মিয়ানমারে চার গণতন্ত্রপন্থি কর্মীর ফাঁসি কার্যকর
Share on:
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী দেশটির চার গণতন্ত্রপন্থি কর্মীকে ফাঁসি দিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, বিগত কয়েক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ সাজা হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের প্রথম ব্যবহার হলো দেশটিতে।
সাবেক আইন প্রণেতা ফিও জেয়া থাও, লেখক ও কর্মী কো জিমি, হ্লা মায়ো অং এবং অং থুরা জাওকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের’ জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছিল। সূত্র: বিবিসি।
গত জুন মাসে দেশটির সামরিক বাহিনী কর্তৃক প্রথম ঘোষণা করা এই মৃত্যুদন্ড। পরে আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক নিন্দা ও সমালোচনার মুখে পড়ে মিয়ানমার জান্তা সরকার। ২০২১ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসে দেশটির সেনাবাহিনী।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে দেশটির জান্তা অং সান সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নেতৃত্বে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে। এরপর দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়।
অভ্যুত্থানের বিরোধিতায় গঠিত মিয়ানমারের ছায়া জাতীয় ঐক্য সরকার (এনইউজি) এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে বলেছে যে তারা ‘অত্যন্ত মর্মাহত ও দুঃখিত’। এতে গণতন্ত্রপন্থি ব্যক্তিত্ব, সশস্ত্র জাতিগত গোষ্ঠীর প্রতিনিধি এবং এনএলডি সদস্যরা রয়েছেন। তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দেশটির সেনাবাহিনীর এ নিষ্ঠুরতার জন্য শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রীয় সংবাদ আউটলেট গ্লোবাল নিউজ লাইট অব মিয়ানমারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যে চারজনের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়েছে তারা ‘নির্দেশনা দিয়েছিল, ব্যবস্থা করেছিল এবং নৃশংস ও অমানবিক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য ষড়যন্ত্র করেছিল’। তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী আইনে অভিযোগ আনা হয়।
তবে কখন বা কীভাবে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে তা জানা যায়নি।
জাতিসংঘের মতে, ১৯৮৮ সালের পর এই প্রথম মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে দেশটিতে।
এইচএন