tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
আন্তর্জাতিক প্রকাশনার সময়: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ২১:১৮ পিএম

ইরানে আকাশচুম্বী দ্রব্যমূল্য, শিল্পমন্ত্রী অভিশংসিত


৪

আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার চাপে বিপর্যস্ত ইরানে দ্রব্যমূল্য আকাশচুম্বী হওয়ায় দেশটির শিল্পমন্ত্রী রেজা ফাতেমি আমিনকে অপসারণে সংসদে ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সংসদে অনুষ্ঠিত ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছেন ইরানের এই শিল্পমন্ত্রী।


ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, রেজা ফাতেমি আমিন সংসদে আস্থা ভোটে তার পক্ষে পর্যাপ্ত সমর্থন পেতে ব্যর্থ হয়েছেন। ভোটাভুটিতে ১৬২ জন সংসদ সদস্য তার অপসারণের পক্ষে এবং ১০২ জন বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন।

একই ইস্যুতে এ নিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো সংসদে আস্থা ভোটের মুখোমুখি হলেন রেজা ফাতেমি। এর আগে, গত বছরের নভেম্বরে সংসদে আস্থা ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে নিজের পদ টিকিয়ে রেখেছিলেন তিনি। ওই সময় সংসদে আস্থা ভোটে ১৮২ জন সংসদ সদস্য তার পক্ষে ভোট দেন।

ইরানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা ঘিরে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে বিদেশি আমদানি হ্রাস পেয়েছে। দেশটিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর দাম ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। দ্বিতীয় দফায় শিল্পমন্ত্রী রেজা ফাতেমির বিরুদ্ধে সংসদে আস্থা ভোট আয়োজনের অন্যতম প্রধান কারণ ছিল দেশটিতে নতুন করে স্থানীয়ভাবে তৈরি গাড়ির দাম বৃদ্ধি।

দেশটির সরকারের প্রধান প্রধান বিভিন্ন নীতিমালার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার ক্ষমতা রয়েছে সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির। গত বছর গাড়িসহ স্থানীয়ভাবে তৈরি নিম্নমানের বিভিন্ন ধরনের পণ্যসামগ্রীর উচ্চমূল্য নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন তিনি।

পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা, ব্যাপক মুদ্রাস্ফীতি আর ২০১৮ সালের পর থেকে ডলারের বিপরীতে রিয়ালের রেকর্ড অবমূল্যায়নের কারণে ইরানের অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকটের এমন সময়ে দেশটির সংসদে শিল্পমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আস্থা ভোট অনুষ্ঠিত হলো।

২০১৮ সালে বৈশ্বিক পারমাণবিক চুক্তি থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজ দেশকে প্রত্যাহার করে ইরানের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের একের পর এক নিষেধাজ্ঞায় ইরানের অর্থনীতি সংকটের মুখোমুখি হওয়ায় দেশজুড়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়।

সংসদে ভোটের আগে শিল্পমন্ত্রীর পক্ষে সাফাই গেয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ‘এই মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থাপনায় স্থিতিশীলতা’ রক্ষার আহ্বান জানান।

পরে ফাতেমি আমিন যুক্তি দিয়ে বলেন, অটোমোবাইল শিল্প আমদানির ওপর নির্ভরশীল। যে কারণে নিষেধাজ্ঞার উত্থান-পতনের সাথে এর সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু দেশটির সংসদ সদস্য লোতফুল্লাহ সিয়াহকালি শিল্পমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এই খাতের প্রবৃদ্ধির বিষয়ে প্রেসিডেন্টের কাছে ভুল পরিসংখ্যান তুলে ধরার অভিযোগ করেন।

‘যদি প্রবৃদ্ধি হয়, তবে কেন আমরা মানুষের জীবনে এর প্রভাব দেখতে পাই না?, প্রশ্ন করেন তিনি। লোতফুল্লাহ বলেন, অটো শিল্পকে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়া উচিত মন্ত্রণালয়ের।

সংসদের স্পিকার মোহাম্মদ বাঘের গালিবাফ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত অধিবেশনে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন। সূত্র: এএফপি

এমআই