শিল্প স্বার্থ রক্ষায় কাজ করছে পুলিশ : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
Share on:
শিল্প পুলিশ সব সময় শিল্পখাতের নিরাপত্তায় সজাগ রয়েছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, শিল্প মালিকদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করছে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ। ১২ বছরে শিল্প পুলিশ যে সুনাম অর্জন করেছে তার ধারাবাহিকতা রক্ষা করে আরও এগিয়ে যেতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের যুগপূর্তি উপলক্ষে রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ প্রধান (অতিরিক্ত আইজিপি) মাহবুবুর রহমান।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের উদ্দেশ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘শিল্প পুলিশকে বলবো, সবার সমস্যা শুনুন। শ্রমিকদের, মালিকদেরও। বেসরকারি শিল্পখাতে অগ্রগতি উন্নতি ঘটছে। শিল্প পুলিশ কাজ করছে বলেই আজ শিল্প খাতে স্থিতিশীলতা বজায় রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, আমরা কঠিন সময় পার করছি। জ্বালানি মূল্য কয়েকগুণ বেড়েছে। এটা সারা পৃথিবীর বাস্তবতা। শিল্পখাতে উৎপাদন অব্যাহত রাখতে গ্যাস আমদানি করতে হয়। পৃথিবীর বাস্তবতায় বাংলাদেশ এখনো ভালো অবস্থানে আছে। যদিও অনেক সময় অনেক কারখানায় গ্যাস সরবরাহ দেওয়া যাচ্ছে না।
একটা সময় ইন্ডাস্ট্রির পর ইন্ডাস্ট্রি আগুনে জ্বালিয়ে দেওয়ার দৃশ্য আমরা দেখেছি। মালিকদের কেউ কেউ যখন শ্রমিকদের বেতন দিতে পারতেন না তখন বিক্ষোভ, ভাঙচুর, জ্বালাও-পোড়াও হতো। সে অবস্থা এখন বদলেছে। ব্যবসায়ী নেতাদের পরামর্শে প্রধানমন্ত্রী শিল্প পুলিশ গঠন করেন। ১৫ বছর আগের পুলিশ ও বর্তমান পুলিশ একদম আলাদা। বর্তমান পুলিশ দক্ষ বিচক্ষণ। তাদের হাতেই শিল্প পুলিশের নিয়ন্ত্রণ।
‘আমাদের গার্মেন্টসের মা-বোনেরা রাতে গার্মেন্টস থেকে বের হলে তার বেতনের টাকা ছিনতাই হতো। এখন শিল্প পুলিশ সেখানে সেতুবন্ধনের ন্যায় কাজ করছে। শিল্প পুলিশ শ্রমিকদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা, দেনাপাওনা নিশ্চিত করছেন। শিল্পখাতে শ্রমিকদের দ্বারা কি হতে পারে, মালিকরা কী করেন পুলিশ সেটা জানে। পুলিশ শ্রমিকদের দাবি-দাওয়া ও অধিকার আদায়ে মালিকপক্ষে সঙ্গে যোগাযোগ রাখে।’
ঢাকায় ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ গঠন করার ইচ্ছে নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ঢাকায় আর লোক সংখ্যা বাড়ানো যাবে না। আমরা নিরুৎসাহিত করছি ঢাকায় শিল্প গড়া। বরং ঢাকা থেকে শিল্পপ্রতিষ্ঠান সরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে আমি স্মরণ রাখবো ঢাকায় ডিএমপির কয়েকজন কর্মকর্তা রেখে শিল্পকারখানার শৃঙ্খলায় নজরদারি রাখা যায় কি না।
তিনি বলেন, মালিক শ্রমিক সবাই বাস্তবতার সব কিছুই জানেন। তবে বাংলাদেশের এখনো সেই অবস্থায় যায়নি, যা আতঙ্কিত করার মতো। পৃথিবীর ১০ শতাংশ খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন হয় রাশিয়া-ইউক্রেনে। সেখানে যুদ্ধ চলছে। এলএনজি দিয়ে গ্যাসের অভাব পূরণের চেষ্টা করছি।
এন