মানারাতের আশুলিয়া ক্যাম্পাসকে স্থায়ী ঘোষণাসহ ৭ দফা দাবি
Share on:
মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইউজিসি (UGC) অনুমোদিত স্থায়ী ক্যাম্পাস আশুলিয়ায় বহাল রাখাসহ ৭ দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ফোরাম।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) সকাল ১১ টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফোরামের আহ্বায়ক মাহবুবর রহমান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাইদুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান, সদস্য সচিব সাদ বিন জসিম, যুগ্ম সদস্য সচিব পারভেজ, যুগ্ম সদস্য সচিব তিশাদ মো: জুনায়েদ ও আবু হুরায়রা তানভীর সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ফোরামের আহবায়ক মাহবুবুর রহমান লিখিত বক্তব্যে বলেন, মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি একটা স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যা ২০০১ সালে ইউজিসি'র অনুমোদন নিয়ে অস্থায়ী ক্যাম্পাস হিসেবে গুলশানে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে মিরপুরে ভবন ভাড়া নিয়ে সেখানে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ক্যাম্পাসের কার্যক্রম চলেছে। কিন্তু ইউজিসি আইন অনুযায়ী যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব স্থায়ী সম্পত্তিতে স্থায়ী ক্যাম্পাস রাখার শর্ত পূরণের জন্য ২০১২ সালে আশুলিয়ায় ৩৪ একরের (১০ বিঘা) সুবিশাল জমি ক্রয় করে যা ইউনিভার্সিটির একমাত্র নিজস্ব সম্পত্তি ২০১৭ সালের ২৮ জানুয়ারি সরকারের দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মোঃ এনামুর রহমান কর্তৃক উদ্বোধনের মাধ্যমে আশুলিয়াতে ৭টি ফ্যাকাল্টি প্রায় ২০০০ শিক্ষার্থী নিয়ে পূর্ণাঙ্গ ক্যাম্পাস হিসেবে মানারাত ইউনিভার্সিটি তার শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে।
উল্লেখ্য, আশুলিয়া ক্যাম্পাসই ইউজিসি কর্তৃক স্বীকৃত একমাত্র স্থায়ী ক্যাম্পাস অথচ মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান বোর্ড অফ ট্রাস্টি জানেনই না যে বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র স্থায়ী সম্পত্তি হিসেবে আশুলিয়ায় একটি ১০ বিঘা জমি আছো সেখানে ৮ টি ডিপার্টমেন্টে প্রায় ৩০০০ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। কিন্তু ভিসি ড. নজরুল ইসলাম ও কলা অনুষদের ডিন ড. ওবায়দুল্লাহ এই সম্পত্তির বিষয়ে ট্রাস্টিকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখেছেন এবং ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যরা কেউই এখনো স্থায়ী ক্যাম্পাস ভিজিট করেননি। অথচ সরকারের দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মোঃ এনামুর রহমান ২০১৭ সালে আশুলিয়া ক্যাম্পাস উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা জানানো হয় তিনি সবুজে ঘেরা সুবিশাল ক্যাম্পাস দেখে এতো বেশি আপ্লুত হন যে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আরো বেশ কিছু ডিপার্টমেন্ট চালু করার বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করতে বলেন।
তিনি বলেন, ইউজিসির নির্দেশনা মোতাবেক সকল শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম আশুলিয়া স্থায়ী ক্যাম্পাসে পরিচালিত হওয়ার কথা কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সাথে আমরা উপলব্ধি করছি যে, বিশ্ববিদ্যালয় আইন ও ইউজিসি নির্দেশনা অমান্য করে গুলশানে স্থায়ী ক্যাম্পাস করার জন্য কর্তৃপক্ষ কার্যক্রম শুরু করেছে যেখানে জমি নিয়ে মামলা চলমান। এমনকি গুলশান ক্যাম্পাসে স্থায়ী ক্যাম্পাসের সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে যার কোন অনুমতি ইউজিসি থেকে পাওয়া যায়নি। ইউজিসির স্বীকৃতি ছাড়া কিভাবে সুপ্রতিষ্ঠিত স্থায়ী ক্যাম্পাসকে বন্ধ করে দিয়ে একটি অস্থায়ী ক্যাম্পাসকে স্থায়ী ক্যাম্পাস হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা যায়? আমরা মনে করছি এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি বড় ধরনের হুমকি এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের জন্য মারাত্মকভাবে ক্ষতির কারণ।
মাহবুবুর রহমান বলেন, ২০২২ সালে ট্রাস্টি বোর্ড পরিবর্তন করে স্থায়ী ক্যাম্পাসকে গুলশানে স্থানান্তরিত করার প্রক্রিয়া শুরু হয় যা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেক হতাশা কাজ করছে কারণ সুবিশাল স্থায়ী ক্যাম্পাস ছেড়ে গুলশানে ভাড়াকৃত বিল্ডিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করতে চাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ নিয়ে বিগত ৩ মাস ধরে আন্দোলন করে আসছে বর্তমান শিক্ষার্থীরা প্রথমে বর্তমান শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের দারস্থ হয়ে বিষয়গুলো পরিষ্কার করার চেষ্টা করোনা কিন্তু শিক্ষকদের কাছ থেকে সন্তোষজনক উত্তর না পেয়ে। তারা বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মাননীয় মেয়র জনাব আতিকুল ইসলামর কাছে স্মারকলিপি প্রেরণ করেন। কিন্তু সেখানেও কোন ফিডব্যাক শিক্ষার্থীরা পায়নি। উল্টো তাদের উপর চড়াও হন কতিপয় শিক্ষক যারা এই ক্যাম্পাস স্থানান্তরের সাথে সরাসরি জড়িত। তারা শিক্ষার্থীদেরকে বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিয়ে আন্দোলন বন্ধ করে দেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু গত ৮ জুলাই থেকে আশুলিয়া স্থায়ী ক্যাম্পাস সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দিয়ে অনলাইন ক্লাসের নোটিশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তারপর থেকে শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলনকে আরো জোড়ালো করার চেষ্টা করে। শিক্ষার্থীরা কোন কুলকিনারা না পেয়ে তারা ইউজিসির দারস্থ হয়ে, চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন। সেই সাথে রেজিষ্ট্রেশন ও ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে ক্যাম্পাসে আন্দোলনকে চলমান রেখেছেন। কিন্তু আমরা বিভিন্ন মারফত জানতে পেরেছি বিশ্ববিদ্যালয়টির ডিসি ড. নজরুল ইসলাম এসব বিষয় তোয়াক্কা না করে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় যদি ধ্বংস হয়ে যায়। আমাদের কিছু করার নেই। তবুও গুলশানে স্থায়ী ক্যাম্পাস করবোই।” যা একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এবং একজন সাবেক শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদের শঙ্কার কারণ।
তিনি বলেন, গুলশান ক্যাম্পাসকে আমরা সবসময় অস্থায়ী ক্যাম্পাস হিসেবে জেনে এসেছি। কারণ সেখানে ইউজিসির শর্ত পূরণ করার কোন সুযোগ নেই। সেখানে যে জায়গাটির উপর ইউনিভার্সিটি রয়েছে সেই জমিটি নিয়েও এখন মামলা চলমান। উপরন্তু সেখানে মাত্র ৩ টি ডিপার্টমেন্টে ৮৬০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। অন্যদিকে ইউজিসি স্বীকৃত ইউনিভার্সিটির একমাত্র স্থায়ী ক্যাম্পাস আশুলিয়াতে যেখানে মোট ৮ টি ডিপার্টমেন্টে প্রায় ২২০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে একেবারে হঠাৎ করে আশুলিয়া ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করে অস্থায়ী ও ভাড়াকৃত বিল্ডিংয়ে শিক্ষার্থীদের স্থানান্তর করে নিয়ে আসা একটি আবাঘাতী সিদ্ধান্ত বলে আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে। কি কারণে এমন হঠকারী সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে তা সম্পর্কে বর্তমান শিক্ষার্থীরা পুরোপুরি অজ্ঞাতা কারণ গুলশানের চেয়ে আশুলিয়াতে শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ৩ গুণ বেশি। তাছাড়া ক্লাসরুম, লাইব্রেরি, ল্যাব ফ্যাসিলিটি স্থায়ী ক্যাম্পাস আশুলিয়াতে পর্যাপ্ত রয়েছে৷ কিন্তু গুলশানে অস্থায়ী ক্যাম্পাসে সেরকম কোন সুযোগ সুবিধা নেই। কিন্তু তারপরেও প্রায় ৩০০০ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যতকে হুমকির সম্মুখীন করে স্থায়ী ক্যাম্পাস ছেড়ে বিতর্কিত (ভাড়াকৃত) গুলশান ক্যাম্পাসে ক্লাস কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে যা ইউজিসি কর্তৃক অনুমোদিত নয়।
তিনি আরো বলেন, আশুলিয়া দিন দিন একটি একাডেমিক সিটিতে পরিণত হচ্ছে। সেখানে মানারাতের ক্যাম্পাস ১০ বিঘা জমির উপর ২০১৭ সাল থেকে চালু আছে এবং দিন দিন সেই ক্যাম্পাসের গুরুত্ব বেড়ে যাওয়ার কারণে শিক্ষার্থীরা সেই ক্যাম্পাসে ভর্তি হচ্ছে। মানারাতের ১০ বিঘা জমির পাশাপাশি এখানে ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি, সিটি ইউনিভার্সিটি, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি ও ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সুবিশাল ক্যাম্পাস ও হোস্টেল রয়েছে। অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন ক্যাম্পাসে ঢাকা থেকে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের যাতায়াতের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যাপ্ত বাস আছে। এত সুযোগ সুবিধা থাকার পরেও ভিসি ড. নজরুল ইসলাম এবং ডিন ড. ওবায়দুল্লাহ সহ কিছু সুবিধাভোগী শিক্ষকবৃন্দ যাতায়াত দূরত্বের কারণে মানারাতের আশুলিয়ায় স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে চান না। ওনারা মাননীয় মেয়র মহোদয় এবং অন্যান্য ট্রাস্টি মেম্বারদেরকে ভুল তথ্য দিয়ে অন্ধকারে রেখেছেন ১০ বিঘার স্থায়ী ক্যাম্পাস বিক্রি করে। গুলশানে একটি অস্থায়ী ভাড়া নেয়া ক্যাম্পাসে ভিসি এবং হাতেগোনা কয়েকজন শিক্ষকের ঢাকায় থাকার অভিলাষের কারণে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবন হুমকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছেন। আশুলিয়াতে ড্যাফোডিল, সিটি, ব্র্যাক, ইস্টার্ন সহ অন্যান্য ইউনিভার্সিটি থাকতে পারলে মানারাত ইউনিভার্সিটি সেখানে থাকতে অসুবিধা কি?
তিনি বলেন, গত ২০১৭ সাল থেকে ৭ বছরে সেখানে একটি স্থায়ী ক্যাম্পাস রানিং থাকার পরেও শুধুমাত্র দু'চারজন সুবিধাভোগী এবং আরামপ্রিয় শিক্ষকদের কারণে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর শিক্ষার্থী হুমকির সম্মুখীনা মানারাত আগুলিয়া ক্যাম্পাসে বর্তমানে প্রায় ৩০০০ শিক্ষার্থী এবং অভিভাবক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অধিকাংশ মনে করেন সবধরনের আইনগত জটিলতা এড়িয়ে বিতর্কিত (অস্থায়ী ও ভাড়া নেয়া) গুলশান ক্যাম্পাস ছেড়ে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র স্থায়ী সম্পত্তি আশুলিয়া ক্যাম্পাসে থাকাটাই সমীচীন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের স্বীকৃত ক্যাম্পাস হলো একমাত্র আশুলিয়া ক্যাম্পাস ইউজিসির শর্তানুযায়ী একাধিক ক্যাম্পাস চলতে পারে না। গুলশান ক্যাম্পাস অস্থায়ী ক্যাম্পাস এবং ইউজিসির স্থায়ী ক্যাম্পাসের শর্ত পূরণ করে না। এখন সেখানে আবাসিক ভবনের ফ্লোর ভাড়া করে সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালনা করতে চাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, যা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত ছাড়া কিছুই নয়। ভিসি এবং কয়েকজন সুবিধাভোগী শিক্ষকদের গুলশানে থাকার অভিলাষ পূরণের জন্য ওনারা এখন আগুলিয়া ক্যাম্পাস বিক্রি করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যা বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্তিত্বের জন্য চূড়ান্ত হুমকি স্বরূপ।
মাহবুবুর রহমান বলেন, গুলশান ক্যাম্পাসে স্থানান্তর হলে হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মধ্যে চলে যাবে। বিশ্ববিদ্যালয়টির সিএসই, ইইই এবং ফার্মেসী বিভাগের শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, আশুলিয়া ক্যাম্পাস স্থায়ী না হলে তারা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আর পড়বে না।কারণ তাদের জন্য পর্যাপ্ত ল্যাব প্রয়োজন যা গুলশান ক্যাম্পাসের ভাড়া নেয়া বিল্ডিংয়ে সংকুলান সম্ভব নয়।
এ সময় মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন স্টুডেন্ট ফোরাম ৭ দফা দাবি উত্থাপন করেন।
দাবি সমূহ নিম্নরুপ:
১) ইউজিসি রুলস অনুযায়ী গুলশান ক্যাম্পাস স্থায়ী ক্যাম্পাসের শর্ত পূরণ করে না, তাই আশুলিয়া ক্যাম্পাসকেই স্থায়ী ক্যাম্পাস হিসেবে ঘোষণা করতে হবে৷ বর্তমান শিক্ষার্থীরা আশুলিয়া ক্যাম্পাসকে স্থায়ী ক্যাম্পাস জেনে ভর্তি হয়েছে, তারা কোন ভাড়া করা জায়গায় যেতে চায় না।
২) এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশিরভাগ শিক্ষার্থী নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। আশুলিয়া ক্যাম্পাসে থাকা, খাওয়ায় খরচ গুলশানের মত একটি অভিজাত এলাকার চেয়ে অনেক কম। ফলে আশুলিয়া স্থায়ী ক্যাম্পাস পরিচালিত হলে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবন হুমকির মুখে পড়বে না।
৩) বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতির জন্য যদি ক্যাম্পাস হস্তান্তর করতেই হয় তাহলে নিজস্ব জায়গায় প্রয়োজনীয় স্থাপনা, ক্লাসরুম ও ল্যাবরেটরী সহ মানসম্মত প্রয়োজনীয় সকল সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে এবং ইউজিসি কর্তৃক স্বীকৃত হয়ে স্থানান্তর কার্যক্রম শুরু করতে হবে।
৪) অনতিবিলম্বে আশুলিয়া ক্যাম্পাসে অফলাইন (সশরীরে) ক্লাস চালু করতে হবে। অনলাইনে কোন প্রকার ক্লাস বা পরীক্ষা নেওয়া যাবে না।
৫) আশুলিয়া ক্যাম্পাসে বিভাগ ভিত্তিক ল্যাব, ক্লাসরুম সহ প্রয়োজনীয় সকল সুযোগ সুবিধা বাড়াতে হবে। উল্লেখ্য বর্তমানে সিএসই, ইইই, ফার্মেসি এবং জার্নালিজম এর ল্যাব ও প্রয়োজনীয় নানা শিক্ষা উপকরণের সুবিধা বাড়াতে হবে।
৬) স্টুডেন্টদের অধিকার নিয়ে কেউ কথা বললে তাকে কোনরকম হুমকি বা হ্যারেজমেন্ট করা যাবে না।
৭) অনতিবিলম্বে বিলম্বে আত্মঘাতী সকল সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে সুষ্ঠু ও মানসম্মত শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
এন