উত্তেজনার মধ্যে ইসরাইলের সহায়তায় যুদ্ধজাহাজ ও বিমান পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
Share on:
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও লেবাননের সশস্ত্রীগোষ্ঠী হিজবুল্লাহর শীর্ষ নেতা নিহত হওয়ার ঘটনায় তুমুল উত্তেজনা বিরাজ করছে মধ্যপ্রাচ্যে। এসব হামলার জন্য ইসরাইলকে দায়ী করেছে ইরান ও তার সমর্থিত মিত্র বাহিনী।
এরইমধ্যে ইসরাইলকে কঠোর জবাবের হুঁশিয়ারিও দিয়ে রেখেছ তারা।
এমন পরিস্থিতিতে ইসরাইলের প্রতিরক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে অতিরিক্ত যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধবিমান পাঠাচ্ছে বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন। স্থানীয় সময় শুক্রবার এ তথ্য জানানো হয়। খবর বিবিসির।
পেন্টাগনের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি সাবরিনা সিং এক বিবৃতিতে বলেন, ‘প্রতিরক্ষা বিভাগ ইরান বা ইরানের অংশীদার এবং প্রক্সিদের দ্বারা আঞ্চলিক উত্তেজনা বৃদ্ধির সম্ভাবনা প্রশমিত করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ অব্যাহত রেখেছে।
৭ অক্টোবর ইসরাইলের ওপর হামাসের ভয়াবহ হামলার পর থেকে ওই অঞ্চলে আমাদের কর্মীদের এবং স্বার্থ রক্ষা করার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। ইসরাইল প্রতিরক্ষায় আমরা দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
পেন্টাগন জানায়, মধ্যপ্রাচ্যে রণতরী ইউএসএস থিওডোর রুজভেল্টের পরিবর্তে ইউএসএস আব্রাহাম লিঙ্কন পাঠানো হয়েছে। এদিকে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন মধ্যপ্রাচ্যে অতিরিক্ত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, প্রতিরক্ষাসক্ষম ক্রুজার, ডেস্ট্রয়ার এবং একটি নতুন ফাইটার স্কোয়াড্রন পাঠানোর কথা জানিয়েছেন।
গোলাম মালভূমিতে হামলায় হতাহতের ঘটনার প্রতিশোধ নিতে মঙ্গলবার বৈরুতে হামলা চালায় ইসরাইল। এ হামলায় নিহত হন হিজবুল্লাহ কমান্ডার ফুয়াদ শুকর। এর কয়েক ঘণ্টা পরই ইরানের রাজধানী তেহরানে হত্যা করা হয় হামাসের শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়াকে। তবে এ হত্যাকাণ্ডের দায় এখনও স্বীকার করেনি ইসরায়েল।
এসএম