আমরা সকল শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দিতে চাই : ড. মাসুদ
Share on:
বাউফল উন্নয়ন ফোরামের চেয়ারম্যান ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, আমাদের কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আমরা বাউফলের সকল শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দিতে চাই। এলাকার যারা বিত্তবান আছেন, যারা বিভিন্নভাবে প্রভাবশালী রয়েছেন সবার সহযোগিতা নিয়ে আমরা একাজ পরিচালনা করতে চাই। আমি প্রত্যেকের কাছে আহ্বান জানাতে চাই, আমাদের বাউফলের এই সন্তানতুল্য শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়ার জন্য আপনারা সহযোগিতা করুন।
শনিবার (১ এপ্রিল) বাউফল উন্নয়ন ফোরামের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত পাঠ্যবই উপহার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, আমরা কোনো রাজনৈতিক গন্ডি পরিধি সীমারেখা করতে চাই না। আমরা বিশ্বাস করেছি, একজন মানুষ হিসেবে নিজেকে সুন্দর ভাবে গড়ে তুলে এই বাউফলের প্রতিটি সন্তান সমাজ দেশ রাষ্ট্রের জন্য বড় ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। আমরা মনে করি একটা সন্তানকে সুশিক্ষা দিয়ে গড়ে তুলতে পারলে শুধুমাত্র এই বাউফলকেই গড়ে তোলা নয় বরং একটা সুন্দর বাংলাদেশকে গড়ে তোলা হবে। আমরা সেজন্য চ্যালেঞ্জ নিয়েছি, বাংলাদেশকে সুন্দর করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমরা এই বাউফলকে গড়ে তোলার জন্য অঙ্গিকারাবদ্ধ। তথাকথিত রাজনীতিবিদরা যখন শিক্ষার্থীদের হাতে অস্ত্র মাদক তুলে দিচ্ছে তখন আমরা তাদের হাতে তুলে দিচ্ছি বই খাতা কলম। সঠিকভাবে এই বাউফলকে আমরা গড়ে তুলতে চাই। বাউফল হবে একটি মডেল এলাকা।
তিনি বলেন, আজকে অনেক দুঃসংবাদ আমাদের বাউফলে আছে, আজকে আমাদের স্কুলের সন্তানদেরকে তার সহপাঠিরা হত্যা করছে। নবম শ্রেণীর ছাত্ররা তাদের মাঝে আজকে কিশোর গ্যাং তৈরি করে ফেলেছে। আমাদের জন্য দুর্ভাগ্য এটা, এসব ছোট্ট সন্তানদের হাতে খুন হচ্ছে অনেকে। এটার পিঁছনে বড় বড় রাজনৈতিক দলের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভূমিকার মাধ্যমে তারা এই কিশোর গ্যাং গুলোকে লালন পালন করছে বলে আমরা মনে করি। আজকে তাদের হাতে তারা বই তুলে দিতে পারেন না ঠিকই কিন্তু পত্র পত্রিকার মাধ্যমে আমরা জেনেছি দেখেছি, আমাদের এসব সন্তানদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। বই তুলে দিতে ব্যর্থ হলেও তারা আমাদের সন্তানদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছে। তারা আমাদের সন্তানদের হাতে মাদক তুলে দিয়েছে। এসব ছাত্র শিক্ষার্থীদের চরিত্র নষ্ট করে দিতে তারা নানাবিধ কাজ করে যাচ্ছে। তাদের বাবা-মায়ের সামনে আদব কায়দাহীন একটি সন্তান তারা তুলে ধরেছে। যারা শিক্ষকদেরকে সম্মান করে না। এই ব্যর্থতার পিঁছনে অবশ্যই আমাদের রাজনৈতিক একটা গোষ্ঠীর বড় ব্যর্থতার ছবি স্পষ্ট হয়েছে। আসুন ধর্মীয় নৈতিকতা শিক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি এসব ছাত্র-ছাত্রীদেরকে আমরা দেশের কল্যাণে সঠিকভাবে গড়ে তুলি।
ফোরামের অন্যতম উপদেষ্টা মাওলানা রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্র প্রতিনিধি মুজাহিদুল ইসলাম, বিশিষ্ট ব্যক্তি মাওলানা মু. ইসহাক মিয়া, মাওলানা আব্দুদ দাইয়্যান, অধ্যাপক খালিদুর রহমান, আলী আজগর, হাফেজ মাহদী হাসান, মুজাহিদুল ইসলাম, কবির হুসাইন, মু. আল আমিন সহ বিভিন্ন পর্যায়ের স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
এমআই