ডিজিটাল থেকে স্মার্টের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ : স্পিকার
Share on:
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বৈশ্বিক অর্থনীতির বিপর্যয়, মহামন্দা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং জলবায়ুর বিরূপ মোকাবিলা করেও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে স্বতন্ত্র অবস্থানে রয়েছে। ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ হওয়ার লক্ষ্যে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
রোববার (৫ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগ ও দৈনিক বণিক বার্তা আয়োজিত ‘ফার্স্ট ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স-২০২৪’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার এসব কথা বলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ. এস. এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে এবং উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়েশা খান।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহান স্বাধীনতা অর্জনের পরই সংবিধান প্রণয়ন করেছিলেন, যা গণতন্ত্রের জন্য আইনগত এবং পলিসি ফ্রেমওয়ার্ক হিসেবে কাজ করছে। গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের মধ্য দিয়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সমাজব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনয়ন সম্ভব। স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে যখন রিজার্ভ ছিল না মাত্র সাড়ে তিন বছরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে পুনর্গঠন করেছিলেন এবং একটি উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হতে চলেছে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মতো মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশ সারাবিশ্বে নিজের সক্ষমতা প্রমাণ করেছে। মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বঙ্গবন্ধু টানেল, গভীর সমুদ্রবন্দর ও আন্তমহাদেশীয় যোগাযোগ স্থাপনের মধ্য দিয়ে বর্তমান সরকার প্রতিবেশী দেশগুলোতে নিজের অবস্থান উন্নত করেছে।
স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সারাদেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক জোন প্রতিষ্ঠা এবং শতভাগ বিদ্যুতায়ন অর্জিত হয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়েদের ভাতা প্রদানের মাধ্যমে চরম দারিদ্রসীমার নিচে বসবাসকারী নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, পোশাক শিল্পকারখানায় নারী শ্রমিকের প্রাধান্য, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী বাংলাদেশের নানা পেশাজীবীর প্রেরিত রেমিট্যান্সে দেশের অর্থনীতির চাকা দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরের মাধ্যমে বাংলাদেশ অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য মডেল স্বরূপ।
স্পিকার এ সময় প্রোগ্রামের শুভ উদ্বোধন করেন এবং আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে ‘ফিফটি ইয়ার’স অব ন্যাশন বিল্ডিং’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন। এ অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞ প্যানেলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, নেদ্যারল্যান্ডসভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব সোশ্যাল স্টাডিজের রেক্টর ড. আর. আর. গ্যানজিভার্ট, তিয়ানজিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন ও প্রখ্যাত অধ্যাপক ড. ঝ্যান ঝন জিয়াং, বাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী উপ-উপাচার্য ড. জো ডিভাইন, লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোশতাক খান বক্তব্য প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এমএইচ
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বৈশ্বিক অর্থনীতির বিপর্যয়, মহামন্দা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং জলবায়ুর বিরূপ মোকাবিলা করেও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে স্বতন্ত্র অবস্থানে রয়েছে। ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ হওয়ার লক্ষ্যে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
রোববার (৫ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগ ও দৈনিক বণিক বার্তা আয়োজিত ‘ফার্স্ট ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স-২০২৪’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার এসব কথা বলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ. এস. এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে এবং উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়েশা খান।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহান স্বাধীনতা অর্জনের পরই সংবিধান প্রণয়ন করেছিলেন, যা গণতন্ত্রের জন্য আইনগত এবং পলিসি ফ্রেমওয়ার্ক হিসেবে কাজ করছে। গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের মধ্য দিয়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সমাজব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনয়ন সম্ভব। স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে যখন রিজার্ভ ছিল না মাত্র সাড়ে তিন বছরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে পুনর্গঠন করেছিলেন এবং একটি উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হতে চলেছে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মতো মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশ সারাবিশ্বে নিজের সক্ষমতা প্রমাণ করেছে। মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বঙ্গবন্ধু টানেল, গভীর সমুদ্রবন্দর ও আন্তমহাদেশীয় যোগাযোগ স্থাপনের মধ্য দিয়ে বর্তমান সরকার প্রতিবেশী দেশগুলোতে নিজের অবস্থান উন্নত করেছে।
স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সারাদেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক জোন প্রতিষ্ঠা এবং শতভাগ বিদ্যুতায়ন অর্জিত হয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়েদের ভাতা প্রদানের মাধ্যমে চরম দারিদ্রসীমার নিচে বসবাসকারী নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, পোশাক শিল্পকারখানায় নারী শ্রমিকের প্রাধান্য, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী বাংলাদেশের নানা পেশাজীবীর প্রেরিত রেমিট্যান্সে দেশের অর্থনীতির চাকা দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরের মাধ্যমে বাংলাদেশ অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য মডেল স্বরূপ।
স্পিকার এ সময় প্রোগ্রামের শুভ উদ্বোধন করেন এবং আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে ‘ফিফটি ইয়ার’স অব ন্যাশন বিল্ডিং’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন। এ অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞ প্যানেলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, নেদ্যারল্যান্ডসভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব সোশ্যাল স্টাডিজের রেক্টর ড. আর. আর. গ্যানজিভার্ট, তিয়ানজিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন ও প্রখ্যাত অধ্যাপক ড. ঝ্যান ঝন জিয়াং, বাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী উপ-উপাচার্য ড. জো ডিভাইন, লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোশতাক খান বক্তব্য প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এমএইচ