বাজেটে এ খাতের বরাদ্দ ছিল জিডিপির ২ দশমিক ০৮ শতাংশ। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে শিক্ষাখাতে সরকারি বরাদ্দের কী বেহাল অবস্থা!

আমরা মনে করি, একটি দেশের মূল উন্নয়ন হওয়া উচিত শিক্ষায়; কিন্তু আমাদের বাজেটে বেশি বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে অবকাঠামো খাতে, যা মোটেও কাম্য নয়। ভালো শিক্ষক না থাকলে ভালো শিক্ষার্থী তৈরি হবে না। এটা নিশ্চিত করা দরকার ছিল যে, এখানে মেধাবী শিক্ষকরা যাতে যোগদান করে এবং তারা যেন ৩/৪ বছর পর অন্য চাকরিতে ভালো সুযোগ পেলে চলে না যান। বিশেষ করে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকদের চাকরি স্থানান্তরের প্রবণতা অনেক বেশি। এখানে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবি রাখে। এ ছাড়াও শিক্ষকদের  হাতেকলমে যুগোপযোগী ট্রেনিং দিতে হবে—সেই খাতে বেশি অর্থ ব্যয়ের দিকে জোর দিতে হবে। কিন্তু প্রস্তাবিত বাজেটে এসবের ছিটেফোঁটাও নেই!

শিক্ষার্থীদের জন্য দুপুরবেলা যে খাবারের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে, তাতে আরও জোর দিতে হবে। কারণ, আমাদের দেশের অনেক শিক্ষার্থী নিয়মিত খাবার খেয়ে স্কুলে আসে না। দুপুরে খাবারের ব্যবস্থা থাকলে স্কুলে তাদের উপস্থিতিও বাড়বে; পাশাপাশি তাদের পুষ্টির জোগানও হবে। কোভিডে-১৯ শিক্ষাব্যবস্থায় যে ঘাটতি হয়েছে, তা এখনো পূরণ করা সম্ভব হয়নি। শিক্ষার্থীদের শেখার ক্ষেত্রে অনেক ঘাটতি হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পড়ানো হয়েছে, যা প্রভাব পড়ছে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষাসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায়। এই ঘাটতি পূরণের জন্য বাজেটে কোনো বরাদ্দ নেই!

কয়েকটি প্রতিবেশী দেশের দিকে চোখ তুলে তাকালেই বোঝা যাবে শিক্ষাক্ষেত্রে আমাদের দৈন্যদশা। মালয়েশিয়ার শিক্ষাক্ষেত্রে বাজেট থাকে মোট বাজেটের প্রায় ২০ শতাংশ, যা জিডিপির প্রায় ৫/৬ শতাংশ। প্রতিবেশী নেপালের শিক্ষাক্ষেত্রে বাজেটের আকার জিডিপির ৪ শতাংশ। ভুটান তার বাজেটের ১৬.২৪ শতাংশই বরাদ্দ রাখে শিক্ষাক্ষেত্রে। নিকটতম প্রতিবেশী ভারতের বাজেটে শিক্ষাক্ষেত্রে বরাদ্দ থাকে জিডিপির ৩.১ শতাংশ।

১৯৭২ সালে স্বাধীনতার ১ বছরের মাথায় যেখানে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ ছিল জিডিপির ৪ শতাংশ, যা মোট বাজেটের ২২ শতাংশ।  সেই জায়গা থেকে প্রতিনিয়ত পুরো বিশ্বব্যাপী শিক্ষার কদর বাড়লেও আমাদের টনক যেন নড়ছেই না। সাম্প্রতিক বাজেটের দিকে খেয়াল করলে দেখা যায়, ২০১৮-১৯ বাজেটে শিক্ষাক্ষেত্রে বাজেটের পরিমাণ ছিল জিডিপির ২.৬১ শতাংশ, ২০১৯-২০ সালে তা হয়েছে ২.৭৫ শতাংশ এবং ২০২০-২১ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২.০৯ শতাংশ ও ২০২১-২২-এ হয়েছে ২.০৮ শতাংশ। তবে ২০২২-২৩ সালে তা আশঙ্কাজনক হারে কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ১.৮৩ শতাংশ!

শিক্ষাখাতে মূলত তিনটি স্টকহোল্ডার রয়েছে—শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠান প্রশাসন। এই তিন অংশীজনের ব্যাপারটি মাথায় রেখে বাজেটে বরাদ্দের ব্যাপারটি নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া করোনা-পরবর্তী সময়ে শিক্ষাখাতে যেসব উন্নয়নমূলক কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে, সেগুলো সফল করতে ভালো অঙ্কের বরাদ্দের প্রয়োজন। এ দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো র‌্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে থাকার একটি বড় কারণ যথোপযুক্ত গবেষণা না হওয়া। কাজেই গবেষণা খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। তা নাহলে বিষয়টি না প্রসারিত হচ্ছে, না বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সেখানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিতে পারছে।

সম্প্রতি প্রকাশিত গ্লোবাল এডুকেশন মনিটরিং রিপোর্ট ২০২২-এ বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ বাংলাদেশে মাধ্যমিকে ৯৪ শতাংশ শিক্ষার্থী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী। বাংলাদেশে শিক্ষা ব্যয়ের ৭১ শতাংশ পরিবার বহন করে। তবে এনজিও স্কুলের ফি সরকারির তুলনায় তিনগুণ ও বেসরকারি কিন্ডারগার্টেনের ফি সরকারির তুলনায় প্রায় ৯ গুণ বেশি।

উন্নত বিশ্বের দিকে তাকালে সহজেই অনুমেয়, শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান আমাদের জাতীয় উন্নয়নের জন্য কতটুকু প্রয়োজন। যে দেশ শিক্ষাক্ষেত্রে যত বেশি উন্নতি সাধন করতে পেরেছে, সে দেশ তত বেশি দক্ষ জনসম্পদ তৈরি করতে পেরেছে। এদিকে বাংলাদেশ সরকারের গাফিলতি লক্ষণীয়। এর বাইরে দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে প্রযুক্তির সীমাবদ্ধতা বিশেষভাবে লক্ষণীয়। ডিজিটাল বাংলাদেশ কিংবা স্মার্ট বাংলাদেশ নামক রূপকথার ছিটেফোঁটা হলেও শিক্ষাক্ষেত্রে বিদ্যমান থাকা সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিক্ষক শিক্ষার্থীর অনুপাতের আদর্শ অনুপাত যেখানে ১:১২/১৩, সেখানে আমাদের দেশে তা ১:৩৫! এক্ষেত্রে নতুন যোগ্য, দক্ষ শিক্ষক নিয়োগের ব্যাপারে চিন্তা করা বাঞ্ছনীয়। পাশাপাশি প্রতিবছর বিশালসংখ্যক শিক্ষিত বেকারের সংখ্যার বাড়তি গ্রাফ নিচের দিকে ধাবিত করার পরিকল্পনাও অতি সত্বর নিতে হবে।

আরেকটি ব্যাপার লক্ষণীয়, বাংলাদেশের শিক্ষাখাতের বাজেটে বৈষম্যের বিষয়টি খুবই দৃষ্টিকটু। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য এবার ৩৪ হাজার ৭২২ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জন্য ৪২ হাজার ৮৩৮ কোটি টাকা এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষার জন্য ১০ হাজার ৬০২ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যমতে, বাংলাদেশে কারিগরি এবং মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থায় প্রায় ১১ শতাংশ শিক্ষার্থী অন্তর্ভুক্ত। এছাড়াও রয়েছে কওমি মাদ্রাসার প্রায় ২০ লক্ষ শিক্ষার্থী। দেশে অল্প কিছু মাদ্রাসা সরকারি। অবকাঠামোগত দিক দিয়ে মাদ্র্রাসাসমূহ যুগ যুগ থেকে অবহেলিত। আর দেশের বাস্তবিক অগ্রগতির জন্য কারিগরি ক্ষেত্রে উন্নত শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। মুখে মুখে কারিগরি শিক্ষার কথা বলা হলেও সেখানে নেই বড় ধরনের কোনো বিনিয়োগ। আমরা লক্ষ করছি, এ দুই শিক্ষাক্ষেত্রে সরকারি বরাদ্দ মোট শিক্ষাখাতে প্রস্তাবিত বরাদ্দের মাত্র ১২ শতাংশ। ধর্মীয় ও কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে সরকারি নীতিনির্ধারকদের বিমাতাসুলভ আচরণ কোনোভাবেই কাম্য নয়।

শিক্ষাক্ষেত্রের পাশাপাশি উন্নত বিশ্বে অন্যতম গুরুত্ব প্রদান করা হয়ে থাকে গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে। যে জাতি তার গবেষণা খাতে যত উন্নতি সাধন করতে পেরেছে, সে জাতি তত উন্নতি করতে পেরেছে।  জাপান, চীন, যুক্তরাষ্ট্র কিংবা দক্ষিণ কোরিয়ার দিকে তাকালে এ সত্য সহজেই উপলব্ধি করা সম্ভব। বর্তমানে পৃথিবীব্যাপী ১২৫টি দেশের গবেষণা ও উন্নয়ন নামে আলাদা খাত আছে। সে তালিকায় প্রতিবেশী নেপাল থাকলেও বাংলাদেশের আদৌ সে সৌভাগ্য হয়ে ওঠেনি। আসন্ন জাতীয় বাজেটে উক্ত বিষয়গুলো আমলে নেওয়া এখন সময়ের দাবি। অন্যথায় জাতীয় সংকট নিরসন করে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর পথে শেষ পেরেকটাও ঠুকে দেওয়া হবে।

দেশে উচ্চশিক্ষাখাতে সরকারি বরাদ্দ জাতীয় বাজেটের মাত্র শূন্য দশমিক ৮৭ শতাংশ, যা যেকোনো বিচারেই অপ্রতুল। কাজেই জাতীয় বাজেটে উচ্চশিক্ষায় খাতওয়ারি বরাদ্দ চিহ্নিত করতে সরকারকে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। অধিকন্তু সরকার কর্তৃক অনুমোদিত ‘স্ট্রাটেজিক প্ল্যান ফর হাইয়ার এডুকেশন ইন বাংলাদেশ : ২০১৮-২০৩০ (এসপিএইচই-২০১৮-২০৩০)’ অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে উচ্চশিক্ষাখাতে জাতীয় বাজেটের ৬ শতাংশ বরাদ্দ রাখার বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা অতীব জরুরি। সেখানে ২০২২ সালের মধ্যে ২ শতাংশ করার কথা থাকলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি!

সর্বোপরি দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য সরকারের প্রতি আমাদের দাবি হচ্ছে, শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, ক্ষুদ্র বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য বিশেষ প্রণোদনা ও স্বচ্ছ ব্যবসায়িক পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে, ঋণ খেলাপিদের ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপের ঘোষণা দিতে হবে, জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ওপর সরকারি ভর্তুকি বাড়াতে হবে।

এন