tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
জাতীয় প্রকাশনার সময়: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:৫২ এএম

হাসিনা-মোদি বৈঠকে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়নি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী


6
হাসিনা-মোদি বৈঠকে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়নি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। শুক্রবার সন্ধ্যায় নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে দুই সরকার প্রধানের একান্ত এবং আনুষ্ঠানিক (দ্বিপক্ষীয়) বৈঠক হয়। সেই বৈঠক বিষয়ে মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে ছবিসহ পোস্ট করেন নরেন্দ্র মোদি।


তিনি লিখেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। গত ৯ বছরে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের অগ্রগতি খুবই সন্তোষজনক। আমাদের আলোচনায় কানেক্টিভিটি, বাণিজ্যিক সংযুক্তি এবং আরও অনেক বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল।”

বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনও সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। বৈঠকে বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে কোন আলোচনা হয়নি বলে দাবি করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. মোমেন।

তিনি বলেন, দুই দেশের সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত ঘণ্টাব্যাপী আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বাংলাদেশের অত্যাসন্ন নির্বাচন নিয়ে কোন আলোচনা হয়নি। তাহলে কী  দুই প্রধানমন্ত্রীর একান্ত বৈঠকে এ নিয়ে কথা হয়েছে? সম্পূরক এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, একান্ত বৈঠকে নির্বাচন নিয়ে কথা হয়েছে কী-না- তা আমার জানা নেই।

এর আগে মোদির আমন্ত্রণে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে শুক্রবার দুপুরে নয়াদিল্লিতে পৌঁছান শেখ হাসিনা। এরপর বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে বৈঠকটি শুরু হয়।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে এটাই হয়ত শেষ আনুষ্ঠানিক বৈঠক। দ্বিপক্ষীয় বৈঠকটি ‘খুব গুরুত্বপূর্ণ’ বলে আগাম মন্তব্য করেন ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও জি-২০ আয়োজনের প্রধান সমন্বয়কারী হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা।

শুক্রবার বার্তা সংস্থা এএনআইকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, মনে রাখা দরকার খুব ঘনিষ্ঠ ও বন্ধুসুলভ প্রতিবেশী হিসেবে আমরা জি-২০ সম্মেলনে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিল্লিতে পৌঁছেছেন এবং সম্মেলনের আগেই তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করছেন। আমি মনে করি এটি একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক।

উল্লেখ্য, হাসিনা-মোদি বৈঠকে কৃষি গবেষণা খাতে সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক বিনিময় ও দুই দেশের নাগরিকদের লেনদেন সহজ করা বিষয়ক ৩টি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। শীর্ষ বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ভারতের সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে তিস্তা চুক্তি দ্রুত সইয়ের তাগিদ দেন তিনি। জবাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে দাপ্তরিক পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে অনিষ্পন্ন সব ইস্যু দ্রুত নিষ্পত্তির বিষয়ে আশ্বস্ত করা হয়, যার মধ্যে তিস্তাও অন্তর্ভুক্ত। 

এদিকে সন্ধ্যায় নিজের বাসভবনে অনুষ্ঠেয় ৩টি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের বিষয়ে শুক্রবার বিকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ পৃথক বার্তায় নরেন্দ্র মোদি লিখেন, ৩টি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের অপেক্ষায় রয়েছি, আমি মৌরিতাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবিন্দ কুমার জগনাউথ, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করবো। বৈঠকগুলো এসব দেশের সঙ্গে ভারতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পর্যালোচনা এবং উন্নয়ন সহযোগিতা আরও জোরদার করার সুযোগ দিবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিশেষ ফ্লাইটটি শুক্রবার দুপুরে দিল্লির পালাম বিমান ঘাঁটিতে অবতরণ করে। সেখানে ভারতের কেন্দ্রীয় রেল প্রতিমন্ত্রী দর্শনা বিক্রম জারদোশ এবং ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানাও তার সফরসঙ্গী হিসেবে ভারত গেছেন। প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর বিষয়ে বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন জানান, নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে শেখ হাসিনার বৈঠকে কানেকটিভিটি, তিস্তার পানিবণ্টন, জ্বালানি নিরাপত্তা ও খাদ্য নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে।

প্রসঙ্গত, এবারের জি-২০ সম্মেলনে বাংলাদেশসহ ৯টি দেশকে অতিথি রাষ্ট্র হিসেবে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে আয়োজক ভারত। ভারতের সঙ্গে বিদ্যমান নানা সম্পর্কের ভিত্তিতে দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ সম্মেলনে আমন্ত্রণ পায়। বাংলাদেশ ছাড়া আমন্ত্রিত অন্য দেশগুলো হচ্ছে- মিশর, মরিশাস, নেদারল্যান্ডস, নাইজেরিয়া, ওমান, সিঙ্গাপুর, স্পেন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। 

এন