tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
খেলা প্রকাশনার সময়: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২২:০৫ পিএম

শ্রীলঙ্কাকে ১৮৪ রানের চ্যালেঞ্জ দিল বাংলাদেশ


1656

সংযুুক্ত আরব আমিরাতের মাটিতে নিজেদের সর্বোচ্চ সংগ্রহের রেকর্ড গড়লো টাইগাররা। আফগানিস্তানের কাছে হারের ফলে শেষ ম্যাচটা রীতিমতো বাঁচা-মরার লড়াইয়ে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশের। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেই অঘোষিত নকআউট ম্যাচে দারুণ এক পুঁজিই পেয়ে গেছে বাংলাদেশ। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৮৩ রান করেছে বাংলাদেশ। অর্থাৎ জিততে হলে শ্রীলঙ্কাকে করতে হবে ১৮৪ রান।


ওপেনিংটা ক্লিক করছে না। বাংলাদেশ তাই আজ বাঁচামরার ম্যাচে একসঙ্গে দুই ওপেনার বদলে ফেলেছে। নাইম শেখ আর এনামুল বিজয়ের বদলে ওপেনিংয়ে নামেন মেহেদি হাসান মিরাজ আর সাব্বির রহমান।

কেমন হলো ওপেনিং জুটি? দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা খুব খারাপ ছিল না। তবে ১৯ রানেই ভেঙে গেছে সাব্বির-মিরাজের জুটি।

দীর্ঘদিন পর দলে ফিরেছেন সাব্বির রহমান। ক্যারিয়ারে প্রথমবার ওপেনিং খেলতে নেমেছিলেন। তবে সুবিধা করতে পারেননি।
৬ বলে ৫ রান করে আসিথা ফার্নান্ডোকে পুল করতে গিয়ে উইকেটরক্ষকের ক্যাচ হন সাব্বির।

ওয়ানডেতে এর আগেও ওপেন করে সফল হয়েছেন মিরাজ। তবে টি-টোয়েন্টিতে আজই প্রথম। অফস্পিনিং এই অলরাউন্ডারকে নিয়ে টিম ম্যানেজম্যান্টের বাজি এবারও কাজে দিলো।

পাওয়ার প্লেতে যে উড়ন্ত সূচনার জন্য হাহাকার ছিল বাংলাদেশের, মিরাজ ওপেন করতে এসেই সেই আক্ষেপ দূর করে দিলেন। এই অলরাউন্ডারের ঝড়ো ব্যাটে চড়েই আজ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ১ উইকেটে ৫৫ রান তোলে বাংলাদেশ।

তবে পাওয়ার প্লের পরের ওভারেই মারকুটে এই ওপেনারকে সাজঘরে ফিরিয়েছেন হাসারাঙ্গা। লঙ্কান এই লেগির বলে একবার এলবিডব্লিউয়ের আবেদনে বেঁচে গেলেও দুই বল পরই বোল্ড হন মিরাজ। ২৬ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় মিরাজের ব্যাট থেকে আসে ৩৮ রান।

টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটটা যেন মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে একেবারেই মানানসই নয়। টেস্ট, ওয়ানডেতে দলের বড় ভরসা হলেও এই ফরম্যাটে তার রেকর্ড তেমন ভালো নয়।

আগের ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে করেছিলেন ১ রান। আরও একবার ব্যর্থতার পরিচয় দিলেন মুশফিক। এবার আউট হলেন ৫ বলে ৪ করে।

চামিকা করুনারত্নের ব্যাক অব দ্য লেন্থ ডেলিভারি ব্যাকফুটে ডিফেন্ড করতে গিয়ে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দিয়েছেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। এ নিয়ে টি-টোয়েন্টিতে সর্বশেষ ছয় ইনিংসে পাঁচবারই দশের নিচে আউট হলেন মুশফিক।

সাকিব আল হাসান খেলছিলেন বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে। ভালোভাবেই এগোচ্ছিল দল। হঠাৎ সাকিব স্টাম্প ছেড়ে মারতে গেলেন, থিকসানার বলটি লাইন মিস করে হলেন বোল্ড।

দুই ওভার আগেই মুশফিক ফিরেছেন। ২২ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ২৪ রান করা সাকিবকেও অল্প সময়ের ব্যবধানে হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ।

৮৭ রানে পড়েছিল ৪ উইকেট। সেখান থেকে দুর্দান্ত এক জুটি গড়েন আফিফ হোসেন ধ্রুব আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ১৩তম ওভারেই শতরান ছোঁয় বাংলাদেশ। হাসারাঙ্গাকে ডিপ স্কয়ার লেগ দিয়ে দারুণ এক ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে ১০০ পার করে দেন আফিফ।

মাহমুদউল্লাহও খেলেছেন দারুণ। তাদের জুটিতে ৩৭ বলে আসে ৫৭ রান। অবশেষে ইনিংসের ১৭তম ওভারে আউট হন আফিফ। বাঁহাতি পেসার মধুশঙ্কাকে তুলে মারতে গিয়ে কাউ কর্নারে ক্যাচ হন এই অলরাউন্ডার। ২২ বলে আফিফের ৩৯ রানের ঝড়ো ইনিংসে ছিল ৪টি বাউন্ডারি আর ২টি ছক্কার মার।

সঙ্গী হারিয়ে যেন ধৈর্যও হারিয়ে ফেলেন মাহমুদউল্লাহ। আফিফ আউট হওয়ার পরের ওভারেই হাসারাঙ্গাকে সুইপ করে ডিপমিডউইকেটে ক্যাচ দেন ২২ বলে ২৭ করা অভিজ্ঞ এই ব্যাটার।

এরপর শেখ মেহেদি হাসান ১ রানেই সাজঘরে ফিরে যান। তবে শেষদিকে মোসাদ্দেক হোসেন আর তাসকিন আহমেদের ব্যাটে ১৮৩ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে বাংলাদেশ। মোসাদ্দেক ৯ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ২৪ আর তাসকিন ৬ বলে ১ ছক্কায় ১১ রানে অপরাজিত থাকেন।

লঙ্কান বোলারদের মধ্যে দুটি করে উইকেট নেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা আর চামিকা করুনারত্নে।

এইচএন