ভোটের দায়িত্ব পালনে সাহস রাখতে হবে: ইসি রাশেদা
Share on:
গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত হবেন তাদের ভয়ের ঊর্ধ্বে থাকার পরামর্শ দিয়ে নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা বলেছেন, ‘আপনার সাহস নিয়ে কাজ করেন। ভয় পাওয়ার কারণ দেখি না৷ ভয় পাবেন কেন? আমি সরকারি কর্মচারী। এটা আমার রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব। আমাকে ভয় পেলে চলবে না। ভয়ের ঊর্ধ্বে থাকতে হবে। এ সাহসটুকু ভেতরে রাখতে হবেই।’
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা এসব কথা বলেন।
গত ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ আসনে উপনির্বাচনে চরম অনিয়মের অভিযোগ ভোট শেষের দেড় ঘণ্টা আগেই বন্ধ ঘোষণা করে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন। পরে ১২৫ জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তাসহ ভোটের দায়িত্বে থাকা রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব অবেহলার প্রমাণ পাওয়া যায় পাওয়ায় কমিশন তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে। সে ক্ষেত্রে নতুন করে যারা এ ভোটের দায়িত্ব নেবে তাদেরই ভয়ের ঊর্ধ্বে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন এ কমিশনার।
গাইবান্ধা ইলেকশন খুব তাড়াতাড়ি হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ সপ্তাহের শেষের দিকেই তফসিল ঘোষণা করা হবে। জানুয়ারির ১৫ তারিখের আগেই গাইবান্ধা ভোট।’
গাইবান্ধা ভোটে দোষী ১২৫ প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে ভোটে দায়িত্ব দেওয়ার প্রশ্নই আসে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যারা দোষী হয়েছে তাদের আনার আর সুযোগ নেই। প্রিজাইডিং অফিসার নিয়োগ আইনে যা বলা আছে। ওই আইন অনুযায়ী যদি পাওয়া যায় ওই উপজেলায় না হয় অন্য আশপাশের উপজেলা থেকে আনতে হবে। আইনের নির্দেশনা অনুযায়ী আনা হবে। আইনের বাইরে কেউ যাবে না।’
রিটার্নি কর্মকর্তা কে হবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ এ বিষয়ে কমিশন মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হবে। কাকে আনা হবে। রিটার্নিং অফিসার দেওয়ার মতো আমাদেরও বহু কর্মকর্তা আছেন।’
গাইবান্ধায় সুষ্ঠু সুন্দর ভোট হবে আশা প্রকাশ করে এ কমিশনার বলেন, 'গাইবান্ধার পরে যে কয়টা ভোট করেছি কোথাও কোনো ঝামেলা হয় নাই। আশা করি এবারও হবে না। একটা ভালো নির্বাচন উপহার দিতে পারবো।
গাইবান্ধা-৫ আসনে ১৪৫ ভোটকেন্দ্রেই ভোট হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তবে নতুন প্রার্থী হওয়ার কোনো সুযোগ নাই। আইনে সেভাবে বলা আছে।’
তিনি বলেন, গাইবান্ধার তদন্ত রিপোর্ট নিয়ে কোনো আলোচনার দরকার নেই। যথারীতি সিসি ক্যামেরা থাকবে আমারা ওটা পর্যবেক্ষণ করবো। যতগুলো নির্বাচন হবে আমাদের অধীনে সেখানে ভোটাররা আসবে সুষ্ঠুভাবে ইচ্ছামতো ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এটাই আমাদের চাওয়া। নিরন্তর প্রচেষ্টা থাকবে।’
এমআই