দ্বীন প্রতিষ্ঠায় সবাইকে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে হবে : মিয়া গোলাম পরওয়ার
Share on:
আল্লাহর জমিনে আল্লাহ দ্বীন প্রতিষ্ঠা এবং দেশকে কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য সকল আন্দোলন ও সংগ্রামে রুকনদেরকে সর্বোচ্চ ত্যাগের নজরানা পেশ করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা জেলা দক্ষিণ আয়োজিত এক ভার্চুয়াল বার্ষিক রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, মূলত, রুকনিয়াত কোনো পদ-পদবী নয় বরং একটি মান ও দায়িত্বানুভূতির নাম। তাই আল্লাহর আইন ও সৎ লোকের শাসন প্রতিষ্ঠায় রুকদেরকেই ময়দানে অগ্রসৈনিকের ভূমিকা পালন করতে হবে। তারা সবসময় গোঁড়ামী ও কুসংস্কারের উর্ধ্বে থাকবেন। নিজেদের মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলি সৃষ্টি এবং শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নিজেদেরকে যোগ্যতর হিসেবে গড়ে তুলবেন। নিজেদের আমল-আখলাকের পরিবর্তনের জন্য বেশি বেশি কুরআন-হাদিস এবং ইসলামী সাহিত্য অধ্যয়ন করতে হবে। সর্বপরি বাড়াতে হবে দাওয়াতি কার্যক্রমও। তাহলেই দ্বীনের বিজয় অনিবার্য হয়ে উঠছে। তিনি রুকনিয়াতের প্রকৃত চেতনা ধারন করে সকলকের প্রতি নিজেদের করণীয় নির্ধারণের আহ্বান জানান।
কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও জেলা আমির মাওলানা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে এবং জেলা সেক্রেটারি এবিএম কামাল হোসাইনের সঞ্চালনায় ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য এবং ইসলামিক অ্যাডুকেশন সোসাইটির পরিচালক প্রিন্সিপাল ড. মো: ইকবাল হোসাইন ভূঁইয়ার দারসুল কুরআনের মাধ্যমে শুরু হওয়া সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ মহানগরী আমির মাওলানা আব্দুল জব্বার। এছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন জেলা নায়েবে আমির মো: শাহিনুর ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় নেতারা।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাওলানা সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘ইসলামী আন্দোলন কোনো দায়সারাভাবে করলে চলবে না বরং নিজেদের জানমালের কুরবানি করার প্রত্যয় নিয়েই সকলকে ময়দানে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। মূলত জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর কাজ হচ্ছে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ কাজ। সে কাজ করতে গিয়েই আমাদের শীর্ষনেতারা হাসিমুখে ফাঁসির মঞ্চে গিয়েছেন। তাই বাতিল শক্তির সকল জুলুম-নির্যাতন ও বাধা-প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করেই দ্বীন প্রতিষ্ঠার কাজে আঞ্জাম দিতে হবে।
মাওলানা আব্দুল জব্বার বলেন, জামায়াতে ইসলাম বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক শক্তি। তাই আন্দোলনের ক্ষেত্রে কোনোভাবেই হীনমন্য হওয়ার সুযোগ নেই বরং ধৈর্য্য ও সাহসিকতার সাথেই ময়দানের প্রতিকূলতা মোকাবেলা করতে হবে। আর রুকনরা তো সবকিছু বুঝেই বাইয়াত গ্রহণ করেছেন। তাই দ্বীন বিজয়ের লক্ষ্যে সকলকে ময়দানে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন বলেন, ‘রুকনরা সংগঠনের মূল জনশক্তি। তাই তাদেরকে আন্তরিকতা, বলিষ্ঠতা ও সাহসিকতার সাথে ময়দানে কাজ করতে হবে। তিনি আগামী দিনের সকল কর্মসূচিতে রুকনদেরকে সাহসী ও কার্যকর ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানান।’
প্রেস বিজ্ঞপ্তি