চালের বাজারে অস্থিরতা কাটেনি
Share on:
চালের বাজারের পরিস্থিতি সামলাতে মজুতদারদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন খাদ্যমন্ত্রী, পাশাপাশি চলছে প্রশাসনের অভিযান। কিন্তু এসবের পরেও চালের বাজারে অস্থিরতা কাটেনি।
জানুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে দেশের সব ধরনের চালের দামেই বেড়েছে। তখন কেজিপ্রতি অন্তত পাঁচ টাকা বাড়লেও মাসের শেষদিকে এসে কমেছে এক-দুই টাকা। চালের দাম বৃদ্ধির এই প্রভাব শুধু ঢাকায় নয়, চট্টগ্রামেও বহাল। চট্টগ্রামের কাছে পটিয়ার চালের আড়ৎ রহমান এন্টারপ্রাইজের সত্বাধিকারি লুৎফর রহমান রিমন বললেন, ‘নির্বাচনের পরপর দাম বেড়েছে, কিন্তু এখনও সেভাবে কমেনি। ৫০ কেজির এক বস্তা মধ্যমানের মিনিকেট চালের পাইকারি দরে দুই হাজার ৮৫০ টাকায় বিক্রি করছেন।
চাল ও ধানের বাজারের অস্থিরতার জন্য মজুতদাররা দায়ী বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারও। গত বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) রাজশাহী বিভাগীয় প্রশাসনের আয়োজনে ‘চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি হুঁশিয়ারি দেন, অবৈধভাবে চাল মজুত করলে মজুতদার যে দলেরই হোক, তাকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
কোনো প্রকার তদন্তের আগেই ধান ও চালের দাম বৃদ্ধির পেছনে মজুতদারদের ঢালাওভাবে দায়ী করার পক্ষে নন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন। তিনি বলেন, যে অন্যায় করবে, তাকে শাস্তি দেওয়া হোক। কিন্তু আগে সঠিক তদন্ত করতে হবে, কেন দাম বেড়েছে।’ দাম বৃদ্ধির জন্য দোকানিরা দায়ী নন, দাম ক্রেতার ওপর নির্ভর করে—এমন দাবি করেন দোকানিদের নেতা হেলাল।
বৃহস্পতিবার খাদ্যমন্ত্রীর সভায় ছিলেন রাজশাহী জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. ওমর ফারুক। রাজশাহীতে অবৈধ মজুতদার পাওয়া গেছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রাজশাহী জেলায় এমন মজুতদার পাওয়া যায়নি। তবে যারা নিয়ম লঙ্ঘন করছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অভিযানের কারণে এখন আর চালের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে না।’ বাজার স্থিতিশীল হয়ে আসছে বলে দাবি করেন তিনি।
এসএম