ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব সোমবার পর্যন্ত স্থগিত
Share on:
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের বহুল প্রত্যাশিত জাতীয় সংসদ অধিবেশন শুরু হয় শুক্রবার ( ২৫ মার্চ)। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিরোধীদের দ্বারা দাখিল করা গুরুত্বপূর্ণ অনাস্থা প্রস্তাব আলোচ্যসূচিতে উপস্থাপন না করেই ২৮ মার্চ (সোমবার) পর্যন্ত সংসদ মুলতবি ঘোষণা করা হয়েছে।
ক্ষমতাসীন পাকিস্তান তেহরিক ইন ইনসাফের (পিটিআই) শাহ মাহমুদ কোরেশি, শিরিন মাজারি, আসার ওমর এবং আলি মোহাম্মদ খান, গ্র্যান্ড ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের (জিডিএ) ড. ফাহমিদা মির্জা অধিবেশনে যোগ দিয়েছিলেন।
বিরোধীপক্ষের তরফে বিরোধী দলীয় নেতা শেহবাজ শরিফ, পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বিলওয়াল ভুট্টো জারদারি এবং কো-চেয়ার আসিফ আলি জারদারি উপস্থিত ছিলেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবের জন্য ২৫ মার্চ শুক্রবার পার্লামেন্টে গুরুত্বপূর্ণ অধিবেশন আহ্বান করেন স্পিকার আসাদ কায়সার। দেশটির জাতীয় পরিষদের নিয়ম অনুযায়ী অধিবেশন শুরু হওয়ার তিন দিন পর থেকে সাত দিনের মধ্যে ভোটের আয়োজন করতে হবে।
ইমরানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবে বিরোধীদের এককাট্টা করেছে পাকিস্তানের প্রধান দুই বিরোধী দল। এই দল দুটি হলো পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ও পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। ‘দুর্নীতির’ রাজনীতির আশ্রয় নেওয়ার জন্য পিএমএল-এন ও পিপিপির নেতাদের নিন্দা জানিয়ে তাদের সমালোচনা করে আসছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
পার্লামেন্টে ইমরানের দল সংখ্যাগরিষ্ঠ। তবে বিরোধীদের দাবি, ক্ষমতাসীন দলের ২০ জনের মতো আইনপ্রণেতা ইমরানের বিরুদ্ধে অনাস্থা জ্ঞাপন করবেন।
চলতি মাসের শুরুতে বিরোধী দলগুলো ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব উত্থাপন করে। তাদের দাবি, সাবেক এই ক্রিকেটার পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছেন।
এদিকে, বুধবার এক বিবৃতিতে ইমরান খান বলেন, যাই ঘটুক না কেন, আমি পদত্যাগ করবো না। লড়াই ছাড়া হাল ছেড়ে দেবেন না বলেও জানান তিনি। ইমরান প্রশ্ন করেন, কিছু মানুষের চাপে তাকে কেন পদত্যাগ করতে হবে। ডন।
এমআই