বিএনপির ষড়যন্ত্রে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি : মাহবুব আলম হানিফ
Share on:
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য মাহবুব আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশের উন্নয়ন চায় না। তাই তারা সরকারের উন্নয়নকাজে বাধা সৃষ্টি করছে। তাদের ষড়যন্ত্রের কারণে দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিএনপি-জামায়াতের কারণে বাংলাদেশে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
বুধবার (৯ মার্চ) কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল প্রতিনিধি সভার প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী ও সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান। এতে কেন্দ্রীয় ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
হানিফ বলেন, করোনা ও সাম্প্রতিক যুদ্ধের কারণে সমগ্র পৃথিবীতে দ্রব্যমূল্য বেড়েছে। আমাদের দেশে সরকার পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করছে। একই সঙ্গে যেসব অসাধু ব্যবসায়ীরা কোনো দুর্যোগ-দুর্বিপাকের সুযোগ নিয়ে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর (বাণিজ্যমন্ত্রী) সঙ্গে ইতিমধ্যে আমি কথা বলেছি। কারণ, কোনো দুর্যোগের সুযোগ নিয়ে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেওয়া কোনো সৎ ব্যবসায়ীর কাজ নয়।
তিনি আরও বাংলাদেশের অস্তিত্বের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সম্পর্ক। এ সম্পর্ক চিরকালের। ইচ্ছা করলেই কেউ তা মুছে ফেলতে পারবে না। আওয়ামী লীগকে যারা নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র করেছিল বরং তারাই নিশ্চিহ্ন হয়েছে। জনগণ তাদেরকেই ইতিহাসের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হানিফ বলেন, কারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করতে চায়, কারা স্বাধীনতাবিরোধীদের গাড়িতে পতাকা তুলে দিয়েছে, এখনও কারা স্বাধীনতা বিরোধীদের পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে যাচ্ছে তা দেশবাসী জানে।
তিনি আরও বলেন, আজকের বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। আমাদেরকে একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে টিকে থাকতে হবে। আর এ লক্ষ্যে আমাদের বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আত্ম-মর্যাদার সঙ্গে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। পাশাপাশি, একটি বিজয়ী জাতি হিসেবে বিশ্বের দরবারে আমাদের মাথা উঁচু করে চলতে হবে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামকে পৃথিবীর সেরা মিথ্যাবাদী উল্লেখ করে হানিফ বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম পৃথিবীর সকল মিথ্যাচারকে ছাড়িয়ে গিয়ে ইতিহাসে রেকর্ড গড়েছেন। একজন শিক্ষক যে এত মিথ্যাচার করতে পারে তা আমাদের জানা ছিল না।
তিনি আরও বলেন, যার ভেতরে কোনো মানবতা নেই তিনি কিভাবে মানবতার মা হন? বিএনপি আমলে ২৬ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যাসহ নানাভাবে নির্যাতন চালিয়েছেন। তিনি মানবতার মা হতে পারে না। তিনি খুনির মা হতে পারেন। অথচ মির্জা ফখরুল ইসলাম তাকে মানবতার মা উপাধি দিয়েছেন।
হানিফ বলেন, জিয়াউর রহমান নামে মুক্তিযোদ্ধা, মনে ছিলেন পাকিস্তানি। তিনি কোথাও যুদ্ধ করেছেন বলে প্রমাণ নেই। বিএনপি সিলেট অঞ্চলে যুদ্ধ করার যে ইতিহাস বলে তার কোন প্রমাণ নেই। বরং বিভিন্ন দালিলিক তথ্যে প্রমাণ মিলেছে জিয়াউর রহমান ছিলেন পাকিস্তানের এজেন্ট। জিয়াউর রহমান ছিলেন রাজাকারের দোসর। সে কারণে ক্ষমতায় গিয়ে রাজাকার ও স্বাধীনতা বিরোধীদের পুনর্বাসন করেছিলেন। শীর্ষ রাজাকারদের বানিয়েছিলেন এমপি-মন্ত্রী।
এইচএন