সীমান্তে বিজিবির কড়া নজরদারি, ভারতে গরু জবাই করে মাংস ফেরি করে বিক্রি
Share on:
চোরাকারবারিরা ভারতীয় এলাকায় গরু জবাই করে তার মাংস এই সীমান্তে পাঠিয়ে দিচ্ছে। বিজিবি সদস্যরা প্রায়ই এসব মাংস আটক করলেও ভারত থেকে অবৈধ উপায়ে মাংস আসা থামছে না।
বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে ফেরি করে বিক্রি হচ্ছে ভারতীয় গরুর মাংস।
ভারতে জবাই করা গবাদিপশুর মাংস চোরাইপথে বাংলাদেশে নিয়ে আসার পর তা হাটে বাজারে ও গ্রাম এলাকায় কম দামে বেচাকেনা করা হচ্ছে। বাজারমূল্যের চেয়ে এই মাংসের দাম অর্ধেক হওয়ায় ক্রেতারাও তা কিনছেন হরহামেশা।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) রাতে সাতক্ষীরা বিজিবির ৩৩ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল আল মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সাতক্ষীরা সীমান্তের কাকডাঙা, কেঁড়াগাছি, তলুইগাছা, বৈকারি, কুশখালিসহ কলারোয়ার কয়েকটি এলাকায় বাইসাইকেল, ভ্যান অথবা মোটরসাইকেলে করে বস্তাভর্তি করে গরুর মাংস ফেরি করতে দেখা গেছে ওই সব এলাকার কিছু লোককে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কড়া নজরদারির কারণে ভারতীয় গবাদি পশু বাংলাদেশে আসতে পারছে না।
ফলে চোরাকারবারিরা ভারতীয় এলাকায় গরু জবাই করে তার মাংস এই সীমান্তে পাঠিয়ে দিচ্ছে। বিজিবি সদস্যরা প্রায়ই এসব মাংস আটক করলেও ভারত থেকে অবৈধ উপায়ে মাংস আসা থামছে না।
কেঁড়াগাছি সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রহিম, আবুল কালামসহ অনেকেই জানান, ভারতীয় গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা কেজিতে।
কোনো কোনো সময় এর চেয়েও কম দামে বিক্রি হয় মাংস। আগ্রহী ক্রেতারাও কমদামে মাংস কিনছেন।
স্থানীয়রা জানান, বাংলাদেশের বাজারে জবাইকৃত গরুর মাংস ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকায় বিক্রি হয়। অথচ চোরাপথে আসা মাংসের দাম তার অর্ধেকের কিছু বেশি। এমন অবস্থায় দরিদ্র ক্রেতারা এর প্রতি ঝুঁকে পড়ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী কসাইদের কাছেও চোরাচালানের এই মাংস কম দামে সরবরাহ করা হয়।
ফলে মাংস ব্যবসায়ী কসাইরা দেশি মাংসের সঙ্গে ভারতীয় মাংসের মিশাল দিয়ে বাড়তি মুনাফা করছেন।
সাতক্ষীরা বিজিবির ৩৩ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল আল মাহমুদ জানান, চোরাপথে ভারতীয় গরুর মাংস বাংলাদেশের এলেই আমাদের সদস্যরা আটক করে।
প্রায়ই আমাদের অভিযানে এই মাংস জব্দ করা হয়। পরে তা আমরা মাটিচাপা দিয়ে নষ্ট করে ফেলি।
এইচএন