tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
সারাদেশ প্রকাশনার সময়: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৮:১৩ পিএম

অস্ত্র জমা দেননি সাবেক এমপির ভাই বড় মনির


gun-hamla-20240906174833

টাঙ্গাইলে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পিস্তল ও শর্টগান দিয়ে গুলি বর্ষণ করেছিলেন টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর-গোপালপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ছোট মনিরের বড় ভাই আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম কিবরিয়া বড় মনির।


গুলি বর্ষণের সেই ছবি সরকার পতনের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপর অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার সারাদেশে আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনামলে দেওয়া সব আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করে গত ৩ সেপ্টেম্বর মধ্যে সেগুলো জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল।

জমাদানের সর্বশেষ তারিখেও ছাত্র-জনতা আন্দোলনে ব্যবহৃত দুটি আগ্নেয়াস্ত্রের একটিও জমা দেননি জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব ও শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গোলাম কিবরিয়া বড় মনির।

শুধু তিনিই নন তার ছোট ভাই সাবেক সংসদ সদস্য ছোট মনিরের নামে লাইসেন্স হওয়া দুটি আগ্নেয়াস্ত্রের একটিও জমা দেননি। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে উদ্ধার হওয়া অস্ত্র তালিকাতেও বড় মনির ও সাবেক এমপি ছোট মনিরের আগ্নেয়াস্ত্রের জমা দেওয়ার তথ্য নেই।

জানা গেছে, টাঙ্গাইলে ছাত্র আন্দোলনে ৪ আগস্ট আদালতপাড়ার পুকুর পাড় এলাকায় ছাত্র-জনতার উপর প্রথমে শটগান দিয়ে গুলি করেন গোলাম কিবরিয়া বড় মনির। এরপর তিনি নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে পিস্তল দিয়ে গুলি করছেন। একপর্যায়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পিছু হটতে বাধ্য হন বড় মনির ও তার লোকজন।

পরে আদালতপাড়ায় বড় মনিরের বাসায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুব্ধরা। শুধু বাসায়ই নয় তার ভাই সাবেক এমপি ছোট মনিরের পেট্রোল পাম্পেও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এরপর ৫ আগস্ট সরকার পতনের পরই বড় মনিরের গুলি করা এমন দুটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার ১২টি উপজেলায় ২০৫টি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়। এরমধ্যে সরকার নির্দেশে ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র জমা পড়েছে ১১৮টি। এখনও ৮৭টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা পড়েনি জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে।

আগ্নেয়াস্ত্র জমা দেওয়া তালিকায় দেখা গেছে, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ঠিকানা ব্যবহার করে সাবেক এমপি তানভীর হাসান ছোট মনির ইতালির তৈরি পিস্তল ও তুর্কি তৈরি শটগান এবং তার বড় ভাই পরিবহন শ্রমিক নেতা গোলাম কিবরিয়া বড় মনির ইতালির তৈরি শটগান ও জার্মানির তৈরি পিস্তলের লাইসেন্স নেওয়া আগ্নেয়াস্ত্রগুলো দুই ভাইয়ের কেউ জমা দেননি।

এছাড়াও সদর উপজেলার চেয়ারম্যান খোরশেদ আলমের পিস্তল ও বন্দুক, সাবেক মেয়র জাহিদুর রহমান খান মুক্তির পিস্তল ও শটগান, তার ছোট ভাই জাহিদুর রহমান খান কাকনের রাইফেল জমা দেননি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা পুলিশের কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, অনেকেই আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স নিয়েছেন কিন্তু অস্ত্র ক্রয় করেননি। এমন সংখ্যাও রয়েছে। আবার যে তালিকা হচ্ছে তাতে সব তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। অনেকেই জেলার বাইরে থেকে হয়ত জমা দিচ্ছেন, সেগুলো এই জেলায় অর্ন্তভুক্ত হচ্ছে না। সেগুলোর তথ্য আসার পর মূল তালিকা তৈরি হবে। এছাড়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে মূল আগ্নেয়াস্ত্রের তথ্য পাওয়া যাবে।

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) মো. শরফুদ্দিন জানান, এখনও সবগুলো আগ্নেয়াস্ত্রের তথ্য পাওয়া যায়নি। আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে কাজ চলছে।

এনএইচ