আমি বিরক্ত ও বিব্রত : ইলিয়াস কাঞ্চন
Share on:
বাংলাদেশ শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন বলেছেন, আমি বিরক্ত ও বিব্রত। তবে ওইদিন হয়তো কথার কথা পদত্যাগ করার বিষয় বলেছিলাম। কিন্তু দায়িত্ব যখন নিয়েছি, আমি পালন করতে চাই। বাকি সকলের সহযোগিতা এখানে সবচেয়ে জরুরি। কারণ একটি সংগঠন কখনো একটি পদের জন্য হতে পারে না। সবার অংশগ্রহণে একটি সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
এমন পরিস্থিতিতে ইলিয়াস কাঞ্চন এক পর্যায়ে বিরক্ত হয়েই বলেছিলেন, ‘আমি হয়তো পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিতে পারি।’ অতঃপর আবারও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনে স্থগিতাদেশ দিলে তা প্রচারের পর জায়েদ খান বলেন , ‘না আমার দায়িত্ব পালনে বাঁধা নেই।’ এদিকে নিপুন কথা বলতে চাইছেন না এখনই। বলেছেন, আইনের পথেই হাঁটছেন তিনি।
কিন্তু সভাপতি হিসেবে এক দুঃখের কথা জানালেন ইলিয়াস কাঞ্চন। বললেন, ‘এক পক্ষ জিতলে আরেক পক্ষের কেউ আসে না। এ পর্যায়ে আমাদের তো কাজ করতে হবে। এক সাধারণ সম্পাদক পোস্টের জন্য তো আর একটা সমিতি স্হবির হতে পারে না। আর আমার তো আরো কাজ আছে। আমি তো আরো একটি বড় সংগঠন চালাই। নিজের অন্যান্য ব্যস্ততা রয়েছে। এখন তাদের বিষয়টি বিজ্ঞ আদালত নির্ধারণ করবেন। আমরা আমাদের কাজ করবো।’
সর্বশেষ শিল্পী সমিতি নিয়ে যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে তাতে সকলেই বিব্রত। মাত্র দু’দিন আগে ইলিয়াস কাঞ্চন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জায়েদ খানকে শপথ পড়ালেন। তারও কিছুদিন আগে নিপুনকে শপথ পড়ান। আইনি আদেশ মেনেই দু’জনকে শপথ পড়াতে হয় তাকে।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি এ রুল শুনানি শুরু হয়। এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এরপর আপিল বোর্ড জায়েদের প্রার্থিতা বাতিল করে নিপুণকে একই পদে জয়ী ঘোষণা করে। পরে গত ৭ ফেব্রুয়ারি জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি নির্বাচনের আপিল বোর্ডের দেওয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
পরে ৮ ফেব্রুয়ারি জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন নিপুণ। ৯ ফেব্রুয়ারি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি নির্বাচনে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে দেওয়া হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। একইসঙ্গে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালনের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেন আদালত।
এইচএন