tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
স্বাস্থ্য প্রকাশনার সময়: ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৭:১৬ পিএম

ন্যাশনাল মেডিকেলে হামলা, প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষতি দাবি


national-20241126145618

রাজধানীর ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডা. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে হামলায় হাসপাতালটির প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) অধ্যাপক ডা. ইফফাত আরা।


তিনি জানান, এমবিবিএস পরীক্ষা চলাকালীন অবস্থায় কলেজ ভবনেও শিক্ষার্থীরা ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায়, এমনকি ছাত্র ছাত্রীদেরকেও তারা শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। এছাড়াও হামলার ঘটনায় কলেজে অধ্যয়নরত বিদেশি ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যেও চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, যা আমাদের দেশের ভাবমূর্তিকে চরমভাবে নষ্ট করেছে।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি এ দাবি জানান।

ডা. ইফফাত আরা বলেন, গত ১৬ নভেম্বর মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে বিভিন্ন কলেজের প্রায় এক হাজার থেকে দেড় হাজার শিক্ষার্থী হাসপাতালের প্রশাসনিক কার্যালয়, বহির্বিভাগ, জরুরি বিভাগ, দন্ত বিভাগ ও প্যাথলজি বিভাগে ব্যাপক ভাঙচুর করে। এছাড়া ক্যাশ কাউন্টারে ভাঙচুর করে নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। হাসপাতালের অভ্যন্তরে দেশি-বিদেশি ছাত্রছাত্রী, সাধারণ রোগী ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের আর্থিক সেবায় নিয়োজিত পূবালী ব্যাংকের শাখাতেও ব্যাপক ভাঙচুর করে। তাদের এই বর্বরোচিত হামলায় শতবর্ষী ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়।

তিনি বলেন, আমরা বিগত কয়েক দিনের পরিস্থিতি পর্যালোচনা এবং বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের খবর থেকে স্পষ্ট হয়েছি যে, কোনো কোনো কুচক্রী মহল হাসপাতালের উপর মিথ্যা দায়ভার চাপানোর লক্ষ্যে উঠেপড়ে লেগেছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

ন্যাশনাল মেডিকেল পরিচালক বলেন, রোগীর মৃত্যু হলেই ভুল চিকিৎসা, দায়িত্বে অবহেলা বলে চিকিৎসক ও চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিতদের লাঞ্ছিত করা যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, একটি নবজাতক শিশু মাতৃগর্ভ থেকে একজন চিকিৎসকের হাত ধরেই প্রথম পৃথিবীর আলো দেখতে পায়। অসহায় ছোট্ট শিশুটিকে টিকা দিয়ে প্রাণঘাতি রোগের হাত থেকে সুরক্ষা দেয় একজন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী এরপর শিশুকাল থেকে জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত তার স্বাস্থ্য সেবার দায়িত্ব পালন করেন চিকিৎসকরাই।

এনএইচ