যুক্তরাষ্ট্র খুনিকে আশ্রয় দিয়ে রেখেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
Share on:
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশ যারা আইনের শাসনের জন্য সবসময় সোচ্চার, তারা একজন খুনিকে আশ্রয় দিয়ে রেখেছে। একটা খুনি নয়, আরও একজন আলবদর-রাজাকারকে আশ্রয় দিয়ে রেখেছে। এটা আমার কাছে তাজ্জব মনে হয়। একটি আইনি দেশ বেআইনি লোককে আশ্রয় দিয়ে রেখেছে।
মঙ্গলবার (১ আগস্ট) বেলা ১১টায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতির জনকের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এখনো বঙ্গবন্ধুর খুনি বিভিন্ন দেশে লুকিয়ে আছে। একজন যুক্তরাষ্ট্রে আছে, আরেকজন কানাডায় আছে। বাকি তিনজনের খবর আমরা ঠিক জানি না। যারা আত্মস্বীকৃত খুনি। তারা সেখানে আছে। ওই সব দেশ মানবাধিকারের কথা বলে, আত্মস্বীকৃত খুনিকে রেখে তারা যে কথাগুলো বলে সেগুলো তার সঙ্গে মিলে না।
ড. মোমেন বলেন, আমরা তাদের জানিয়েছি, তারা কি ধরনের অপরাধী। তারা জানতে চেয়েছে তাদের বিচার সম্পর্কে। আমরা সব প্রক্রিয়া তাদের জানিয়েছি। এত সব করার পরও তারা বিভিন্ন অজুহাত দেয়। আমরা বলেছি, ন্যায় বিচারের জন্য তাদের আমাদের হাতে দেন। এটা ওই সব দেশের জন্য লজ্জা, আর আমাদের জন্য দুঃখজনক। আমরা আশা করি, তাদের বিবেক বাড়বে।
তিনি বলেন বলেন, ‘আমরা তাদের তথ্য ঠিকই দিয়েছি। কিন্তু তারা এখনো ফেরত দেয়নি। এটা খুবই দুঃখের বিষয়। এটি নিয়ে তারা কখনো কথাও বলে না, খুনিদের আশ্রয় দিয়েছে। যারা মারা গেছেন, তাদের মাগফিরাত কামনা করি। খুনিরা দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে, ওই সব দেশের সরকারের প্রোটেকশনে।’
তারা কী কারণে আসামিদের ফিরিয়ে দিতে চায় না? এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কানাডার সঙ্গে বহু আলোচনা হয়েছে। কানাডায় নূর চৌধুরী আছে, তাকে ফেরত চেয়েছি। তারা একটা না একটা বাহানা করে। এখন বড় বাহানা হচ্ছে আমাদের আদালত তাকে ফাঁসির রায় দিয়েছে। তার তো স্কোপও আছে, সে এখানে এসে ক্ষমা চাইতে পারে। কিন্তু কানাডা বলছে, যেসব দেশে ফাঁসির বিধান আছে সেসব দেশে তারা পাঠায় না। কানাডান নাগরিক না কি অবৈধ অভিবাসী সেটাও তারা ঠিক করে বলে না। কোর্ট যদিও তাদের আদেশ করেছে তার স্ট্যাটাসটা বলকে সেটাও তারা বলেনি, লুকিয়ে রেখেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমেরিকায় যে আছে তার ব্যাপারে আমেরিকার সরকারকে অনুরোধ করি। আমেরিকায় এ ধরনের বিষয় নেই ফাঁসির রায় হলে তাকে পাঠাবে না। তারা পাঠাবে না বলে। কিন্তু তারা বলছে, এটা কোর্টে আছে, অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে আছে। অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস আমাদের কাছে কিছু তথ্য চেয়েছিল কি অনুযায়ী বিচার হয়েছে তার প্রক্রিয়া জানতে চেয়েছিলেন।
ড. মোমেন বলেন, আমাদের বিচারটা খুব স্বচ্ছ হয়েছে। এবং এটি আইন অনুযায়ী হয়েছে, সেটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে জানিয়েছি। অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসের সঙ্গে অ্যাপয়েন্টমেন্ট দেয় না। আমেরিকার মতো দেশ যারা আইনের শাসনের জন্য সবসময় সোচ্চার, তারা একজন খুনিকে আশ্রয় দিয়ে রেখেছে। একটা খুনি নয় আরও একজন খুনি সেখানে আছে আলবদর, রাজাকার। এ খুনিদের তারা আশ্রয় দিয়েছে। এটা আমার কাছে তাজ্জব মনে হয়। আমেরিকার মতো আইনি দেশ বেআইনি লোককে আশ্রয় দিয়ে রেখেছে।
এন