বগুড়ায় পুলিশের ছররা গুলির অভিযোগ, বিএনপির ৪ নেতাকর্মী আহত
Share on:
দ্বিতীয় দফা অবরোধের প্রথমদিনে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে যানবাহন ভাঙচুরের সময় পুলিশের ছররা গুলিতে বিএনপির চার নেতাকর্মী আহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে গুলি করার বিষয়টি অস্বীকার করেছে পুলিশ।
রোববার (৫ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে মহাসড়কের সদর উপজেলার তেলিপুকুরে এ ঘটনা ঘটে। আহতের মধ্যে বগুড়া পৌর বিএনপির ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কর্মী মাহবুব আলম গুরুতর জখম হয়েছেন। তিনি শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আহত বাকিদের নাম জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অবরোধের সমর্থনে জেলা বিএনপি নেতাকর্মীরা সকাল থেকে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের তেলিপুকুর এলাকায় অবস্থান নেন। এর মধ্যে সকালে রংপুর দিক থেকে আসা কয়েকটি গাড়ি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাহারায় ঢাকার দিকে যাওয়ার পথে এলোপাতাড়ি হামলা চালানো হয়। ভাঙচুর করা হয় কাভার্ডভ্যানসহ কয়েকটি ট্রাক। তখন বিএনপির নেতাকর্মীরা অন্তত তিনটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটান। এ সময় পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। পরে বিএনপির নেতাকর্মীরা মহাসড়ক থেকে পালিয়ে যান।
বগুড়া জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী রিগ্যান দাবি করেন, সকাল থেকে অবরোধের সমর্থনে বিএনপির নেতাকর্মীরা তেলিপুকুর এলাকায় অবস্থান করছিলেন। এ সময় পুলিশ আমাদের অবরোধে বাধা দিয়ে গুলি ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। এতে বিএনপির চার নেতাকর্মী আহত হন।
অবরোধ সমর্থকদের ওপর গুলি করার বিষয়টি অস্বীকার করে বগুড়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) স্নিগ্ধ আখতার বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা নিজেদের ছোড়া হাতবোমায় আহত হয়ে থাকতে পারেন। পুলিশ গুলি করেনি। আমরা অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করেছি।
এনএইচ