tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
আন্তর্জাতিক প্রকাশনার সময়: ০৮ এপ্রিল ২০২৩, ১২:২৩ পিএম

ভারতে ট্রেনের ধাক্কায় গরুর মৃত্যু বাড়ছে!


_cow

ভারত সরকারের প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালে দেশটিতে ট্রেনের ধাক্কায় ১৩ হাজারের অধিক গরুর মৃত্যু ঘটেছে।


বিগত ২০১৯ সালের তুলনায় এই সংখ্যা ২৪ শতাংশ বেশি। একই বছর ট্রেনের ধাক্কায় ১০ হাজার ৬০৯টি গবাদি পশু মারা যায়।

ট্রেনের ধাক্কায় ভারতে গবাদি পশুর মৃত্যু নতুন কিছু নয় জানিয়ে বিবিসি এক বিশেষ প্রতিবেদনে বলেছে, দেশটিতে দ্রুত গতির ট্রেন চালু করায় বিগত কয়েক বছরে এই মৃত্যুর বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের যাচাই-বাছাই বৃদ্ধি পেয়েছে।

২০১৯ সালে আধা-উচ্চ গতি সম্পন্ন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্বোধনের ঠিক একদিন পরেই দুর্ঘটনার শিকার হয়।

সেসময় রেলের একজন মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছিল, ট্রেনটি তার চলার পথে থাকা গবাদি পশুকে ধাক্কা দিয়েছে।

২০২২ সালের অক্টোবর মাসে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনগুলো পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটে তিনবার গবাদি পশুকে আঘাত করেছিল সপ্তাহে এই সিরিজের আরেকটি ফ্ল্যাগশিপ ট্রেন উদ্বোধনের আগে ট্রায়াল চলাকালে গবাদি পশুকে ধাক্কা দিয়েছিল বলেও জানা যায়।

ভারতে ট্রেনের নিচে এতো গবাদি পশু চাপা পড়ে কেন?

অনুসন্ধান সূত্রে জানা যায়, হাজার হাজার ভারতীয় তাদের গবাদি পশু ঘাস খাওয়ানোর জন্য রেললাইনের পাশে বেঁধে রেখে।

ফলে অনেক গবাদি পশুর মালিকও রেললানের কাছাকাছি থাকে বা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় দ্রুত পৌঁছানোর জন্য রেলপথ জুড়ে তাদের গবাদি পশু পালন করেন।

ভারতীয় রেলওয়ের নেটওয়ার্কটি বিশাল, যা মূলত গ্রামাঞ্চলের মধ্য দিয়ে চলে গেছে প্রায় সম্পূর্ণভাবে বেড়াবিহীন অবস্থায়। ফলে ট্রেনলাইনজুড়ে অবাধে চলাফেরা করে গবাদি পশু।

ভারতের মজবুত ট্রেনগুলি মূলত এই ঘটনাগুলি সহ্য করতে সক্ষম হয়েছে। তবে কিছু নতুন ট্রেনের নাক এবং সামনের প্যানেল এই সংঘর্ষের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

২০২২ সালের অক্টোবর মাসে জারিকৃত রেলওয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ ধরনের ঘটনাগুরো ‘রেল কার্যক্রমে বিরূপ প্রভাব ফেলে’ এবং ‘লাইনচ্যুতসহ রেল দুর্ঘটনার সম্ভাবনা’ বাড়িয়ে দেয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এই দুর্ঘটনাগুলো, ‘যাত্রীদের নিরাপত্তা বিপন্ন করে এবং রেল ট্র্যাফিক ব্যাহত হতে পারে এবং রেল সম্পত্তির ক্ষতি হতে পারে।’

প্রসঙ্গত, ১৮৫৩ সালে অবিভক্ত ভারতে রেল ব্যবস্থা চালু হয়। ভারতের সামগ্রিক দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ বরাবর রেলওয়ে ব্যবস্থা প্রসারিত। ৭,৩২১টি স্টেশন বিশিষ্ট দেশটির রেলপথের মোট দৈর্ঘ্য ৬৭,৪১৫ কিলোমিটারেরও অধিক।

রোলিং স্টকের হিসেবে, ভারতীয় রেল ২৫০,০০০টিরও বেশি (পণ্য) ওয়াগন, ৫৫,০০০টিরও বেশি কোচ ও ১২,০০০টিরও বেশি লোকোমোটিভের মালিক।

এন