২৪ ঘন্টায় সর্বোচ্চ আক্রান্ত দ. কোরিয়ায়
Share on:
শ্বাসতন্ত্রের প্রাণঘাতী রোগ করোনায় শুক্রবার বিশ্বের দেশসমূহের মধ্যে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ায়; এবং একই দিন এই রোগে সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। মহামারি শুরুর পর থেকে করোনায় আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হালনাগাদ তথ্য প্রদানকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার্স জানিয়েছে এ তথ্য।
ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের চার্ট বলছে, শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ২ লাখ ৮২ হাজার ৯৭৬ জন এবং এই রোগে মারা গেছেন ২২৯ জন।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে এই দিন কোভিডে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ২২ জনের এবং দেশটিতে করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৩৯ হাজার ২৫৪ জন।
দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র ব্যতীত বিশ্বের অন্যান্য যেসব দেশে শুক্রবার সংক্রমণ-মৃত্যুর উচ্চহার দেখা গেছে, সে দেশগুলো হলো— জার্মানি (নতুন আক্রান্ত ২ লাখ ৪৫ হাজার ৩৪২ জন, মৃত্যু ২৪২ জন), ভিয়েতনাম (নতুন আক্রান্ত ১ লাখ ৬৯ হাজার ১১৪ জন, মৃত্যু ৭১ জন), যুক্তরাজ্য (নতুন আক্রান্ত ৭২ হাজার ৮২৮ জন, মৃত্যু ১১৪ জন), ফ্রান্স (নতুন আক্রান্ত ৭২ হাজার ৩৩৯ জন, মৃত্যু ১৪৯ জন), নেদারল্যান্ডস (নতুন আক্রান্ত ৬৯ হাজার ১৮৬ জন, মৃত্যু ১৩ জন) এবং ব্রাজিল (নতুন আক্রান্ত ৫৫ হাজার ২১১ জন, মৃত্যু ৪৬৫ জন)।
শুক্রবার বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ লাখ ৮৮ হাজার ৮৮৮ জন এবং এ রোগে মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ৯৪৫ জনের। এই দিনের পর বিশ্বে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪৫ কোটি ৫০ লাখ ৫১ হাজার ৭১৩ জনে ও মোট মৃত্যুর সংখ্যা হয়েছে ৬০ লাখ ৫৭ হাজার ২৪৩ জন।
বিশ্বে বর্তমানে সক্রিয় করোনায় রোগী আছেন ৬ কোটি ১৩ হাজার ১০৮ জন। তাদের মধ্যে করোনার মৃদু উপসর্গ বহন করছেন ৫ কোটি ৯৯ লাখ ৪৬ হাজার ৬৪২ জন এবং গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আছেন ৬৬ হাজার ৪৬৬ জন।
অবশ্য শুক্রবার করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ। ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের তথ্য অনুযায়ী, এ দিন করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৪ লাখ ৪০ হাজার ৩১৮ জন এবং এর মধ্যে দিয়ে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের মোট সংখ্যা পৌঁছেছে ৩৮ কোটি ৮৯ লাখ ৮১ হাজার ৩৬২ জনে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে বিশ্বের প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটিও ঘটেছিল চীনে। তারপর অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। কিন্তু তাতেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় অবশেষে ওই বছরের ১১ মার্চ করোনাকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
এমআই