ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দিলেন চরমোনাই পীর
Share on:
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন দল ও সংগঠন ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দেন । এবার তাদের সাথে একাগ্রহতা প্রকাশ করে, ভারতীয় পণ্য বর্জন ও দেশী পণ্য ব্যবহার করার জন্য এবং সাম্রাজ্যবাদ ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে বলেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই ।
সোমবার (২৫মার্চ) বরিশালের চরমোনাই মাদরাসায় অনুষ্ঠিত বিশেষ তালিম তারবিয়াতের ১৩তম দিনের আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ভারতের হিংস্র থাবা থেকে দেশকে বাঁচাতে হবে। এখন বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব চরম হুমকির মুখে। সেইসাথে ভারতীয় পণ্য বর্জন এবং দেশীয় পণ্যের প্রতি সকলকে উদ্ধুদ্ধ করতে হবে। সরকারের শীর্ষ নেতারা কথায় কথায় ভারতের প্রসঙ্গ টেনে বলছেন, ভারত আমাদের পাশে না থাকলে নির্বাচন করতে পারতাম না।
এভাবে ভারত বন্দনা আমাদেরকে ভাবিয়ে তুলেছে। ভারতের আধিপত্য ও সাম্রাজ্যবাদের হস্তক্ষেপ এ দেশের মানুষ মেনে নেবে না। তিনি বলেন, ৯২ শতাংশ মুসলমানের দেশে ইফতার মাহফিল ও কোরআন শিক্ষায় বাধা ও হামলা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। অবৈধ একদলীয় নির্বাচনে ভারতের হস্তক্ষেপ, সীমান্তে লাগাতার বাংলাদেশিদের হত্যা, বাংলাদেশের ওপর ভারতের রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের এখন নিত্যদিনের ঘটনায় পরিণত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রমজান মাস পবিত্র কুরআন নাজিলের মাস, ইসলাম প্রতিষ্ঠার মাস, বিজয়ের মাস। মুসলমানের দ্বীন ও দুনিয়ার সমৃদ্ধি, পার্থিব ও আধ্যাত্মিক উন্নতি, দৈহিক ও মানবিক শ্রেষ্ঠত্ব আর গৌরব ও মর্যদার অবিস্মরণীয় স্মৃতি বয়ে নিয়ে আসে মাহে রমজান। এই রমজান কোরআন নাজিলের মাসে কোরআন শিক্ষার ক্লাসে নিষেধাজ্ঞা আমাদেরকে ভাবিয়ে তুলেছে।
আলোচনায় পীর সাহেব চরমোনাই ছাড়াও নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই, মাদরাসার শিক্ষকগণ এবং চরমোনাই ইউপি চেয়ারম্যান মুফতী জিয়াউল করীম অংশ নেন।
বাংলাদেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের এক জৈষ্ঠ নেতা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক সংবাদ সম্মেলনের পরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ভারতীয় পণ্য বর্জনের দাবিতে এক অনুষ্ঠানে অংশ নেন রিজভী। সেখানে তাকে একটি ভারতীয় শীতকালীন চাদর ছুড়ে ফেলে প্রতিবাদ করতে দেখা যায় ।
তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের ক্ষমতার জোরে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছে। তারা ভারতের কাছে দাসখত দিয়ে ক্ষমতায় থাকছে। আওয়ামী লীগের কাছে স্বাধীন বাংলাদেশকেও এখন ডামি রাষ্ট্র মনে হয়।
আওয়ামী লীগের নেতারা ভারতের গোলামি করলেও এ দেশের মানুষ ভারতের গোলামি করবে না। ভারতের জনগণের সঙ্গে আমাদের কোনও দ্বন্দ্ব নেই। তবে আপত্তি ভারতের শাসকদের পলিসি ও নীতি নিয়ে। তাই দলমত নির্বিশেষে ভারতীয় এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে। আওয়ামী লীগ নয়, ১৮ কোটি মানুষের বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্রের ভূমিকায় ফিরে আসবে ভারত সরকার।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভারতীয় পণ্য বর্জনের যে ঢেউ দৃশ্যমান, তাতে মনে হয় দেশের বিশাল জনগোষ্ঠী ভারতীয় পণ্য বর্জনের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করেছে। সুতরাং জনগণের দল হিসেবে বিএনপিসহ ৬৩টি গণতন্ত্রকামী দল এবং দেশপ্রেমিক জনগণ ভারতীয় পণ্য বর্জনের এই আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করছে।
তিনি বলেন, ভারত গণনিপীড়ক-হন্তারক-মাফিয়া সরকারকে প্রকাশ্যে মদদ ও সমর্থন দিচ্ছে। আওয়ামী লীগ এখন একটি ভারতীয় পণ্যে পরিণত হয়েছে। যা স্বাধীন, সার্বভৌম রাষ্ট্রের স্বার্থ ও মর্যাদার পরিপন্থি।
এদিকে , গন অধিকার পরিষদের একাংশের তরেক রহমানকে ভরতীয় পণ্য বর্জনে প্রকাশে প্রচার করতে দেখা যায় ।
এমএইচ